পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মেনাফন-নিউজবাইটস : ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী যখন কাশ্মীরে সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে কঠোর পরিশ্রম করছে সে অবস্থায় বিচ্ছিন্ন কিছু সামরিক বিজয় ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতির কোনো লক্ষণ চোখে পড়ছে না। এটা কাশ্মীরে জঙ্গিবাদের প্রকৃতিতে বিরাট পরিবর্তনের দিকে ইঙ্গিত করে। অন্য কথায় এ হচ্ছে স্থানীয়দের আরো বেশী সংখ্যায় জঙ্গিদের দলে যোগ দেয়ার প্রকাশ্য লক্ষণ, বিশেষ করে হিজবুল মুজাহিদিনের কমান্ডার বুরহান ওয়ানির হত্যার পর থেকে।
কে ছিলেন এই বুরহান ওয়ানি?
দক্ষিণ কাশ্মীরের ট্রাল শহরের বুরহান মুজাফফর ওয়ানি ছিলেন হিজবুল মুজাহিদিনের কমান্ডার। ১৫ বছর বয়সে হিজবুল মুজাহিদিনে যোগ দেন বুরহান। সামাজিক মাধ্যমে ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ কর্মকান্ডের ভিডিও প্রকাশের মাধ্যমে তিনি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। বহু তরুণ তার অনুসারীতে পরিণত হয়। সামাজিক মাধ্যমে তার প্রচারণা সংগঠনের তরুণ সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধিতে বিরাট ভূমিকা রাখে। ২০১৬ সালের ৮ জুলাই নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে তিনি নিহত হন। ওয়ানিকে এত বিপজ্জনক মনে করা হত যে তার ১৫ বছর বয়সেই ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী তার মাথার দাম ১০ লাখ রুপি ঘোষণা করে। এক পুলিশ কর্মকর্তা তার সম্পর্কে বলেন, তিনি সামাজিক মাধ্যমের শক্তি সম্পর্কে পূর্ণভাবে অবহিত ছিলেন। তিনি জঙ্গিবাদ (কাশ্মীরে স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র লড়াই)-কে গৌরবময় ও রোমান্টিক বিষয় হিসেবে বহু ভিডিওতে তুলে ধরেন।
বুরহান ও হিজবুল মুজাহিদিন যথাক্রমে বীরত্বের প্রতীক ব্যক্তি ও সংগঠনে পরিণত হন। তার মৃত্যু বহু তরুণকে জঙ্গি হতে (স্বাধীনতাকামী) অনুপ্রাণিত করে।
বুরহানের মত তারাও তাদের মতাদর্শ প্রচারে সামাজিক মাধ্যমের ব্যাপক ব্যবহার করছে।
জঙ্গি সংক্রান্ত তথ্য আদায়ে স্থানীয়দেরকে পুলিশের হয়রানি তাদেরকে আরো বেশী করে জঙ্গিবাদের দিকে ঠেলে দিয়েছে। এ ছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে স্বাভাবিক জীবন থেমে গেছে এবং ব্যাপক ক্ষতি তাদের অন্য পথে চালিত করেছে।
ভারতের পার্লামেন্টে পেশ করা তথ্যমতে, ২০১৬ তে বুরহানের হত্যার পর ৮৮ কাশ্মীরী তরুণ জঙ্গি হয়েছে। এ বছর যোগ দিয়েছে ২৯ জন। পুলিশ রেকর্ড আরো বলছে, ২৮২ জন সক্রিয় স্বাধীনতাকামীর মধ্যে ১২২ জন স্থানীয়।
এ সময়কালে কাশ্মীরী জঙ্গিবাদের ব্যাপারে পার্থক্য কি?
স্থানীয়দের জঙ্গিবাদের সাথে ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততা নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য অন্যরকম চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে।
স্থানীয় জঙ্গিরা এখন পর্যন্ত আত্মঘাতী বোমা হামলার সাথে জড়িত নয়। তবে স্থানীয়দের মধ্যে তাদের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। এর ফলে তারা আশ্রয় পাচ্ছে, পাশাপাশি ক্ষতি বাড়ছে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সুনামের ক্ষতি করছে।
কাশ্মীরের পুলিশ তরুণদের জঙ্গি সংগঠনে যোগদানে নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা করছে। জম্মু কাশ্মীর পুলিমের ডিজিপি এস পি ভেইদ বলেন, যাদের আটক করা হচ্ছে তাদের কাউন্সেলিং করা হচ্ছে। বহুবার জঙ্গিদের পরিবারের সাথে আমরা যোগাযোগ করছি। আমরা তরুণদের জঙ্গি গ্রæপগুলোতে যোগদান না করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।