রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
বড় আলমপুর নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় পাঁচজনের স্থলে বেতন পাচ্ছেন ১৮ জন
পীরগঞ্জ (রংপুর) উপজেলা সংবাদদাতা
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৫ জন শিক্ষকের স্থলে ১৯ জন শিক্ষক-কর্মচারী এমপিওভুক্ত হয়ে নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন। এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত করে ঘটনার সত্যতার প্রমাণ পেয়েছেন। জনবল কাঠামো অনুযায়ী কোনো নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৫ জন শিক্ষক এমপিওভুক্ত হতে পারেন। সে স্থলে উক্ত বিদ্যালয়ে ২ জন কর্মচারীসহ মোট শিক্ষক রয়েছেন ১৬ জন। অভিযোগে জানা গেছে, এলাকাবাসীর উদ্যোগে বিগত ২০০১ সালে উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের সন্ন্যাসীর বাজারে বড় আলমপুর নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। কৌশল করে সাইন বোর্ডে লেখা হয় ‘বড় আলমপুর উচ্চ বিদ্যালয়’। এরপর প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন ঘুপচি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মোটা অংক হাতিয়ে নিয়ে একের পর এক শিক্ষক নিয়োগ দিতে থাকেন। এলাকাবাসী, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য এমনকি বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক-কর্মচারীও জানেন না শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার যাবতীয় তথ্য। বিদ্যালয়ের শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করার সময় বিষয়টি জানাজানি হয়। এভাবে একের পর এক শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে অর্ধ কোটি টাকারও বেশি হাতিয়ে নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন। বিগত ২০১০ সালের নভেম্বরের এমপিওতে অভিন্ন প্রক্রিয়ায় সে সময় নিয়োগ পাওয়া সাচিবিক ও গ্রন্থাগারিক পদের শিক্ষক যথাক্রমে মাহফুজার রহমান ও সাহারা খাতুনের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়ে আসে। এরপর চেইন বানু নামের এক শিক্ষিকা শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে গেলে এলাকাবাসী বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। বিদ্যালয়ের প্রতিটি কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়। শুরু হয় শিক্ষার্থীদের ক্লাসবর্জন। অবস্থা বেগতিক দেখে প্রধান শিক্ষক সাময়িক গা ঢাকা দেন। নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এতগুলো শিক্ষক কি করে এমপিওভুক্ত হয়েছেন? প্রশ্নের জবাবে ধূর্ত প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘ডিজি এমপিওভুক্ত করে বেতন-ভাতা দিলে আমার কি দোষ’? এক প্রশ্নের জবাবে তিনি স্বীকার করেন, এটি নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়। নবম ও দশম শ্রেণী খোলার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। অথচ এ অবস্থায় প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে দুর্নীতি পরায়ণ প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন কর্তৃক উচ্চ বিদ্যালয়ের জনবল কাঠামো উপেক্ষা করে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে উক্ত বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেয়ায় সরকারের লাখ লাখ টাকা গচ্চা যাচ্ছে প্রতি মাসে। এব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আলহাজ মাহতাব হোসেন বলেন, বিদ্যালয়টি নিম্নমাধ্যমিক হওয়া সত্ত্বেও প্রধান শিক্ষক কীভাবে এতগুলো শিক্ষক-কর্মচারীর নাম এমপিওভুক্ত করা হলো তা আমার বোধগম্য হচ্ছে না’। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ঊর্ধŸতন কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তদন্ত প্রতিবেদনও দাখিল করা হয়েছে। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাও একই ধরনের মন্তব্য করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।