Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

সংস্কারে ধীরগতি ও নির্মাণাধীন ব্রিজের বাইপাস সড়ক ধসে জনদুর্ভোগ চরমে

মীরসরাই-ফটিকছড়ি সংযোগ সড়কের বেহাল দশা

| প্রকাশের সময় : ১৭ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আমিনুল হক, মীরসরাই (চট্টগ্রাম) থেকে : মীরসরাই-ফটিকছড়ি সংযোগ সড়কের মীরসরাই পৌর অংশে মানুষের দুর্দশা চরমে। এই অংশের প্রায় দেড় কিলোমিটার জুড়ে গত কয়েক বছর ধরেই মানুষের দুর্ভোগের অন্ত নেই। ২০ কিলোমিটার সড়কের প্রায় ১৯ কিলোমিটার সংস্কার হয়ে মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেও মীরসরাই পৌর অংশে দেড় কিলোমিটার অংশে কাজের ধীরগতি ও নির্মানাধিন ব্রীজের বাইপাস সড়ক ধসে এখন জনদুর্ভোগ আরো চরমে। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কয়েকদিন ধরে এই রুটে চলাচলকারী সকল যানবাহন ও চলাচল বন্ধ। এলাকাবাসী সাংবাদিকদের কাছে তাদের দুর্দশা লাঘবে পৌর কর্তৃপক্ষ, ঠিকাদার সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি করে তাদের দুর্ভোগ লাঘবের আবেদনে। মীরসরাই-ফটিকছড়ি সংযোগ সড়কের মীরসরাই সদর হতে পাহাড়ী পথ বেয়ে শেষ ছড়া হয়ে নারায়ণ পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার সড়ক এখন অনেকটাই ঝকঝকে হয়ে উঠেছে। সড়ক বিভাগের প্রকল্পাধীন রেল লাইন থেকে পাহাড়ী অংশে উক্ত সড়কটির পুনঃনির্মাণ প্রায় শেষের দিকে। বিভিন্ন অংশে প্রটেকশান, ড্রেন নির্মাণ, পানি অপসারণ ব্যবস্থাপনা ও লোহার খুটি স্থাপন এর কাজ চলছে। কোথাও কোথাও পুনঃ রিপেয়ারিংয়ের কাজ চলছে। কিন্তু রেল লাইন থেকে মীরসরাই পৌরসভা পর্যন্ত পৌর অংশের ঠিকাদার ও বাস্তবায়নকারী প্রকল্প ভিন্ন। এই অংশ আরো ১ বছর পূর্বে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় শুরু হলেও এখনো রেল লাইন থেকে রাস্তায় উঁচু নিচু গর্তে দেড় কিলো মিটার সড়কে জনদুর্ভোগ সীমাহীন দুর্দশায় পতিত হয়। ইতিমধ্যে আমবাড়িয়া এলাকায় একটি ব্রীজ নির্মান এর কাজ শুরু করলে নির্মাণাধীন ব্রীজটির জন্য নির্মাণকৃত অস্থায়ী সড়কটি পাহাড়ী ঢলের পানির তোড়ে বৃষ্টিতে ধসে যায়। ধসে যাবার পর মানুষ চলাচলের অযোগ্য হবার পর ও গত প্রায় দেড় মাস ধরে অনেক কষ্ট করে মানুষ চলাচল করছিল। বর্তমানে পুনঃ পাহাড়ী ঢলে একেবারে চলাচলের অযোগ্য হবার পর জন দুর্দশা আরো বেড়ে যায়। আমবাড়িয়া গ্রামের নিয়মিত চলাচলকারী প্রণব সিংহ জানান, উক্ত দুর্দশাময় সড়ক পারাপার হতে বর্তমানে মহিলা শিশু বৃদ্ধ সহ কমপক্ষে ১০জন এই সড়কে আহত হয়েছে। তিনি আরো জানান, অনেকে আমবাড়িয়া ব্রীজ এলাকার এই দুর্দশা এড়াতে তিন কিলোমিটার পথ ঘুরে বাদামতলি ও দক্ষিণ আমবাড়িয়া হয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। যা সাধারন মানুষের জন্য আরো বেদনাদায়ক। গত ১ মাস ধরে যানবাহন অনেক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলে ও এখন সিএনজি, পিকআপ, চাঁদেরগাড়ী সহ সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ এ্ই রুটে। এই বিষয়ে মীরসরাই পৌরসভার স্থানীয় ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নুর নবী বলেন, আমি পৌরসভার সমন্বয় সভায় এই বিষয় উত্থাপন করে মেয়র ঠিকাদারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহণের তাগাদা দিয়েছি। তিনি আরো জানান, বিশ্বব্যাংক এর সাড়ে ৮ কোটি টাকা ব্যায়ে আরো কয়েকটি প্রকল্প সহ উক্ত উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বেশ ধীর গতিতেই চলায় এমন দুর্দশা। তবে এই বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ থেকে বার বার তাগাদা দেয়া হচ্ছে। তবে এই বিষয়ে বক্তব্য গ্রহণের জন্য পৌর মেয়র গিয়াস উদ্দিন ও ঠিকাদার এম শাহজাহান এর মুঠোফোনে বার বার কল দিয়ে ও তাঁদের পাওয়া যায়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সংস্কার

১ সেপ্টেম্বর, ২০২২
১১ জুন, ২০২২
৭ এপ্রিল, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