Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বেহাল অবস্থায় রংপুর এক্সপ্রেস

১৩ ঘণ্টা ১৫ মিনিট বিলম্ব : বিনাটিকিটের যাত্রীদের রাজত্ব : সীমাহীন ভোগান্তি

| প্রকাশের সময় : ৩ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম


নূরুল ইসলাম : রংপুর স্টেশন থেকে ছাড়ার  কথা শনিবার রাত ৮টায়। সেই ট্রেন ছেড়েছে পরদিন রোববার সকাল ৬টা ৫২ মিনিটে। ঢাকায় পৌঁছতে গিয়ে ট্রেনটি ১৩ ঘণ্টা ১৫ মিনিট বিলম্ব। রংপুর এক্সপ্রেসের গন্তব্যে পৌঁছার  সময়ের কাছে হার মানতে বসেছে রেলের এক সময়ের বহুল প্রচলিত প্রবচন ‘৯ টার ট্রেন কয়টায় ছাড়ে’। ৯টার ট্রেন ১০টায় ছাড়তে পারে, ১১ টায় ছাড়তে পারে। রাত শেষে সকাল ৭টায় ছাড়বে কেন? ঈদ শেষে এই ট্রেনের ঢাকামুখি যাত্রীদের কি অবস্থা তা সহজেই অনুমেয়। কেনো এমন বেহাল অবস্থায় পড়েছে উত্তরের একমাত্র বিলাসবহুল আন্ত:নগর ট্রেন রংপুর এক্সপ্রেস? এ প্রশ্ন হাজার হাজার যাত্রীসহ উত্তরবঙ্গবাসীর। ঈদের আগে থেকে শুরু হওয়া বিলম্বের কলঙ্ক আর কাটিয়ে উঠতে পারছে না ট্রেনটি। এতে করে ঈদে ঢাকামুখি যাত্রীদেরকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ভোগান্তিতে পড়েছে ট্রেনের রানিং স্টাফরাও। একই সাথে উত্তরের আরও একটি ট্রেন লালমনি এক্সপ্রেসও বছরের পর বছর ধরে চলছে বিলম্বে। ভুক্তভোগিদের ভাষায়, লালমনি মানেই লাগামহীন বিলম্ব। এর কোনো বাছ-বিচার নেই। যেনো বিলম্বের জন্যই এই আন্ত:নগর ট্রেনের জন্ম। এ নিয়ে কারো  যেনো কোনো মাথা ব্যাথা নেই। এ বিষয়ে রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, সাদা রেকের ট্রেনে ইদানিং সমস্যা হচ্ছে। রেকের সমস্যার কারনে বার বার মার খাচ্ছে রংপুর এক্সপ্রেস। কিভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায় তা ভেবে দেখা হচ্ছে জানিয়ে রেলওয়ের অপারেশন বিভাগের শীর্ষ এই কর্মকর্তা বলেন, আশা করছি শিগগিরি এর সমাধান হয়ে যাবে।
ঈদে রংপুর এক্সপ্রেসে বাড়ি গিয়েছিলেন একটি বিদেশি কোম্পানীতে কর্মরত প্রকৌশলী সারোয়ার মোর্শেদ। ২৩ জুন ভোরে কমলাপুর স্টেশনে উপস্থিত হয়েছিলেন যাতে ভিড় ঠেলে ট্রেনে উঠতে পারেন। কিন্তু সকাল ৯টার ট্রেন সেদিন ১১টা ২০ মিনিটে ছেড়েছে। চার ঘণ্টারও বেশি সময় কমলাপুর স্টেশনে অপেক্ষার পর ট্রেন ছাড়ার পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন। কিন্তু পথিমধ্যে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাড়ে আবার ঘটে বিপত্তি। একটি কোচের ভ্যাকুয়াম পাইপ ফেটে যাওয়ায় আরও প্রায় দেড় ঘণ্টা দেরি হয়। সব মিলে বগুড়া পর্যন্ত পৌঁছতে ৬ ঘণ্টা বিলম্ব। সারোয়ার বলেন, আমাদের ফেরার কথা ছিল শনিবার। বগুড়াতে ট্রেন আসার কথা ওই দিন রাত ১১টায়। সে হিসাবে প্রস্তুতি নিয়ে স্টেশনে এসে শুনি ট্রেন আসতে  সকাল ১০টা বাজবে। এই যদি হয় অবস্থা তাহলে এতো কষ্ট করে, যুদ্ধ করে টিকিট কেটে কি লাভ হলো? তিনি বলেন, এটা টাকা দিয়ে বিপদ কেনার মতো অবস্থা। তিনি জানান, ১৩ ঘণ্টারও বেশি সময় বিলম্বে চলা এই ট্রেনের এসি কোচে (নং ৬৫১৯) একশ’/দুশ’ টাকার বিনিময়ে অতিরিক্ত যাত্রী তোলা হয়েছে। যাত্রীরা এর প্রতিবাদ করার পর নাটোর স্টেশনের পর একবার বিনাটিকিটের যাত্রীদের নামিয়ে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এরপর আবারও যাত্রী তোলা অব্যাহত থাকে। এভাবে বিনা টিকিটের যাত্রী উঠতে উঠতে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় যেনো দম বন্ধ হয়ে আসছিল। বাথরুমে যাওয়ার মতো অবস্থাও ছিল না। ওই যাত্রী বলেন, আমরা টাকা খরচ করে কতো কষ্ট করে টিকিট কেটে এভাবে যন্ত্রণা ভোগ করবো কেনো? এর কি কোনো জবাবদিহিতা নাই?  এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, বিষয়টি দেখার দায়িত্ব মহাব্যবস্থাপকের (পশ্চিম)। তার সাথে কথা বলেন। পরে মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিম) কে কল করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
রংপুর এক্সপ্রেস চলাচলের সময় নিয়ে বেহাল দশা সেই ঈদের আগে থেকে। রেল কর্মচারীদের অভিযোগ, এই ট্রেনের রেক নিয়ে বরাবরই অবহেলা করা হয়। ঢাকার ক্যারেজ বিভাগ এই ট্রেনের রেকগুলো সময়মতো মেরামত করে না। কোচগুলো ঢাকার ওয়াশপিটে নিয়ে ঠিকমতো পরিস্কারও করা হয় না। কোচের ভ্যাকুয়াম পাইপগুলো পুরাতন,অকেজো হওয়ার পরেও সেগুলো পরিবর্তন না করে জোড়াতালি দিয়ে চালানোর চেষ্টায় বার বার এগুলো ফেটে ট্রেন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটায়। আবার সঠিক সময়ে ট্রেনটি চলাচলের ক্ষেত্রে বরাবরই বাধার সৃষ্টি করে পাকশি কন্ট্রোল। তারা ইচ্ছা করে ট্রেনটিকে মার খাইয়ে দেয় বলে ট্রেনের রানিং স্টাফদের অভিযোগ। উদাহরণ হিসাবে একজন বলেন, গত শনিবার ৮ ঘণ্টা বিলম্বে ঢাকার দিকে আসার সময় ট্রেনটিকে আব্দুলপুর স্টেশনে ১৫ মিনিট দাঁড় করিয়ে রেখে সিল্কসিটিকে পাস করানো হয়।  