Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ১ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

গাছ প্রিয় মানুষ লাকী
বর্তমান বাংলাদেশে গাছপ্রিয় মানুষ আছে হাজার হাজার। তাদের মতই একজন মাইন উদ্দিন লাকী। তার বাড়ি কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার নাঙ্গলকোট পৌরসভার শ্রীকামতা গ্রামে। বাবা সিরাজ মিয়া ও মা আমেনা খাতুনের ৬ ছেলে ৩ বোনের মধ্যে সে ৪র্থ। ছোট বেলা থেকেই গাছের প্রতি মমত্ব ও ভালোবাসা। তাইতো সুযোগ পেলেই বাড়িতে গাছ লাগাতো সে, তারই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘ ১০ বছরে বাড়িতে লাগিয়েছে প্রায় ৬ শতাধিক গাছ। সেই গাছগুলো হলো কাঠগাছ, ফুলগাছ, ফলের গাছ। তার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য ঝাড়– গাছ, ফলের মধ্যে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারা, আমলকি, কামরাঙা, ডালিম, পেঁপে, আতাফল, জলপাই ইত্যাদি। বাড়িতে দীর্ঘ ২৪ ঘণ্টাই সে গাছগুলোর তদারকি করে, তার অনুপস্থিতিতে রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে তারই ছোট ভাই হাফেজ জসিম উদ্দিন। শ্রীকামতা গ্রামে গাছের জন্য বাড়িটি অত্যন্ত সুন্দর ও মনমুগ্ধকর পরিবেশে দাঁড়িয়ে আছে। যা আশেপাশে ও থানা লেভেলে অনেকের কাছে মিনি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
আজিম উল্যাহ হানিফ, নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা

কৃষি শ্রমিকের অভাব
কৃষি প্রধান দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। এটা দিবালোকের ন্যায় সত্য যে, কৃষির উন্নয়ন হলে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে দেশ। কৃষির বিপ্লবে কৃষকই মূল হাতিয়ার। আর কৃষকের হাতিয়ার হলো শ্রমিক। বাংলাদেশ কৃষির অপার সম্ভাবনার দেশ। এ দেশে কৃষি উৎপাদনের যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকলেও উৎসাহ ও শ্রমিকের অভাবে ফসল ফলানোর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে কৃষক। কৃষক তার ফসলি জমিকে অহেতুক ফেলে না রেখে অধিক টাকা খরচ করে শ্রমিক সংগ্রহ করে ফসল লাগানোর চেষ্টা করছে। শ্রমিক খুঁজে পাওয়া এখন সোনার হরিণের মত। কৃষি উৎপাদনের আধুনিক সরঞ্জাম কৃষকের কিছুটা হলেও কষ্ট লাঘব করেছে। শ্রমিকের অভাব পূরণ করতে কৃষি সরঞ্জাম বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই।
মো. আজিনুর রহমান লিমন, গ্রাম: আছানধনী মিয়া পাড়া, ডাক: চাপানী হাট, উপ: ডিমলা, জেলা: নীলফামারী


যান ও জলজট সমাধানে
দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি ঢাকা। এই শহরে যানজটের কারণে জনগণের সময় নষ্ট হচ্ছে। জ্বালানির অপচয় হচ্ছে। দেশের অর্থনীতি হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। জনজীবনে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে। চাকরিজীবীরা সময়মতো অফিসে যেতে পারছেন না। ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাসে উপস্থিত হতে পারছে না। অনেক সময় যানজটের কারণে হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই রোগীর মৃত্যু হয়। তিন রাস্তা ও চার রাস্তার ক্রসিং পয়েন্টগুলো যানজট সৃষ্টির অন্যতম কারণ। যানজটের কারণে ঢাকা শহরে গাড়ির গড় গতিবেগ মাত্র ১০-১২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। যানজটের আরেকটি কারণ হলো অপরিকল্পিত বাসস্ট্যান্ড ও সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার অভাব। এর ফলে রাস্তার মাঝখানে যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রি ওঠানো-নামানো হচ্ছে। প্রাইভেট কারের পাশাপাশি অত্যন্ত কম গতির রিকশা, ভ্যান, ঠেলাগাড়ি ও অটোরিকশা চলতে দেওয়াও যানজটের অন্যতম কারণ। এ ছাড়া বহুতলবিশিষ্ট বিপণিবিতান ও অফিসপাড়াগুলোতে রাস্তার ওপর গাড়ি পার্ক করার জন্যও যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থায় নির্ধারিত ও নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া গাড়ি পার্কিং বন্ধসহ রাস্তার মাঝখানে যাতে যত্রতত্র যাত্রী ওঠাতে বা নামাতে না পারে সে জন্য প্রশাসনকে আরো কঠোর হতে হবে। ঢাকার পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা ঢালাওভাবে সাজাতে হবে। রাস্তার প্রশস্ততা বাড়াতে হবে।
রাজধানীর জলাবদ্ধতা ও যানজট নিরসনে সরকার ও সিটি করপোরেশনকে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। দখল হয়ে যাওয়া খালগুলো উদ্ধারের ব্যবস্থা নিতে হবে। ড্রেনেজব্যবস্থার উন্নয়ন ও স¤প্রসারণ ঘটিয়ে দ্রæত পানি নিষ্কাশন নিশ্চিত করতে হবে।
ড. ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ, সফিপুর, গাজীপুর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন