Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পলাশে যুবলীগ নেতা দেলু বাহিনীর হামলায় অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর লুটপাট

| প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী থেকে : যুবলীগের দুই উপ-দলের দ্ব›দ্বকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় অর্ধশতাধিক বাড়ীঘর ভাংচুর ও কমবেশী ২০ লক্ষ টাকার মালামাল লুণ্ঠিত হয়েছে। আহত হয়েছে শিশু ও মহিলাসহ ৩ জন। গত মঙ্গলবার ও বুধবার দুই দিন পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নে কেন্দুয়াব গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা গেছে, একই উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বর্তমান ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দেলু ও বর্তমান ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাদল মেম্বারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আভ্যন্তরীন কোন্দল চলে আসছিল। সে সূত্রে ঈদের দুদিন পূর্বে দুই গ্রæপের সমর্থকদের মধ্যে একটি সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এ সংঘর্ষের পর দুই পক্ষের লোকজন মারাত্মকভাবে বেপরোয়া হয়ে উঠে। গত মঙ্গলবার রাতে যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন দেলু বাহিনীর সদস্য ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম মিয়া স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ফখরুলের নেতৃত্বে শুক্কুর আলী, বিল্লাল হোসেন, ইসমাইল ও কবিরসহ প্রায় ২ শতাধিক লোক কেন্দুয়াব বাজারের পাশে বাদল মেম্বারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তারা বাদল মেম্বারের দোকানঘর ও বাড়ীর আসবাবপত্র ভাংচুর করে। তাার ঘরে ঢুকে ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। এছাড়া হামলাকারীরা ফজলুল হক, শাহ আলম, মনির হোসেন, আরজু মিয়া, ইমান আলী, ছানা উল্লাহ, নারগিস মেম্বার, নুরুজ্জামান, মিস্টারসহ প্রায় ২০/২৫ টি বাড়ি ঘর ভাঙচুর করে। এসময় তাদের ঘরের ঢেউটিনের বেড়া রামদা, চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে ক্ষত বিক্ষত করে দেয়। হামলা শেষে ফিরে যাওয়ার সময় হামলাকারীরা ঘরে থাকা টেলিভিশন, স্বর্ণালংকার, নতুন কাপড় চোপড়সহ নগদ অর্থ নিয়ে যায়। এসময় হাতেম আলী শাফিয়া বেগম ও আরহান নামে আড়াই মাসের শিশুসহ ৩ ব্যক্তি আহত হয়। আহতদেরকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনার জেরধরে বুধবার দুপুরে পুনরায় মো: সেলিম মিয়ার নেতৃত্বে দেলু বাহিনীর সদস্য ফখরুল, শুক্কুর আলী, নাসিরুল, নিয়ামত আলী, আজিজ ও নাজিম উদ্দীনসহ শতাধিক লোক পুনরায় হামলা চালিয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মো: বাদল মিয়ার বাড়িসহ তার সমর্থক লাল মিয়া, এরশাদ, ইদ্রিস আলী, হারুন মিয়াসহ আরো প্রায় ২০/২৫টি বাড়িঘর ভাঙচুর করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: বাদল মিয়া জানান, ছাত্রলীগের সভাপতি থেকে যুবলীগের সভাপতি হয়েছে দেলোয়ার হোসেন দেলু। আর সাধারণ সদস্য থেকে সেক্রেটারী হয়েছে সেলিম। আর আমি দীর্ঘ ১৪ বছর যাবৎ ইউনিয়ন যুবলীগের সেক্রেটারী থেকেও কোন পদ পাইনি। তাতেও আমার দু:খ নেই। কিন্তু আমি আর ইউপি চেয়ারম্যান সাবেরুল হাই খান মিলে এলাকার উন্নয়ন কাজ করতে গেলে প্রতিটি কাজে দেলু বাধা দিয়ে আসছে। সম্প্রতি এলাকায় দেলু রাম রাজত্ব কায়েম করেছে। সে ও তার বাহিনী একাধিকবার নিরীহ মানুষের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। আমি চেস্টা করছি বিষয় গুলো মিমাংসা করতে, কিন্তু দেলুর জন্য সম্ভব হচ্ছেনা। সে আমাকে ও আমার পরিবারকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাবেরুল হাই খান জানান, দেলোয়ার হোসেন দেলুর সমর্থকরা কিছু দিন পর পরই এই রকম ঘটনা ঘটালে এলাকার শান্তি বিনষ্ট হয়। তাই বার বার চেষ্টা করেও তা মিমাংশা করতে পারছিনা। অভিযুক্ত ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দেলুর মোবাইলে বার বার ফোন করেও তার সাথে যোগাযোগ করতে পারেনি।
পলাশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ ও ওসি (তদন্ত) বিপ্লব কুমার দত্ত চৌধুরীর সরকারী মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন করলেও তাদেরকে পায়নি সাংবাদিকরা। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। বিষয়টি নিয়ে পলাশ থানার ওসির সাথে কথা বলবেন বলে জানান।



 

Show all comments
  • Laboni ৩০ জুন, ২০১৭, ৩:০২ এএম says : 0
    ara korle kono somossa nai!
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লুটপাট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