সিল্কসিটি বঙ্গবন্ধু পশ্চিম সেতুর আগে আরও চারটি স্টেশনে দাঁড়াবে। অথচ রংপুর এক্সপ্রেস একটিতেও দাঁড়াবে না। সেক্ষেত্রে পুরো পথই সিল্কসিটিকে সামনে রেখে রংপুর এক্সপ্রেসকে বিভিন্ন স্থানে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এভাবে প্রতিনিয়ত সময়ের কাছে হার মানানো হয় ট্রেনটিকে। যার প্রভাব গিয়ে পড়ছে যাত্রীদের উপর। ভুক্তভোগিদের মতে, একটানা চলার কারনে ট্রেনটির রেকগুলো বিশ্রাম না পাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। এজন্য এই ট্রেনের রেক পরিবর্তন করা দরকার। অনেকে মনে করনে, আরও উন্নত রেক না দিলে রংপুর এক্সপ্রেস এভাবে খুড়িয়ে খুড়িয়ে বেশিদিন চলতে পারবে না।  
অন্যদিকে, লালমনি এক্সপ্রেসেরও বেহাল অবস্থা। ঈদের আগে এই ট্রেন ১৮ ঘণ্টাও বিলম্ব হয়েছে। যার খবর কেউ রাখেনি। লালমনি এক্সপ্রেসের রেক এক জোড়া করার পরেও সময়মতো ট্রেনটি চলতে পারছে না। এ পেছনে কর্তৃপক্ষের যথেষ্ঠ অবহেলা আছে বলে মনে করেন ভুক্তভোগিরা। আবার বেশিরভাগ সময় ট্রেনটিতে ফ্রেশ লোকো দেয়া হয় না। যার কারনে ট্রেনটি নির্ধারিত গতিতে চলতে পারে না।  



 

Show all comments
  • মেহেদী ৩ জুলাই, ২০১৭, ১২:৫৫ এএম says : 0
    রিপোর্ট টীর জন্য অনেক ধন্যবাধ
    Total Reply(0) Reply
  • বিশ্বজিৎ ঘোষ ৩ জুলাই, ২০১৭, ৭:৩৯ এএম says : 0
    আমার মতে ট্রেনটির যত্ন নেয়া উচিত ও যেহেতু ঢাকা বেস এর ট্রেন তাদেরকে বেশী যত্নবান হতে হবে ঢাকা কন্ট্রোল যদি ট্রেনটি রাইট টাইম জয়দেবপুর পার করে দিতে পারে তাহলে পাকশী কন্ট্রোল খুব একটা মার দেয় না কোন সেটা রংপুর ই হোক আর লালমনেই হোক। তবে ৭৫২ ঢাকা গামী লালমনি এক্সপ্রেস এর ক্ষেত্রে সান্তাহার রাইট টাইম ছাড়লেও ইচ্ছাকৃত ভাবে বিভিন্ন স্টেশন এ ক্রসিং এ বসিয়ে পদ্মা আগে নিয়ে লালমনিকে পরে চালানো হয় এটা দুঃখ জনক বটে।
    Total Reply(0) Reply
  • Shapon Sarker ৩ জুলাই, ২০১৭, ২:৪৯ পিএম says : 0
    সময়োপযোগী রিপোর্টটির জন্য অশেষ ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় নুরুল ইসলাম ভাইকে।
    Total Reply(0) Reply
  • হাফিজ ৩ জুলাই, ২০১৭, ৩:২৩ পিএম says : 0
    রেলওয়ে ব্যবস্থাপনায় অদক্ষ, ঘুষখোর ও হীনমানসিকতার ..... বসে আছেন। যারা রেলের ভাড়া দ্বিগুণ করার পরেও যাত্রি সেবার মান বাড়াতে পাড়েনি। এদের বিরুদ্ধে কথা বলেও টাইম নষ্ট। ট্রেন বিক্রি করে খাওয়ার অপশন থাকলে একটা নাট বল্টুও খুঁজে পাওয়া যাইতো না।
