পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান হুমকির লাগাম টেনে ধরতে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এদিকে, পিয়ংইয়ং তাদের পরমাণু কর্মসূচি এবং যুদ্ধসংক্রান্ত অন্যান্য প্রচেষ্টা জোরদার করেছে। দেশটি বলেছে, তাদের রকেট বিশ্বের যে কোনো স্থানে আঘাত হানতে সক্ষম। হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, টেলিফোনে আলাপকালে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে আবারও নিশ্চিত করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান জোট উত্তর কোরিয়ার যে কোনো হুমকি মোকাবেলায় প্রস্তুত।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, এই দুই নেতা উত্তর কোরিয়ার শাসককে এ ধরনের চরম ঝুঁকিপূর্ণ পথ থেকে সরে আসতে বাধ্য করার বিষয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে চাপ বাড়ানোর অঙ্গীকার করেছেন। এদিকে, উত্তর কোরিয়া সোমবার জানিয়েছে, তাদের রকেট বিশ্বের যে কোনো স্থানে আঘাত হানতে সক্ষম। উত্তর কোরিয়া এদিন তাদের কৌশলগত বাহিনী দিবস পালন করছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্র পরিচালিত দৈনিক রোডং সিনমুনে প্রকাশিত নিবন্ধে এসব কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, দেশটির কৌশলগত বাহিনী যে কোনো স্থানে যে কোনো সময়ে আঘাত হানতে পারবে। নিবন্ধের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার কয়েকটি রকেটের ছবিও প্রকাশ করা হয়। নিবন্ধে বলা হয়েছে, পিয়ংইয়ংয়ের ছোড়া রকেট সফলভাবে আঘাত হানতে পারবে। কারণ এগুলো ছোড়ার জন্য উচ্চগতিশীল ভ্রাম্যমাণ ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার ব্যবহার করা হয়। এতে রকেটের অবস্থান খুঁজে বের করা একেবারেই অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায় বলেও উল্লেখ করা হয়। নিবন্ধে উত্তর কোরিয়ার সা¤প্রতিক সফল ব্যালিস্টিক এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার কথাও তুলে ধরা হয়েছে। উল্লেখ্য, জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র এবং পরমাণু পরীক্ষা অব্যাহত রেখেছে। গত মাসের ৮ তারিখে দেশটি সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। ক্ষুদ্রপাল্লার জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রটি ১২৪ মাইল পাড়ি দিয়ে পড়েছে জাপান সাগরে। হোয়াইট হাউস জানায়, এছাড়া ট্রাম্প টেলিফোনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলার সময়ও উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ক্রমবর্ধমান হুমকির বিষয় তুলে ধরেছেন। এ সময় উভয় নেতা উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার ব্যাপারে তাদের প্রতিশ্রæতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তবে হোয়াইট হাউস দক্ষিণ চীন সাগরে বিতর্কিত দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে ট্রাম্প ও শি’র মধ্যে সম্ভাব্য আলোচনার ব্যাপারে কিছু উল্লেখ করেনি। এ সময় তাদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় ইস্যু ছাড়াও আসন্ন জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। মার-এ-লাগোয় যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে বৈঠকের পর থেকে দেশ দু’টির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে বলে জিনপিং টেলিফোনে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, তবে কয়েকটি ঘটনা চীন-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষতিও করেছে। তাই চীনের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে ইস্যুগুলোতে তাদের অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, এক-চীন নীতির প্রতি যুক্তরাষ্ট্র অনুগত থাকবে বলে ট্রাম্পের স্বীকৃতি তার দেশের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এএফপি, বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।