পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : ঈদের ছুটি শেষে মানুষ ঢাকায় ফিরছে। গতকাল ভোর থেকে ঈদ ফেরত মানুষের ঢল লক্ষ্য করা যায়। মহাসড়কগুলোতে যানজট ছাড়াই নগরবাসী স্বস্তিতে ঘরে ফিরছে। তবে ফেরার সময়ও বাসের টিকিট পেতে বিড়ম্বনা আর বাড়তি ভাড়া দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগিদের। পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে গ্রামে গেছেন কয়েক লাখ মানুষ। ঈদ শেষে তারা আবার কর্মস্থলে ফিরছেন। বুধবার থেকে ঢাকামুখি মানুষের ঢল লক্ষ্য করা গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবারও এ ঢল অব্যাহত ছিল। গাবতলী বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, রোজিনা, হানিফ, সোনারতরী, গোল্ডেন লাইনসহ বেশ কয়েকটি বাস ভোর থেকে ঢাকায় ফিরেছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত বাসগুলোতে যাত্রী ছিল পরিপূর্ণ। আবার অনেক বাসে যাত্রী দাঁড়িয়েও আনা হচ্ছে। নওগাঁ থেকে সকাল ৭টায় রওনা দিয়ে বেলা ১২টায় ঢাকায় পৌঁছান নজরুল। তিনি বলেন, শনিবার থেকে অফিস খুলবে। তাই অনেক কষ্টে বাসের টিকিট ম্যানেজ করে ঢাকায় ফিরতে হলো। ৪৫০ টাকার টিকিট ৬০০ টাকায় কিনেছেন বলেও তিনি জানান। নীলফামারী থেকে আলমগীর ৯ ঘণ্টায় আলম এন্টারপ্রাইজের একটি বাসে সকালে গাবতলীতে পৌঁছান। তিনি বলেন, ঈদে বাড়ি যাওয়ার চেয়ে ফেরার সময় অনেক আরামে ফিরতে পারলাম। বাড়তি ভাড়া দিয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। হানিফ কাউন্টারের সামনে পরিবার নিয়ে বাসের জন্য অপেক্ষারত মিরপুরের বাসিন্দা ব্যবসায়ী হায়দার মিয়া বলেন, ঈদে অনেক ভিড় আর টিকিটের দামও বেশি। এ কারণে পরিবার নিয়ে ঢাকায় ঈদ করেছি। এখন শান্তিতে বাড়ি যাচ্ছি। পাঁচ-ছয় দিন পর আবার ঢাকায় ফিরবেন বলে তিনি জানান। গাবতলী বাস টার্মিনালের বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামী রোববারের মধ্যে বাড়ি যাওয়া মানুষরা ঢাকা ফিরে আসবে। এ কারণে এখন অনেকটা চাপ কম রয়েছে। ঢাকা থেকে এখন অনেক বাস খালি যাচ্ছে। ফেরার সময় যাত্রী ভর্তি হয়ে ফিরছে। তবে শুক্র ও শনিবার যাত্রী ফেরার অনেক চাপ থাকবে। যাত্রী ফেরার চাপ কম থাকায় অনেক পরিবহনের বাস এখনও ঢাকায় ফেরা শুরু করেনি বলে জানান খালেক এন্টারপ্রাইজের কাউন্টার মাস্টার শাহীন মাহামুদ। তিনি বলেন, শুক্রবার থেকে খালেক পরিবহনের বাসগুলো ঢাকায় ফেরা শুরু করবে। রোববারের মধ্যে সব বাস ঢাকায় ফিরে আসবে।
অন্যদিকে, কমলাপুর স্টেশনেও প্রতিটি ট্রেনে কানায় কানায় পূর্ণ যাত্রী আসছে ঢাকায়। গতকাল প্রতিটি ট্রেন যাত্রীতে পরিপূর্ণ ছিল। এমনকি ট্রেনের ছাদেও যাত্রী আসছে। বিশেষ করে রংপুর এক্সপ্রেস, দ্রæতযান, নীলসাগর ও একতা এক্সপ্রেসের ছাদে করে হাজার হাজার মানুষ ঢাকায় ফিরছে। খুলনা ও রাজশাহী থেকে আগত ট্রেনগুলোতেও ব্যাপক ভিড় দেখা যাচ্ছে বলে রেলওয়ের এক কর্মকর্তা জানান। সড়কপথে ভোগান্তি এড়াতে ঢাকায় ফিরতেও মানুষ ট্রেনকে বেছে নিচ্ছে। যদিও সড়ক পথে এখন আর কোনো ভোগান্তি নেই বলে যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে। আজ শুক্রবার ঢাকায় ফেরা মানুষের ভিড় আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অপরদিকে, দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে লঞ্চে মানুষ ঢাকায় আসতে শুরু করেছে। লঞ্চ মালিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল প্রতিটি লঞ্চে ছিল উপচে পরা ভিড়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।