    Total Reply(0) Reply
  • সাইদ ৪ জুলাই, ২০১৭, ৮:১৮ পিএম says : 0
    আমার মনে হয় সরকারের আরো কড়া দৃষিট দেয়া উচিৎ। তা না হলে এই সুবিধাটি বনধ হয়ে য়াবে। রেলওয়ের কিছু অসাধু কতারা এই অনিয়মের সংগে জড়িত। তাদের বের করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • md. mahbubul haque ৪ জুলাই, ২০১৭, ১০:৪২ পিএম says : 0
    ‘বেহাল অবস্থায় রংপুর এক্সপ্রেস’ শিরোনামে আলোচ্য খবরটি প্রকাশ করায় দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার সকল সদস্যকে জানাই ধন্যবাদ। রংপুর জেলা বর্তমানে রংপুর বিভাগ। ইহা তিস্তা নদীর তীরে অবস্থিত হওয়া সত্বেও ঢাকা (কমলাপুর) রেল ষ্টেশন হতে তিস্তা এক্সপ্রেস নামীয় একটি ট্রেন জামালপুর রেল ষ্টেশন পর্যন্ত চলাচল করছে। তবে জামালপুর জেলা কি তিস্তা নদীর তীরে অবস্থিত? বৃহত্তর রংপুর বিভাগ হতে ঢাকা যাতায়াতের জন্য যেখানে সকালে ২৫-২৬ বগি বিশিষ্ট এবং রাত্রে ২৫-২৬ বগি বিশিষ্ট এক জোড়া ট্রেন প্রয়োজন। অথচ সেখানে মাত্র একটি ১৪ বগি বিশিষ্ট মিটারগেজ ট্রেন চলাচল করছে (রাত্রিকালীন)। এই ট্রেন উদ্বোধনের প্রথম দিকে মোটামুটি সিডিউল মোতাবেক চলাচল করলেও বর্তমানে এই ট্রেন সিডিউল মোতাবেক চলাচল করছেনা। এর প্রধান কারণ, মিটারগেজ সিঙ্গেল রেল লাইন (পাবর্তীপুর জং-রংপুর-কাউনিয়া জং-শান্তাহার জং) ও পথিমধ্যে সিঙ্গেল ডুয়েলগেজ রেল লাইন (শান্তাহার থেকে কমলাপুর পর্যন্ত) বিদ্যমান থাকায়। যদি উত্তরবঙ্গের তথা দেশের সকল রেললাইন শুধুমাত্র ব্রডগেজ ডাবল রেল লাইন তৈরি করা যেত (বিভেদমূলক স্টান্ডার্ড গেজ রেল লাইন ব্যতিত/প্রয়োজন নাই) তাহলে দেশের কোন ট্রেন এভাবে সিডিউল বিপর্যয়ে পড়তো না। কারণ, সিঙ্গেল রেল লাইন থাকায় কোন একটি রেল ষ্টেশনে কোন একটি ট্রেন থামিয়ে রেখে বিপরীত দিক হতে আসা অন্য একটি ট্রেন- কে অতিক্রম করানো। আবার, কোন একটি রেল ষ্টেশন থেকে অল্প দূরত্বে ও বেশী দূরত্বে থাকা বিপরীত গন্তব্যমুখী দুটি ট্রেন- কে কাঙ্খিত সময়ে উক্ত রেল ষ্টেশনে ক্রসিং করানোর জন্য কম দূরত্বে থাকা ট্রেন- কে কম গতিতে এবং বেশী দূরত্বে থাকা ট্রেন- কে বেশী গতিতে চলাচল করার জন্য ক্রসিংস্থল/রেল ষ্টেশন হতে উক্ত ট্রেনদ্বয়ের পরিচালক- কে মোবাইল ফোনে/ওয়াকিটকির মাধ্যমে নির্দেশনা প্রদান। তন্মধ্যে, বেশী দূরত্বে থাকা ট্রেন মিটার গেজের হলে উক্ত রেল ষ্টেশন অতিক্রম করতে সময় লাগে