পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : রাজধানীর গাবতলী পশুর হাটে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ অগ্নিকান্ডে বেশ কয়েকটি আস্তানা পুড়ে ৩৯টি পশু দগ্ধ হয়ে মারা গেছে। এর মধ্যে ১৩টি গরু, ২৬টি ছাগল ও ভেড়া রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে পশুহাটে আগুন লাগে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট কাজ করে। আগুন দ্রুত নেভানো সম্ভব হলে পশুহাটের দোকানগুলোর সিলিং-এ প্লাস্টিক ও দাহ্য পদার্থের হওয়ায় আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়েছে।
হাটের ব্যবসায়ীরা জানান, প্রথমে হাটের দোতলা একটি ছাউনিতে আগুন লাগে এবং পরে পাশের দুই ছাউনিতে তা ছড়িয়ে পড়ে। ওই তিন ছাউনিতে কয়েক’শ গবাদি পশু রাখা ছিল। আগুন লাগার পর হাটের লোকজন অধিকাংশ গরু-ছাগল সরিয়ে নিতে পারলেও ১২টি পশু ভেতরেই পুড়ে মারা গেছে। এছাড়া আগুনে দগ্ধ আরও ১৪টি গরুকে তাৎক্ষণিকভাবে জবাই করে ফেলেন পশু ব্যবসায়ীরা। অগ্নিকান্ডের সময় হুড়োহুড়ির মধ্যে অন্তত অর্ধশত গরু-ছাগল চুরি হয়ে গেছে বলেও গাবতলী গবাদি পশু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী মজিবুর রহমান অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েতুল কবির দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, সকাল ১০টার দিকে আমরা আগুল লাগার খবর পাই। ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিক ৫টি ইউনিট পাঠানো হয়। আধাঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। তবে হাটে বেশ কয়েকটি আস্তানা পুড়ে গেছে। আর কিছু পশুও মারা গেছে। প্রাথমিকভাবে এটা বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট অথবা সিগারেটের অবশিষ্ট অংশ থেকে এই আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। আগুন লাগার সময় ওই তিন ছাউনিতে কয়েকশ গবাদি পশু রাখা ছিল। আর হাটে সে সময় অন্তত চার হাজার গরু-মহিষ-ছাগল ছিল বলে ব্যবসায়ী সমিতির ভাষ্য। হাট পরিচালনা কমিটির সদস্য সারওয়ার হোসেন বলেন, হাটে আনা পশু যেসব ছাউনিতে বেঁধে রাখা হয় সেগুলো প্লাস্টিকের তৈরি। ফলে আগুন লাগার পর তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে প্লাস্টিক গলে গলে পড়ায় ছাউনিতে বেঁধে রাখা সব পশু রক্ষা করা যায়নি। যেগুলো দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল সেগুলো কোনোরকমে বাঁচানো গেছে। শেকল বা চেইন দিয়ে যেগুলো বাঁধা ছিল সেগুলো মারা পড়েছে।
মাস পাঁচেক আগেও একবার এ হাটে আগুন লেগেছিল জানিয়ে সারওয়ার হোসেন বলেন, সেবার ক্ষয়ক্ষতি কিছু হয়নি। পশুর খাবারের জন্য যে খড় রাখা ছিল সেখান থেকে আগুন লেগেছিল। পশু ব্যবসায়ী বা কেউ বিড়ি-সিগারেট খেয়ে ফেলেছিল হয়ত। তবে ধারণা করছি, এবারেরটা তেমন কিছু না। আগুনের সময় অধিকাংশ ব্যাপারী গরু-ছাগলের কাছে ছিলেন না জানিয়ে গাবতলী গবাদি পশু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মজিবুর রহমান বলেন, এজন্য চুরির ঘটনা ঘটেছে, ক্ষতি বেশি হয়েছে। আগুন লাগার পর কে কার গরু নিয়ে যাচ্ছে তা দেখার বা বাধা দেয়ার কেউ ছিল না। ছাগল যে শেডে রাখা হত তার পুরোটাই পুড়ে যাওয়ায় এখন আর এই হাটে ছাগল রাখার কোনো জায়গা থাকল না বলে জানান তিনি। অবিলম্বে ছাউনিগুলো ঠিক করার দাবি জানিয়ে মজিবুর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে হাট মালিক (ইজারাদার) এবং সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতাও প্রয়োজন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।