নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : এএফসি কাপের চূড়ান্ত পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও হারলো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। গতকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফিলিপাইনের ক্লাব সেরেস লা সালে এফসি ২-০ গোলে হারায় শেখ জামালকে। টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত পর্বে দক্ষতা দেখাতে পারছে না ঢাকার অভিজাত পাড়ার ক্লাবটি। আসরে শুরুটা যেমন তাদের ভালো হয়নি, দ্বিতীয় ম্যাচেও একই অবস্থা। প্রথম ম্যাচে সিঙ্গাপুরের ট্যাম্পাইন রোভার্সের কাছে শেখ জামালের হেরেছিলো ৪-০ গোলে। আশা ছিলো ঢাকায় ফিলিপাইনের ক্লাবের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়াবে তারা। কিন্তু পারলো না বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নরা। সেরেস লা সালে এফসি’র সামনে দাঁড়াতেই পারলো না। তবে বলা যায় প্রথম ম্যাচের তুলনায় সেরেস লা সালে এফসি’র কাছে সম্মানজনক হার হেরেছে শেখ জামাল।
কাল ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিলো সফরকারী দল। কিক অফের পরই আক্রমণাত্ম ফুটবল খেলে তারা। ম্যাচের চার মিনিটেই দু’টি আক্রমণ সানায় সেরেস লা সালে এফসি। প্রথম দফায় বক্সের বাইরে থেকে আক্রমণ সানিয়েও জামালের রক্ষণ দুর্গ ভাঙ্গতে পারেননি বিয়েনভে। কিছুক্ষণ পরই আবারো বক্সে ঢুকে শট নিয়েছিলেন এই ফরোয়ার্ড। তবে এবারো বাধা হয়ে দাঁড়ায় শেখ জামালের শক্ত রক্ষণভাগ। ম্যাচের ২০ মিনিটে একটা সুযোগ এসেছিলো স্বাগতিক দলের সামনে। এ সময় ওয়েডসনের ক্রস বক্সে রিসিভ করে শট নিয়েছিলেন এমেকা। তবে অল্পের জন্য তা জালে জড়ায়নি। তবে ধারাবাহিক আক্রমণের মুখে ম্যাচের ২৫ মিনিটে এগিয়ে যায় ফিলিপাইনের ক্লাবটি। মিডফিল্ডার প্যাটট্রিক আলসালার ক্রস কাজে লাগিয়ে গোল আদায় করে নেন ফরোয়ার্ড আদ্রিয়ান গ্যালারডো (১-০)। ২৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে সফরকারীরা। মার্কাস সর্কের পাসে বল পয়ে বক্সে ঢুকে শেখ জামালের এগিয়ে আসা গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেলকে পরাস্ত করেন গ্যালারডো (২-০)। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে ব্যবধান কমানোর একটা সুযোগ আসে জামালের। কিন্তু দুর্ভাগ্য তাদের। ওয়েডসনের ফ্রি কিকে ল্যান্ডিং ডার্বোয়ের হেড অল্পের জন্য খুঁজে পায়নি জালের ঠিকানা। সেরেস লা সালে এফসির ডিফেন্ডার ল্যান্ডিংয়ের শটটি ফিরিয়ে দিলে ফিরতি বলে বক্সে দাড়ানো জামালের ফুটবলাররা আরেক দফা চেষ্টা চালিয়েছিলেন। কিন্তু দক্ষতার সঙ্গেই দ্বিতীয়বার বল ক্লিয়ার করেন সেরেসের ডিফেন্ডাররা। দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন শেখ জামালের ফওেরায়ার্ডরা। ম্যাচের ৬৩ মিনিটে একটি কর্ণার আদায় করে নেন তারা। ওয়েডসনের মাপা কর্ণার পড়েছিলো সেরেসের বক্সে। কিন্তু প্রতিরোধের মুখে বল জালে পাঠাতে ব্যর্থ হন জামালের একাধিক ফুটবলার। ৭৫ মিনিটে দশ জনের দলে পরিণত হয় শেখ জামাল ধানমন্ডি। দ্বিতীয় বারের মতো হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ডিফেন্ডার ইয়াসিন খান। তবে ম্যাচের শেষ ১৫ মিনিট দশজন নিয়ে খেললেও আর গোল হজম করতে হয়নি স্বাগতিকদের। ফলে ০-২ গোলের হার নিয়েই মাঠ ছাড়ে তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।