পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ফ্রান্সে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবার মাত্র কয়েক সপ্তাহ পর তার রাজনৈতিক দল সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। ম্যাক্রোঁর এই সর্বশেষ সাফল্য ফ্রেঞ্চ সোশ্যালিজমের মৃত্যুর সূচনা করেছে এবং এর কারণ হচ্ছে পার্লামেন্টে সোশ্যালিস্টদের পরাজয়। এর ফলে ফ্রান্সের ইতিহাসে দীর্ঘ সময় ক্ষমতাসীন ফ্রাসোয়াঁ মিতেরাঁর দল এখন ক্ষমতাহীন সংখ্যালঘু দলে পরিণত হল। মিতেরাঁর উপদেষ্টা হিসেবে রাজনীতিতে আবির্ভূত ফ্রাঁসোয়াঁ ওঁলাদ পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও এ নির্বাচনে তিনি অংশ নিতে সাহস করেননি।
ফরাসী সংসদ নির্বাচনের প্রায় সব ভোট গণনা হবার পর দেখা যাচ্ছে ৫৭৭টি আসনের মধ্যে ৩৫৫টিরও বেশি আসন জিতেছে মি. ম্যাক্রোঁর দল এবং তাদের মিত্ররা। তারা মোট ভোটের ৪৯ দশমিক ১ শতাংশ পেয়ে ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটে মোট আসনের ৬০ দশমিক ৭ শতাংশ লাভ করেছে। তবে ধারণা করা হচ্ছিল লা রিপাবলিক এন মার্শ আরো বেশি আসন পাবে। যদিও দলটি গঠন হয়েছে মাত্র এক বছর আগে এবং দলের অধিকাংশ প্রার্থীরই রাজনৈতিক কোন অভিজ্ঞতা নেই। এই জয়ের ফলে মূলধারার দলগুলো অনেকটাই কোনঠাসা হয়ে পড়েছে এবং প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ তার ইইউ-পন্থী এবং ব্যবসাবন্ধব নীতি বাস্তবায়নের কর্তৃত্ব পেলেন। দেখা যাচ্ছে সোশ্যালিস্ট পার্টি ও তার মিত্ররা ৫০টি আসন পেতে যাচ্ছে। লা ফ্রান্স ইনসোমিস ৩০ এবং ন্যাশনাল ফ্রন্ট পাবে মাত্র ৮টি আসন।
সংসদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপটিতে অবশ্য ভোট প্রদানের হার ছিল ৪২ শতাংশ। গত নির্বাচনের তুলনায় যা অনেকটা কম।
সংবাদদাতারা বলছেন, মি. ম্যাক্রোঁর বিরোধীরা ভোট দিতেই আগ্রহী ছিল না। গত ৫ বছর যে সমাজতন্ত্রীরা ক্ষমতায় ছিল, তারা এই নির্বাচনে মাত্র ৫০টি আসন পেতে পারে, যা দলটির ইতিহাসে সর্বনিম্ন। উগ্র ডানপন্থী ন্যাশনাল ফ্রন্ট পাচ্ছে ৮টি আসন, তবে তাদের প্রত্যাশা ছিল ১৫টি আসনে জয়ের।
এদিকে বিজয়ী লা রিপাবলিকান এন মার্শের প্রার্থীদের প্রায় অর্ধেকই রাজনীতিতে সম্পূর্ণ নতুন মুখ। তাদের মধ্যে রয়েছেন একজন অবসরপ্রাপ্ত ষাঁড়ের লড়াইয়ের খেলোয়াড়, রুয়ান্ডার একজন শরণার্থী এবং একজন গণিতবিদ। দলটির প্রার্থীদের মধ্যে ৫০ শতাংশ ছিল নারী। সূত্র : দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট, বিবিসি, রয়টার্স ও উইকিপিডিয়া।
#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।