পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ডিজেল, পেট্রল, কেরোসিন, অকটেনসহ সব ধরনের জ্বালানী তেলে উচ্চমাত্রার সিসাযুক্ত কনডেনসেট (অপরিশোধিত তেল) মেশানো হচ্ছে। জ্বালানি তেলে ভেজাল দেয়ার ক্ষেত্রে এই কৌশল অবলম্বন করছেন মূলত পেট্রল পাম্প মালিকরা। অধিক মুনাফার আশায় তারাই পেট্রল ও অকটেনের সঙ্গে কনডেনসেট মিশিয়ে বিক্রি করছেন। আর এই ভেজাল তৈরিতে বেসরকারি রিফাইনারিগুলো তাদের সহায়তা করছে। এর ফলে তেলচালিত যানবাহনের ইঞ্জিনসহ মূল্যবান যন্ত্রপাতির যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি পরিবেশেরও ভয়াবহ দূষণ ঘটছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। কমিটি কনডেনসেটের অপব্যবহার রোধে গৃহীত সব পদক্ষেপ দ্রæত বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছে। সেইসঙ্গে কনডেনসেটের অপব্যবহার সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন কমিটির পরবর্তী বৈঠকে উপস্থাপনের জন্য বলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গ্যাসফিল্ড থেকে গ্যাস উত্তোলনের সময় গ্যাসের সাথে উচ্চমাত্রার সিসাযুক্ত কনডেনসেট (গ্যাসের সহজাত ক্রুড অয়েল বা অপরিশোধিত তেল) বেরিয়ে আসে। রিগ মেশিনে গ্যাস ও কনডেনসেট আলাদা হয়ে যায়। পরে উত্তোলিত কনডেনসেট রিফাইনারিতে রিফাইনের জন্য পাঠানো হয়। গ্যাসের এই উপজাত পরিশোধন করে অকটেন, পেট্রোল, ডিজেল ও কেরোসিন ইত্যাদি পেট্রোলিয়াম পণ্য উৎপাদন করা হয়।
কমিটি সূত্র জানায়, গ্যাসফিল্ডগুলোতে উত্তোলিত কনডেনসেটের সঠিক হিসাব নেই। এ সুযোগে গ্যাসফিল্ডের এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা গোপনে উচ্চমাত্রার সিসাযুক্ত কনডেনসেট জ্বালানি তেল ভেজালকারীদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে। বেসরকারি রিফাইনারি কোম্পানিগুলো গ্যাসফিল্ড থেকে প্রাপ্ত কনডেনসেট রিফাইন করে পেট্রল ও অকটেন তৈরি করে সেগুলো আবার বিপিসির কাছে বিক্রি করে থাকে। কিন্তু অনেক রিফাইনারি কোম্পানি কনডেনসেট রিফাইন না করে বেশি লাভের আশায় সরাসরি পেট্রল পাম্প মালিকদের কাছে তা বিক্রি করে দেয়। আর পেট্রল পাম্পগুলো ডিজেল, অকটেন ও পেট্রলের সঙ্গে সরাসরি কনডেনসেট মেশানোর কারণে নষ্ট হচ্ছে গাড়ির ইঞ্জিন। তাই কমিটি এবিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ ও তাদের তদন্তের অগ্রগতি জানাতে আগামী বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন উপস্থানের কথা বলেছে।
এদিকে বৈঠকে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির যৌক্তিকতা, গ্যাস উৎপাদন ও মজুদের বর্তমান অবস্থা এবং খাতওয়ারি প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার ও বিতরণ পরিস্থিতি এবং এলএনজি আমদানির মূল্য নির্ধারণ নীতিমালা ও পদ্ধতি সর্ম্পকে বিস্তারিত আলোচনা হয়। কমিটি বিশেষ আইন (বিদ্যুৎ) অনেক গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে সর্বক্ষেত্রে এর প্রয়োগ না করে পিপিআর পদ্ধতি অবলম্বন করে বিভিন্ন সেবা ও দ্রব্যাদি ক্রয়ের সুপারিশ করে। এছাড়া বৈঠকে বিদ্যুৎ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের করতে আন্ত:মন্ত্রণালয় বৈঠকের সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, কমিটির সদস্য ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, মো. আবু জাহির, আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন (নাছিম) এবং এ, বি, এম রুহুল আমিন হাওলাদার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।