অনেক বেশী। পথিমধ্যে কোন ট্রেন দূঘর্টনায় পতিত হলে দূঘর্টনায় কবলে পড়া উক্ত ট্রেন- কে উদ্ধার না করা পর্যন্ত অন্যান্য ট্রেন উক্ত রেল লাইন দিয়ে চলাচল করতে পারেনা, এর কারণ বিদ্যমান সিঙ্গেল রেল লাইন থাকায়। এছাড়া, মিটারগেজ ট্রেনের গতি কম। ঘন্টায় মাত্র ৭৫ কিঃ মিঃ গতিতে চলে কি-না সন্দেহ? মিটার গেজ ট্রেনের বগির অভ্যন্তরে যাত্রী ধারণ ক্ষমতা কম! ভ্রমণ আরামদায়ক না। মিটার গেজ ট্রেন দুর্ঘটনা/লাইনচ্যুত হয় বেশি। বাংলাদেশে মিটারগেজ রেল ইঞ্জিনের সর্বোচ্চ শক্তি মাত্র ১,৫০০ হর্স পাওয়ার। আর এই শক্তির কারণে বেশী বগি লোড নিতে পারেনা। যদিও যমুনা নদীর পূর্ব দিকে (পূর্বাঞ্চলে) এই ১,৫০০ হর্স পাওয়ারের রেল ইঞ্জিন ১৮ টি বা এর কিছু বেশী বগি লোড নিয়ে কয়েকটি ট্রেন চলাচল করতে দেখা যায়। কিন্তু গতিবেগ ঘন্টায় মাত্র ৭৫ কিঃ মিঃ কি-না সন্দেহ! পক্ষান্তরে, ব্রডগেজ ট্রেনের গতি অত্যন্ত বেশী। ২৫-২৬ টির বেশী বগি লোড নিয়ে ঘন্টায় ১৩০ কিঃমিঃ- এর অধিক গতিবেগে চলাচল করার ক্ষমতা রাখে। ব্রডগেজ ট্রেনের বগির অভ্যন্তরে যাত্রী ধারণ ক্ষমতা বেশী। ভ্রমণ আরামদায়ক। ব্রডগেজ ট্রেন দুর্ঘটনা/লাইনচ্যুত হয় অত্যন্ত কম। সম্প্রতি বাংলাদেশে ভারত থেকে আমদানী করা ব্রডগেজ রেল ইঞ্জিনের শক্তি ৩,০০০ হর্স পাওয়ার। এছাড়া ২,৬০০ হর্স পাওয়ারের ভারতীয় পুরাতন রেল ইঞ্জিনও রয়েছে । আর এই শক্তির (২,৬০০-৩,০০০ হর্স পাওয়ার) কারণে ২৬ টির অধিক বগি লোড নিয়ে ঘন্টায় ১৩০ কিঃমিঃ- এর অধিক গতিতে চলাচল করার ক্ষমতা রাখে। প্রমাণস্বরূপ, ইউটিউবে ইন্ডিয়ান রেল লিখে সার্চ দিলে দেখা যায় ইন্ডিয়ার (ভারত) একই কোম্পানীর তৈরী এই ৩,০০০ ও ২,৬০০ হর্স পাওয়ারের রেল ইঞ্জিন ২৬ টি বগি লোড নিয়ে ঘন্টায় ১৩০ কিঃমিঃ- এর অধিক গতিবেগে ১,০০০ কিঃমিঃ এর অধিক দূরত্বের গন্তব্যস্থলে চলাচল করছে। আর আমাদের জনসংখ্যা বহুল দেশ ও হাজার- এর অধিক বৈধ-অবৈধ লেবেল ক্রসিং বিশিষ্ট রেললাইনে ঘন্টায় ১৩০ কিঃমিঃ গতিবেগ ট্রেন চলাচল যথেষ্ট। সুতরাং, আমাদের জনসংখ্যা বহুল দেশে প্রায় সিডিউল বিপর্যয় মুক্ত, প্রায় দুর্ঘটনা মুক্ত এবং অধিক গতিবেগ, আরামদায়ক ভ্রমণ ও অধিক যাত্রী ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ট্রেন চলাচলের জন্য ব্রডগেজ ডাবল রেল লাইনের কোন বিকল্প নাই।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ট্রেন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