মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : পাকিস্তানে তৎপর কথিত জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মার্কিন ড্রোন হামলার নিন্দা জানিয়ে ইসলামাবাদ বলেছে, এ ধরনের হামলা দেশটির সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের শামিল। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাফিস জাকারিয়া বলেছেন, আমাদের অবস্থান হচ্ছে ড্রোন হামলায় উল্টো ফল হয় এবং তা পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের শামিল। মার্কিন সরকার পাকিস্তানে ড্রোন হামলা বাড়িয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ইসলামাবাদ এ প্রতিক্রিয়া জানায়। ওয়াশিংটন দাবি করছে, আফগানিস্তানের মার্কিন-সমর্থিত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত তালেবানসহ অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠীর জন্য অভয়ারণ্য তৈরি করেছে পাকিস্তান। ওয়াশিংটন এ কারণে পাকিস্তান ও জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আরো কঠোর অবস্থানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মার্কিন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। ইসলামাবাদ অবশ্য তালেবানকে আশ্রয় দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বহুবার পাকিস্তানে মার্কিন ড্রোন হামলার নিন্দা জানিয়েছে। অপর এক খবরে বলা হয়, পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সা¤প্রতিক সন্ত্রাসী হামলাগুলোর সঙ্গে আফগান সীমান্তের সন্ত্রাসী আস্তানাগুলো জড়িত বয়েছে বলে পাক সেনাবাহিনীর জনসংযোগ অধিদফতর (আইএসপিআর) প্রধান মেজর জেনারেল আসিফ গাফুর জানিয়েছেন। গত শুক্রবার বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটায় আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ১৩ জন নিহত, খুররম এজেন্সির পারাচিনারে জোড়া বিস্ফোরণে অন্তত ৩০ জন নিহত এবং করাচিতে বন্দুক হামলায় ৪ পুলিশ নিহত হওয়ার পর এ কথা বলেন তিনি। তিনি আরো বলেন, এ সব সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে পাক-আফগান সীমান্ত আস্তানাগুলোর যোগসাজশ রয়েছে। অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও ঘোষণা করেন তিনি। এর আগে সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার বরাত দিয়ে তিনি বলেছিলেন, গোটা পাকিস্তানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা এবং তল্লাশি অভিযান চালানো হবে। পাক সেনা প্রধান আরো বলেন, এ ধরনেল কাপুরুষোচিত হামলা চালিয়ে পাকিস্তানে ঈদের আনন্দ নষ্ট করতে চাইছে শত্রæরা। আমেরিকা ২০০১ সালে আফগানিস্তানের আগ্রাসন চালানোর পর থেকে পাকিস্তানে গোয়েন্দা তৎপরতা ও হামলা চালানোর কাজে শত শত ড্রোন ব্যবহার করেছে। ২০০৪ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাবিøউ বুশের শাসনামলে এ ড্রোন হামলা শুরু হলেও পরবর্তী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ক্ষমতায় আসার পর এ হামলার তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। এ পর্যন্ত পাকিস্তানের পাশাপাশি আফগানিস্তান, ইয়েমেন, সোমালিয়া ও লিবিয়ায় ড্রোন হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। আনাদুলো, ডন, সাবাহ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।