রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মুন্সী কামাল আতাতুর্ক মিসেল, চান্দিনা (কুমিল্লা) থেকে : আহ! কুমিল্লার চান্দিনা শহরের যে দিকে তাকাই সেদিকেই ফুটে আছে থোকা থোকা ফুল। নানান জাতের, নানান রঙের। ওরা আপনাকে অভিবাদন জানাচ্ছে। অপরূপ রূপে তারা গোটা শহরকে আলোকিত করে রেখেছে। হঠাৎ এই শহরে বেড়াতে আসা মানুষ ফুলের শোভা দেখে অবাক হয়ে যাবে। চান্দিনার ব্যস্ততম সদর রোড ছাড়াও প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখন পুষ্পে সুশোভিত।
চান্দিনা উপজেলার সাধারণ মানুষের বৃক্ষ ও পুস্পপ্রীতি বহু পুরানো। এক সময় ছায়া সুনিবিড় শান্তি নীড় ছিল এ উপজেলা শহরের বাড়িগুলো। ফলজ, বনজ, ঔষধি গাছের বাহার সহাবস্থান ছিল বাড়িগুলো। বেশিরভাগ বাড়ির প্রবেশপথে ৬০/৭০ গজ বা তারও বেশি ১শ’ গজ পর্যন্ত হেঁটে বাড়িতে ঢুকতে হতো। এ কারণে অনেক বাড়ি নজরেই আসত না। প্রবীণদের কাছ শোনা, চান্দিনার বাড়িগুলোতে আগে শিউলী, হাসনাহেনা, জবা এবং কামিনী ফুলগাছ লাগানো রেওয়াজ পরিণত হয়েছিল। চান্দিনার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পূজা-অর্চনার জন্য হোক, আর বাড়ি সাজানোর জন্য হোক এ কাজটি তাঁরা করতেন। রাতে শহরের আবাসিক এলাকা দিয়ে হেঁটে যাবার সময় কোন পথিক এড়াতে পারত না হাসনাহেনা, কামিনী ও শিউলির গন্ধ। আবাসিক এলাকাগুলোর অনেক রাস্তাই শিউলি ফুলে ছেয়ে যেত ভোর বেলা। কিশোরী-তরুণরা ফুলের মালা গেঁথে পূজার ঘরে দিত। শুধু তাই নয়, গৃহিণীরা শিউলী ফুলের মালা জড়াত খোঁপায়। বাড়ির পথে ছেয়ে থাকতো কৃষ্ণচূড়া, জারুল, কাঠগোলাপ, সুনাইল, রাদাচূড়া ফুলে। তবে এখন আর চান্দিনায় সেই খ্যাতি নেই। সাবেকী আমলের বাড়িগুলো এখন প্রায় নিশ্চিহ্ন। সেখানে গড়ে ওঠেছে বিভিন্ন আধুনিক ডিজাইনের বাড়ি। শিউলী, কামিনী ও হাসনাহেনার গন্ধ এই শহরে বিরল। কৃষ্ণচূড়া রাধাচূড়া, জারুল বাড়িবাড়ি ছায়া দিত। যেখানে বাগান ছিল প্রতিটি বাড়ির বিশাল এলাকা জুড়ে, এখন তা ফ্ল্যাটের বারান্দায় টবে স্থান পেয়েছে। শহরটি রুচিহীন নাগরিকের দৌরাতেœ্য আজ প্রাচীন প্রায় শ্রীহীন। তবুও আশা জাগে প্রাণে। চান্দিনা থেকে ফুলের বাগান প্রায় বিস্মৃত হলেও কিছু দুর্লভ ফুল ও বৃক্ষ এখনও শহরে বর্তমান। এসব বৃক্ষই শহরকে রাঙিয়েছে ফুলে-ফুলে। ব্যস্ত কয়েকটি এলাকাসহ আশপাশের যে কোন সড়কে পথিককে অভিবাদন জানায় অজস্র ফুল। আর চান্দিনা মানুষের মনে ফুলের হিল্লোলে সঞ্চার হয়েছে এক নতুন অনুভূতির।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।