নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
শামীম চৌধুরী, ধর্মশালা (ভারত) থেকে : এমনিতেই কন্ডিশনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে কিছুটা সমস্য হচ্ছে মাশরাফিদের। প্রচÐ ঠাÐা, সাথে ক্ষণে ক্ষণে বৃষ্টি। আবার মেঘ সরিয়ে হঠাৎ ফক ফকা রোদ। ভিন্ন কন্ডিশনে মানিয়ে নিতে এমনিতেই একটু সময় লাগেই। কিন্তু সেই সময় কই মাশরাফির দলের? এছাড়া সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় সাড়ে চার হাজার ফুট উচ্চতায় ধর্মশালা। তাই নিঃশ্বাস নিতেও কিছুটা অসুবিধার হওয়ার কথা। সেটা জানা গেল মাশরাফির কাছ থেকেÑ ‘এমনিতে ভারতের বেশির ভাগ জায়গা তো বাংলাদেশের মতোই। কিন্তু এখানে পুরোই অন্যরকম। কাল রাতে এমন ঠাÐা লাগল, আজ দিনের বেলায় আবার বেশ গরম। মাঠে দৌড়ানোর সময় শ্বাস নিতে একটু সমস্যা হচ্ছিল।’ তবে এটুকু সমস্যা মেনে নিয়েই লড়তে হবে টাইগারদের। কন্ডিশনের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার যথেষ্ঠ সুযোগ না পাওয়ার কারণটাও তো ছিল মধুর। স্বয়ং আইসিসি’র বিশ্বাসে নাড়া দিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলায় একমাত্র প্রস্তুতিমূলক ম্যাচকে বাতিল করতে হয়।
আজ থেকে শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের মিশন। প্রথম দিনে টাইগারবাহিনীর প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডসকে। ডাচদের বিপক্ষে জয়ের জন্য লাল সবুজদের বড় প্রেরণা সদ্য শেষ হওয়া এশিয়া কাপে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মত বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হারানোর সুখস্মৃতি। সাথে মাশরাফির বুদ্ধদীপ্ত নেতৃত্বে জয়ের শক্ত আশা করতেই পারে বাংলাদেশ। মাশরাফিও এশিয়া কাপকেই দেখছেন দলের প্রেরণা হিসেবেÑ ‘এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলায় যে আত্মবিশ্বাস পেয়েছি সেটা এখানে কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।’ তবে এটাও ঠিক যে ধর্মশালায় নেদারল্যান্ডস ছাড়াও মাশরাফিদের প্রধান প্রতিপক্ষ হল ওখানকার কন্ডিশন।
তবে এগুলোকে অজুহাত হিসেবে দেখাতে নারাজ ম্যাশÑ ‘এটা ঠিক আমরা ভারতে খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাইনি। কিন্তু এটা কোনো অজুহাত হতে পারে না। দু’একজনের এখানে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। আমরা সামনের দিকে তাকিয়ে আছি। আমরা নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।’ নেদারল্যান্ডস ছাড়াও মাশরাফিদের অপর প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড ও ওমান। এমন কন্ডিশনে তিন প্রতিপক্ষই চ্যালেঞ্জ হবে বলে জানান মাশরাফি।
এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দলের প্রধান লক্ষ্য ছিল ফাইনালে উঠে ওয়ানডের মত ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ততম সংষ্করনেও প্রতিপক্ষ্যের কাছ থেকে পূর্ণ সমীহ আদায় করে নেওয়া। এজন্য অনেকটা নেপত্যে থেকে গেছে কোচ হাথুরুসিংহ। মাশরাফি তাঁর প্রসঙ্গ টেনে বলেনÑ ‘হাতুরুসিংহের কৌশল গত দেড় বছর ধরে দারুণ কাজ করছে। সে পিতার মতো পুরো দলকে সামলে রাখছে। আমাদের খেলার জন্য অনেক স্বাধীনতা দিয়েছে। ছেলেরাও ভালো করছে। এটা খুব ভালো একটা সমন্বয়।’ প্রথম ম্যাচে মুস্তাফিজকে না পাওয়াটা প্রায় নিশ্চিত। এমনকি আসরের প্রথম পর্বের কোন ম্যাচে নাও দেখা যেতে পারে তাকে। দলের প্রধান বোলিং শক্তিকে হারিয়ে মাশরাফি বলেন Ñ ‘ মুস্তাফিজ চোটে আছে, এটা তো পরিষ্কারই। সে শেষ দুটি ম্যাচ খেলেনি। চোটখাটো সমস্যা থাকবেই। যেমন শেষ ম্যাচে সাকিবের ছিল। বল করতে সমস্যা হচ্ছিল। এগুলো থাকবেই, এগুলো নিয়েই সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’
তবে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দলের বর্তমান প্রধান দুশ্চিন্তা সাকিব ও মুশফিকের ফর্ম। দুজনেই চাইবেন এশিয়া কাপে ব্যক্তিগত প্রপ্তির ইতিহাসটা ভুলে থাকতে। বিশ্বকাপের মত আসরে দেশসেরা এই দুজন ব্যাটসম্যানকেই রানে ফেরার কোন বিকল্প নেই। এই ধরনের প্রশ্নে অধিনায়ক বলেনÑ ‘ওরা (সাকিব, মুশি) জানে ওদের ভূমিকা কি। ওরাও চেষ্টা করছে। ক্রিকেট খেলাটাই এমন আর টি-টোয়েন্টিটা তো আরও বেশি। শুধু কল্পনা করেন, এই অবস্থায় ওরা যদি ওদের সেরা ফর্মে থাকে আমাদের দল আনপ্লেয়েবল দল হয়ে যাবে। এটাই খেলার নিয়ম, আমি জানি। ওরা সঠিক সময়ে যা করা ওরা সেটা করতে পারবে। আমি এ নিয়ে চিন্তিত না।’ ব্যর্থতার পাশাপাশি সফলতার জয়গান না গেলে কেমন হয়্। শেষ দিকে বাংলাদেশ দলেকে দিশা দেখাচ্ছে মাহমুদুল্লার ব্যাটিং। এ প্রসঙ্গ টেনে মাশরাফি বলেনÑ ‘আমরা রিয়াদকে নিয়ে যে পরিকল্পনা করেছিলাম, তা প্রায় সফল। আমাদের দলও প্রায় সফল।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।