পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামিক বুদ্ধিজীবী ফ্রন্টের আহ্বায়ক শাহ সূফী সৈয়দ আব্দুল হান্নান আল-হাদী বলেছেন ইরাকের মসূল শহরে ৮৫০ বছরের পুরানা নূরী মসজিদ ধ্বংসের জন্য প্রকৃতভাবে আমেরিকাই দায়ী। কেননা ইরাকে অন্যায় যুদ্ধ বাধিয়েছে আমেরিকা। যুদ্ধের এক পক্ষ আইএসকেও তৈরী করেছে আমেরিকা। আইএসের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে মসজিদটি ধ্বংস করছে আমেরিকা। আমেরিকা দায়ী করছে আইএসকে। যেহেতু আইএস ও আমেরিকা পাতানো যুদ্ধ করেছে, তাই এই মসজিদ ধবংসের বিষয়টিও পাতানো খেলা। তিনি আরো বলেন ২০০৩ সালে আমেরিকা ব্যাপক ধবংসাত্মক অস্ত্র থাকার মিথ্যা অযুহাতে ইরাক আক্রমণ করেছে এবং প্রেসিডেন্ট সাদ্দামকে হত্যা করেছে। ইরাকের তেল সম্পদ লুণ্ঠন করে লাখ লাখ ইরাকীকে হত্যা করেছে এবং আজো করছে। আমেরিকা ইরাকের প্রাচীন যাদুঘর, প্রাচীন পুরোকীর্তি এবং প্রাচীন লাইব্রেরীর সকল পুস্তকসহ পান্ডলিপিসমূহ ধবংস ও চুরি করেছে। তিনি বলেন কুরআনের ভাষ্য অনুযায়ী আল্লাহর ঘর নূরী মসজিদ ধ্বংসের প্রতিশোধ আল্লাহর তায়ালা নিজেই গ্রহণ করবেন, ইনশাল্লাহ। কুরআন শরীফের সূরা বাকারার ১১৪ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, যে আল্লাহর মসজিদসমূহে তার নাম উচ্চারণ করতে বাধা দেয় এবং সেগুলোকে উজাড় করতে চেষ্টা করে, তার চাইতে বড় জালেম আর কে? এদের পক্ষে মসজিদসমূহে প্রবেশ করা বিধেয় নয়, অবশ্য ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায়। ওদের জন্য ইহকালে লাঞ্জনা এবং পরকালে কঠিন শাস্তি রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রাচীন নূরী মসজিদ ধবংস করার বিষয়ে সৌদি আরব, ইরাক ও অন্যান্য মুসলিম দেশের নীরবতা বোধগম্য নয়। তিনি বলেন মসজিদ ধ্বংসের প্রতিবাদে এবং প্রকৃত অবয়বে এই নূরী মসজিদ নির্মাণের দাবিতে বিশ্ব মুসলিমকে সোচ্চার হতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।