নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : আর কিছু না হোক অন্তত সান্ত¦না খুঁজে পেলেন তো বাংলাদেশের ক্রিকেট অনুরাগীরা। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে শক্তিধর ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের জয়ে স্বস্তি ফিরে আসলো টাইগার ভক্তদের মাঝে। ২০১৫ সালে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে এই ভারতের বিপক্ষেই অবিচারের বলি হয়েছিলো বাংলাদেশ। তখন অনেকটা জোর করেই বাংলাদেশকে হারানো হয়েছিলো। শুধু তাই নয়, তৎকালীন আইসিসি প্রধান ভারতের শ্রীনিবাসনের মুখরোচক কাহিনী শুধু বাংলাদেশরই নয় সারা বিশ্বের ক্রিকেট অনুরাগীদের অজানা নয়। এই ভারতীয়র ঔদ্ধত্বপূর্ণ আচরণে তখন আইসিসির সভাপতি বাংলাদেশের আ হ ম মুস্তফা কামাল পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত তিনি পদত্যাগও করেছিলেন। ঠিক তখন থেকেই ক্রিকেটে ভারত বিদ্বেষি হয়ে ওঠেন বাংলাদেশের ভক্তরা। তারা যে কোন ঘরনার ক্রিকেটেই ভারতের হার দেখার জন্য উন্মুখ হয়ে অপেক্ষা করেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে পাকিস্তানের ১৮০ রানের বিশাল জয়ে যতটা না খুশি বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তরা, তারচেয়েও অনেক বেশি খুশি ভারতের শোচনীয় হারে। তবে পাকিস্তানের এই জয়ে র্যাংকিংয়ে এক ধাপ পিছিয়ে সপ্তম স্থানে নেমে আসলো বাংলাদেশ। ছয়ে উঠে গেল চ্যাম্পিয়নরা।
টুর্নামেন্টের এবারের আসরে সেমিফাইনাল খেলে দেশের ক্রিকেটকে উচ্চতর শিখরে নিয়ে গেছেন মাশরাফি-সাকিবরা। কিন্তু শেষ চারে এই ভারতের বিপক্ষে বড় হারে হতাশ হয়েছেন তারা। এ ম্যাচে ওপেনার তামিম ইকবালের সঙ্গে শতরানের পার্টনাশীপ গড়ে যখন মুশফিকুর রহিম আউট হন তখন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি জিহŸা বের করে বিকৃত উল্লাস করেন। এতে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় টাইগার ভক্তদের মাঝে। পুরো ম্যাচে যখনই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা আউট হয়েছেন তখনই ভারতের ক্রিকেটাররা বিকৃত উল্লাস করেছেন। যার জন্য ক্ষোভে ফেটে পড়ে পুরো বাংলাদেশ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নানাভাবে এই ক্ষোভের বর্হিপ্রকাশ ঘটে। তারপরও সান্ত¦না চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জিততে পারেনি ভারত।
গতকাল এই টুর্নামেন্টের ফাইনালকে ঘিরে বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ছিলো টান টান উত্তেজনা। ওভালের শিহরণ টাইগার অনুরাগীরা দেশে বসেই অনুভব করেছেন। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব জায়গায় একই আলোচনা ছিলো ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল। রমজান মাসে রোজা রেখে ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তরা টিভির পর্দায় চোখ রেখে উপভোগ করেন জমজমাট এই ফাইনাল। যে ম্যাচে মোহাম্মদ আমির ও হাসান আলীর আসল রূপটা দেখলেন বিরাট কোহলিরা। গ্রæপ পর্বের প্রথম ম্যাচে এই আমিরকেই পিটিয়েছিলেন শিখর ধাওয়ান, রোহিত শর্মারা। সেই আমিরই এবার অন্য রূপে ধরা দিলেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের সামনে। তিনি শিকার করলেন তিন ভারতীয়কে। আর হাসান আলীতো টুর্নামেন্টের পাঁচ ম্যাচেই আতঙ্ক ছড়িয়েছেন। যদিও প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে তার শিকার এক ব্যাটসম্যান হলেও ফাইনালসহ বাকি চার ম্যাচেই তিনি পেয়েছেন তিনটি করে উইকেট। তবে, নায়কের কাতারে সেঞ্চুরিয়ান ফখর জামানের নামটি থাকবে সব্রাগ্রে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।