মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : মালয়েশিয়ার যাত্রীবাহী বিমান হারিয়ে যাওয়ার দুই বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ। কিন্তু ফ্লাইট এমএইচ৩৭০ ঘিরে রহস্য এখনো অটুট। গত শনিবার মোজাম্বিক উপকূলে ভেসে আসা এক বিমানের ধ্বংসাবশেষ অবশ্য কিছু উত্তর পাওয়ার আশা জাগিয়েছে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে ভিনগ্রহীদের হাতে অপহরণ থেকে গুলি করে নামানো বা যাত্রীদের হাতেই হাইজ্যাকের তত্ত্ব। ২০১৪ সালের ৮ মার্চ কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে ২৩৯ জনকে নিয়ে উধাও হয়েছিল মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ওই বোয়িং৭৭০ বিমানটি। ভারত মহাসাগরে অনুসন্ধানে নিয়োজিত অস্ট্রেলীয় তল্লাশি দলের প্রধান মার্টিন ডোলান মনে করেন, আগামী চার মাসের মধ্যেই এই বিমানের হদিস পাওয়া যাবে এবং কোথায় বিমানটি নিখোঁজ হয়েছে যানা যাবে। কোনো কোনো অনুসন্ধানী এবং গবেষক এমন আশাও করছেন যে, আগামী মাসেই অর্থাৎ এপ্রিলেই তারা বিমানটি খুঁজে পাবেন। জানা যায়, গত শনিবার মোজাম্বিকের ভিলানকুলোস শহরের সমুদ্রতীরে স্থানীয় মৎস্যজীবীদের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন মার্কিন পর্যটক ব্লেন গিবসন (৫৮)। তখনই তারা এমন এক বিমানের ভগ্নাবশেষ দেখতে পান, যার সঙ্গে প্রাথমিকভাবে ফ্লাইট এমএইচ৩৭০ এর মিল রয়েছে বলে অনুমান। মোজাম্বিক সরকার জানিয়েছে, পরীক্ষার জন্য ভগ্নাবশেষটি মালয়েশিয়ার বিশেষজ্ঞ দলের হাতে তুলে দেওয়া হবে। তবে সেটি নিখোঁজ বিমানের অংশ হওয়ার সম্ভাবনা কম, কারণ দুই বছর সমুদ্রে থাকার তুলনায় ভগ্নাবশেষটি একটু বেশিই পরিষ্কার, জানিয়েছে মোজাম্বিকের সংবাদসংস্থা এআইএম। অবশ্য সম্প্রতি মোজাম্বিকের ওপর দিয়ে যাওয়া কোনো বিমান ওই ধরনের অংশ হারিয়েছে, এমন খবর নেই।
প্রসঙ্গত, সিয়াটেলের আইনজীবী গিবসন এর আগে ফ্লাইট এমএইচ৩৭০-এর খোঁজে মালদ্বীপ, মরিশাস, মায়ানমার, কম্বোডিয়া এবং ভারত মহাসাগরের বিভিন্ন দ্বীপে পাড়ি দিলেও মোজাম্বিকে তিনি নিছকই বেড়াতে এসেছিলেন। ব্রিটিশ স্যাটেলাইট সংস্থা ইমারসাটের দেওয়া তথ্য থেকে বিভিন্ন দেশের সরকারি অনুসন্ধানকারীদের অনুমান, ফ্লাইট এমএইচ৩৭০ দক্ষিণে উড়ে সোজা ভারত মহাসাগরে ভেঙে পড়েছিল। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের একাংশের দাবি, বিমানটি উত্তরে উড়ে এশিয়ার কোনো অংশে হারিয়ে গেছে। আর স্যাটেলাইট তথ্য বিকৃত করা হয়েছে। তবে গত জুলাইয়ে পশ্চিম ভারত মহাসাগরে (ফ্রান্সের) রিইউনিয়ন দ্বীপে বিমানটির পাখার একটি অংশ ভেসে আসে। সমালোচকদের দাবি, সেটি সন্ত্রাসবাদীরাই পরিকল্পনা করে ওখানে পাঠিয়েছিল। কারণ ইরানের দুজন যাত্রীই বিমানটিকে হাইজ্যাক করেছিলেন। কিন্তু তদন্তকারীরা ওই দুজনের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীদের যোগাযোগের প্রমাণ পাননি। সম্ভবত তারা বেআইনিভাবে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কয়েকজনের দাবি, ভুল গ্রহে খোঁজ চলছে। কারণ বিমানটিকে অপহরণ করেছে ভিনগ্রহীরাই। দ্যা গার্ডিয়ান, ডিডব্লিউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।