পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : নব্য জেএমবির বর্তমান প্রধান আইয়ুব বাচ্চুসহ যে ক’জন জঙ্গি বাইরে আছে, তারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারির মধ্যে রয়েছে। যে কোনো সময় তারা ধরা পড়বে। গতকাল রোববার দুপুরের দিকে পুলিশ সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক। সেখানে বিভিন্ন গণমাধ্যমের অপরাধ-বিষয়ক প্রতিবেদকদের সঙ্গে ঈদ পরবর্তী সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন আইজিপি।
তিনি বলেন, গত বছর গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পর জঙ্গি দমন নতুন মোড় নেয়। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ‘জিরো টলারেন্সে’ আছে। হোলি আর্টিজানে হামলায় জড়িত আরও পাঁচজন জঙ্গি এখনো অধরা। তা ছাড়া নব্য জেএমবির বর্তমান প্রধান আইয়ুব বাচ্চুকেও গ্রেফতার করা যায়নি। এ বিষয়ে আইজিপির কাছে সাংবাদিকেরা জানতে চান, এসব জঙ্গিরা বাইরে থাকায় তারা হামলা চালাতে পারে কি না? জবাবে শহীদুল হক বলেন, নব্য জেএমবি-প্রধান আইয়ুব বাচ্চুসহ বাইরে থাকা জঙ্গিরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারির মধ্যে রয়েছে। হামলা চালানোর সক্ষমতা তাদের নেই। তারা যেকোনো সময় ধরা পড়বে।
আইজিপি বলেন, আমরা আশা করি, তারা অবশ্যই যত বড় জঙ্গি নেতাই হোক না কেন? তারা দুষ্কৃতকারী, তারা মানবতাবিরোধী, তারা দেশবিরোধী। তাদেরকে গ্রেফতার করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে এবং অচিরেই হয়তো তারা গ্রেফতার হবে। জঙ্গিদের অর্থদাতা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে পুলিশ জাতিকে জানাবে বলেন জানান আইজিপি। তিনি বলেন, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সরকারে নীতি হলো ‘জিরো টলারেন্স’। জনগণকে সরকার আহŸান জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আহŸান জানিয়েছেন এবং আমরাও (পুলিশ) আহŸান জানিয়েছি। আমাদের সাথে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ... মাওলানা, আলেম এরা সবাই এগিয়ে এসেছেন; জঙ্গিদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন। আমাদের যথেষ্ট অর্জন আছে, কিন্তু আমরা এখনও (জঙ্গিদের) নির্মূল করতে পারিনি- এটা সত্য; কিন্তু জঙ্গিদের শক্তি আমরা ভেঙে দিয়েছি। সবাইকে সচেতন হওয়ার আহŸান জানিয়ে তিনি বলেন, জঙ্গিরা সমাজে বসবাসকারী জনগণের মধ্যে রয়েছে; জনগণ যখন চোখ কান খোলা রাখবে, সচেতন হবে এবং এদের (জঙ্গি) বিরুদ্ধে সোচ্চার হবে, তখনই এদের নির্মূল করা সম্ভব।
জঙ্গিদের উপস্থিতি দেশের উত্তর-পশ্চিম ও উত্তর-পূর্ব জেলাগুলোয় বেশি কেন এমন এক প্রশ্নে আইজিপি বলেন, পুরান যারা জঙ্গি ছিল, তাদের দৌরাত্ম ছিলে নর্থ বেঙ্গল ও পশ্চিমের জেলাগুলোয়; একারণে ওই সব এলাকায় সংখ্যাটা বেশি। তবে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে, যাতে যুবক সমাজ ভুল ব্যাখ্যায় নতুনভাবে জঙ্গিবাদে না জড়ায়। অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজিপি মো. মোখলেসুর রহমান, ডিআইজি মো. মহসিন হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।