Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ১৩ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

 চলন্ত সিঁড়ি চলে না

প্রায় দুই মাসের বেশি সময় ধরে রাজধানীর বিমানবন্দর মোড়ে ফুটওভারব্রিজের চলন্ত সিঁড়ি বন্ধ আছে। সিঁড়ির মুখে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে চলাচলরত পথচারীদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। মানুষকে বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সড়কের মাঝখান দিয়ে দৌড়ে রাস্তা পার হতে হচ্ছে। এভাবে রাস্তা পারাপারের কারণে যানজট বাড়ছে। ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটছে। যানবাহন সামাল দিতে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ নিয়ে পথচারী থেকে কর্তব্যরত পুলিশ সবার মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। সেতুটি ২০১৬ সালের আগস্টে চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হলেও কিছুদিন পরই এর দুই প্রান্তের চলন্ত সিঁড়িগুলো বন্ধ হয়ে যায়। চলন্ত সিঁড়িটি সকাল সাতটা থেকে বেলা একটা এবং বেলা তিনটা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চালু থাকার কথা। এটি না চলায় যাত্রীরা ‘যত্রতত্র পারাপার আইনত দÐনীয়’ লেখা ব্যানার দেখেও সড়কে গাড়ি থামিয়ে বা দৌড়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছে। মাঝেমধ্যে অনেকেই চলন্ত গাড়ির মুখোমুখি হচ্ছে। কারও গায়ে চলমান গাড়ির ধাক্কাও লাগে।
এছাড়া অনেক বৃদ্ধ, শিশু ও নারীকে ভিড় ঠেলে একটি সিঁড়ি ব্যবহার ও নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
মোহাম্মদ অংকন, ঢাকা।

প্রশ্ন ফাঁস
জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসির পর এবার সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের প্রচলন শুরু হয়েছে। একদিকে প্রশ্নœ ফাঁসের মহাযজ্ঞ, অন্যদিকে কর্মসংস্থানের সীমাবদ্ধতা এ অবস্থায় সততার মূল্য কোথায়? আমরা চাই না, আমরা যারা কম পড়াশোনা করি বা পরীক্ষা খারাপ দিই, তারা চাকরি পাই বা চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই। কিন্তু যারা দিনের পর দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে, নির্ঘুম রাত জেগে পড়াশোনা করে চাকরির আশায়, প্রশ্ন ফাঁসের কারণে তাঁদের চাকরি না পাওয়া সত্যিই আমাদের হতাশ ও হতবিহŸল করে তোলে।
একজন তরুণ শিক্ষাজীবন শেষ করে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেন, বিশেষ করে সরকারি চাকরি লাভের আশায়। কিন্তু তাঁদের সেই আশা-স্বপ্ন ক্রমেই ফিকে হয়ে যায় যখন পরীক্ষায় প্রশ্নœ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। কোনো পরীক্ষায় একবার প্রশ্ন ফাঁস হলে আমরা আশায় থাকি, সামনের পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে হবে। কিন্তু প্রশ্নœ ফাঁসের এই ধারাবাহিকতা চলতে থাকলে চাকরি পাওয়ার আশা ক্রমেই ফিকে হয়ে যায়, আশা নিরাশায় পরিণত হয়। এতে দেশ আপাতদৃষ্টিতে উন্নত হলেও অযোগ্যদের শাসনে রাষ্ট্রীয় কাঠামো দ্রæবল হয়ে পড়বে। সেটা নিশ্চয়ই আমাদের কাম্য নয়।
মো. রাফিউল ইসলাম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন