Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ২৫ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ঈদ উৎযাপনে বৈষম্য কেন?
ঈদ মানে আনন্দ ঈদ মানে খুশি। আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে বছরে দুইটি খুশির দিন নির্ধারিত হয়েছে। ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা। ইসলাম ধর্মীয় রীতিতে এই ঈদদ্বয়কে ঘটা করে পালন করা হয়। ঈদের দিন নির্ধারনের জন্য মহান স্রোষ্টার নির্দেশে চলা চাঁদের উপর নির্ভর করতে হয়। চাঁদ দেখে ঈদের দিন নির্ধারনের কথা থাকলেও বাংলাদেশে ঈদ উৎযাপনের বৈষম্য লক্ষ করা যায়। ইসলাম ধর্মের অনুসারী হয়ে এক ঈদকে একই দেশে দুই দিন পালন করা হয়। কেউ সৌদী আরবের অনুসরন করে ঈদ উৎযাপন করে, কেউ বাংলাদেশের ইসলামিক ফাউন্ডেশন অনুসরন করে ঈদ উৎযাপন করে। ইসলামের মধ্যে কেন এই দ্বিধা? কেনই বা দুইদিন ঈদ উৎযাপন করা হয়? বাংলাদেশের ঈদ উৎযাপনের এই দ্বিধাকে বিয়োগ করতে হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এর সঠিক সমাধানে আসতে হবে। এক দেশে ইসলামের দুই নিয়ম থাকতে পারে না। বিষয়টি ধর্ম মন্ত্রানালয়ের নজরে এনে দ্রæত পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
মোঃ আজিনুর রহমান লিম
গ্রামঃ আছানধনী মিয়া পাড়া, ডাকঃ চাপানী হাট
উপঃ ডিমলা, জেলাঃ নীলফামারী।

গ্রামে বিদ্যুৎ
গরমে মানুষ যখন নাকাল হয়েছে, বাংলাদেশের পল্লী বিদ্যুৎ তখন জনগণের সঙ্গে তামাশা করেছে। এখন গরম কমার পরও পরিস্থিতির বিশেষ উন্নতি হয়নি। লোডশেডিংয়ে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গড়ে ৩ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ পাওয়া যায়নি। ইন্টারনেটের যুগে মোবাইল যখন মানুষের প্রধান মাধ্যম, তখন সেই মোবাইল ফোনে ফুল চার্জ দেওয়ার মতো বিদ্যুৎ গ্রামে পাওয়া যাচ্ছে না। গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং নয়, শেয়ারিং চলছে।
বিদ্যুতের এই বেহাল অবস্থা থেকে আমরা কবে পরিত্রাণ পাব? হাজার হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কোথায় যায়? ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়ে গড়ে তিন ঘণ্টা বিদ্যুতের সরবরাহই যদি সরকারের মূল পরিকল্পনা হয়ে থাকে, তাহলে তা হবে জনগণের সঙ্গে মশকরার শামিল। দয়া করে গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করুন, আমাদের স্বস্তি দিন। এই অবস্থায় ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণ সম্ভব নয়।
মো. আজিনুর রহমান
নীলফামারী।

নতুন রূপে ‘লাগান’
নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার কয়েকটি গ্রামে ‘লাগানের’ রূপ দেখলাম। এখানকার নিম্নবিত্ত কৃষকেরা বোরো ও আউশ ধানের মৌসুমে অস্বাভাবিক চড়া সুদে অপর কোনো উচ্চ কিংবা মধ্যবিত্তের কাছ থেকে অর্থ ধার করে থাকেন। এই অর্থ সহজপ্রাপ্য ও ঝামেলাহীন বলে কৃষকেরা ব্যাংক বা পল্লি উন্নয়ন বোর্ড থেকে ঋণ নেওয়া একরকম বন্ধ করে দিয়েছেন। ব্যক্তিবিশেষের কাছ থেকে তাঁরা যে ঋণ নিয়ে থাকেন, তার আঞ্চলিক নাম ‘লাগান’। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এর সুদের মাত্রা ৫০ শতাংশেরও বেশি, এমনকি ১০০ শতাংশ পর্যন্ত।
জানা গেছে, নুরপুর, চৌপুকুরিয়া, হাড়পুর, শালবাড়িসহ নিয়ামতপুর উপজেলার অন্তত ২০টি গ্রামে ‘টাকা লাগান দেওয়া’ নামক ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। নুরপুর গ্রামের অন্তত ১১টি পরিবার এই সুদের কবলে পড়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। এই গ্রামের এক কৃষক ২০১২ সালে মাত্র এক মাসের জন্য ৮০ হাজার টাকা লাগান নেন। মাসান্তে তাঁকে এক লাখ টাকা পরিশোধ করতে হতো। কিন্তু এই অর্থ তিনি সময়মতো পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন। ফলে দুই বছর সুদ টেনে দেড় বিঘা জমি বিক্রি করে তাঁকে ঋণমুক্ত হতে হয়। পার্শ্ববর্তী উপজেলা মান্দাতেও এ ধরনের অর্থ লেনদেন হচ্ছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় কীভাবে এই ঋণ কার্যক্রম চলছে? দ্রæত এটা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
রেজাউল হক
নওগাঁ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন