ইভিএম-এ ভোট কেন?
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম-এ ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কাকতালীয় কিনা জানি না, ১৫০ সংখ্যাটা আমাদের এর আগে চিনিয়েছিলেন রকিবুল
যত্রতত্র কোচিং সেন্টার
প্রতিবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হলেই দেশে নানা চাকচিক্যময় বিজ্ঞাপনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতিমূলক বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের আবির্ভাব ঘটে। একজন শিক্ষার্থী স্বভাবতই তখন কোচিং সেন্টারের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠে।
যত্রতত্র এসব কোচিং সেন্টার নানাভাবে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে লাগামহীন ফি নেয়। কিন্তু এটা যেন দেখার কেউ নেই। কোচিং সেন্টারগুলো যাতে স্বেচ্ছাচারী হতে না পারে, সরকারকে সেদিকে যথেষ্ট নজর দিতে হবে।
অনেক শিক্ষার্থীই মনে করেন, কোচিংয়ের দেওয়া শিট বা প্রশ্নগুলো থেকেই ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন আসবে। কোচিং না করলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া সম্ভব হবে না। শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যাপারে যে ভীতি কাজ করে, তা দূর করতে হবে। এখন আবার অনেক কোচিং সেন্টার নানা দুই নম্বরী করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ভর্তি করে থাকে। তাই একদিকে যেমন আমাদের মনোভাব বদলাতে হবে, তেমনি অন্যদিকে সরকারকেও নজরদারি বাড়াতে হবে।
মো. আবু তাহের মিয়া,
পীরগঞ্জ, রংপুর।
নিয়োগে দীর্ঘসূত্রতা
আমরা চাকরিপ্রার্থীরা বেকারত্বের অবসান ঘটানোর স্বপ্ন দেখি। মন চায়, মা-বাবার কষ্টের সংসারের হাল ধরি। দীর্ঘ ছাত্রজীবনের ইতি টেনে স্বপ্ন দেখি নিজের পায়ে দাঁড়াবার। কষ্টের টাকায় চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেখে আবেদন করি। আবেদনের পর দীর্ঘ সময় পাড়ি দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। ভালো পরীক্ষা হলে কিংবা লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে আরও বেশি আশা জেগে ওঠে আমাদের মনে। কিন্তু হায়, সরকারি নিয়োগে দীর্ঘসূত্রতায় পড়ে আমাদের হাবুডুবু খেতে হয়। কিছু কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠান একের পর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করে চূড়ান্ত ফলাফল বা নিয়োগ কোনোটাই না দিয়ে নিয়োগ স্থগিত করে রাখে। কিন্তু এটা কেন? বিশেষ করে স¤প্রতি ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বিসিকসহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠানে এমন নজির দেখা যাচ্ছে। এতে করে সরকারি প্রতিষ্ঠানে জনবল ঘাটতি দীর্ঘায়িত হচ্ছে এবং বেকারত্বের দুঃসময় দীর্ঘায়িত হচ্ছে। আশা করি, সরকারপ্রধান ও সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষ সরকারি নিয়োগে দীর্ঘসূত্রতা দূর করার পদক্ষেপ নেবে।
রায়হান আলম
পীরগঞ্জ, রংপুর।
দুই মেয়রের প্রতি
আমি প্রায় পাঁচ-সাত বছর আগে ডেইলি স্টার পত্রিকায় একটি অনুসন্ধান ও তথ্যমূলক প্রতিবেদন পডতেছিলাম। বিষয় ছিল: কুয়া খনন করে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর প্রয়োজনীয় মাত্রায় আনা সম্ভব।
প্রতিবেদনে উল্লেখ ছিল, প্রতিবছর ঢাকার ভূগর্ভের পানির স্তর নেমে যাচ্ছে তিন থেকে সাড তিন মিটার। এতে উল্লেখ করা হয়, জার্মানি ও থাইল্যান্ডের দুটি শহরের ভূগর্ভে নেমে যাওয়া পানির স্তর সহনীয় মাত্রায় আনতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ভূগর্ভের বালুর স্তর পর্যন্ত কুয়া খনন করা হয়। দুই বছর পরেইদেখা যায় ভূগর্ভে পানির স্তর ওপরমুখী।
ঢাকার দুই মেয়রের জানার কথা, প্রতিবছর ঢাকার ভূগর্ভের পানির স্তর অতি ব্যবহারের ফলে কোন গতিতে নিচে নামছে এবং ওয়াসাকে ডিপ টিউবওয়েল দিয়ে পানি তুলতে ভূগর্ভের কোন অতলে যেতে হচ্ছে।
এখন বৃষ্টির মৌসুম। মাননীয় মেয়রদ্বয়, কুয়া খনন করে বৃষ্টির পানি ভূগর্ভের প্রয়োজনীয় স্তরে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিতে পারেন। ভবিষ্যতে উপকার পাওয়া যাবে।
জাহিদ হায়দার
সিদ্ধেশ্বরী, ঢাকা।
অভিভাবকদের জন্য
পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে এখন কে বেশি চিন্তিত থাকে? পরীক্ষার্থী নাকি অভিভাবক? সত্যি বলতে গেলে, পরীক্ষার্থীরা এখন বেশি চিন্তা করে পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে নয় বরং মা বাবা ও সামাজিক চাপের ভার নিয়ে। এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হলো সেদিন। আমার নিকটাত্মীয়ের ছেলে পরীক্ষা দিয়েছিল। ভালো ফল করেছে, জিপিএ–৪.৬৯ পেয়েছে। কিন্তু বাবা–মা ছেলেটির সঙ্গে বিরূপ আচরণ করছে। তাকে বলেছে, আর পড়াশোনা করতে হবে না। এমনকি তারা মিষ্টিও বিতরণ করেনি। একটাই কারণ, তাদের সন্তান এ+ পায়নি!
ছেলেটি আমাকে আগেই এই ভয়ের কথা বলেছিল। সে এও বলেছিল, সে সবকিছু নিজে থেকে লিখেছে। আর তার গণিত পরীক্ষা খারাপ হয়েছে। আমি তখন তাকে বলেছিলাম, তুমি শুধু ভালো করার চেষ্টা করে যাও। কিন্তু সে বারবারই বলছিল, এ+ না পেলে বাবা–মা বাড়িতেই থাকতে দেবে না তাকে। শুধু তার বেলায় নয়, আমার আশপাশের সব অভিভাবকই আশা করেছে, তাদের সন্তান এ+ পাবে। যারা এ+ পায়নি, তাদের কারও বাড়ি থেকেই মিষ্টি বিতরণ করা হয়নি!
বিষয়টা হচ্ছে, এ+ জীবনের সব নয়। তার প্রমাণ হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েক সেশনে এ+এর চেয়ে কম গ্রেড পাওয়া ছাত্ররাই বেশি ভর্তি হয়েছে। আর শিক্ষার কাজ উন্নত ও কর্মদক্ষ মানুষ তৈরি করা, জিপিএ–৫ পাওয়া মানুষ নয়।
সাঈদ চৌধুরী
শ্রীপুর, গাজীপুর।
অ্যানালগ নীতিমালা
ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে জাতীয় শিক্ষানীতিতে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বাধ্যতামূলক বিষয় চালু রয়েছে।
বিশ্বে যেভাবে সাইবার নিরাপত্তা হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা দেখে মনে হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তির শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা অপরিহার্য। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির উপযুক্ত শিক্ষক না থাকায় আইসিটি অধিদপ্তরের সহায়তায় স্থাপিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার ল্যাব এবং প্রযুক্তি শিক্ষা সম্পূর্ণ হচ্ছে না।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কিছু সহকারী পরিচালক দ্বারা এনটিআরসিএ প্রতিষ্ঠানটি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হলো, ১৩তম কম্পিউটার সায়েন্স প্রভাষক নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষায় প্রার্থীদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রকৌশল বিভাগের স্নাতক ও স্নাতকোত্তরদের নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এই বিষয়টি মানবিক অনুষদভুক্ত। আর প্রার্থীদের ছয় মাসের কম্পিউটার সনদ নেই। এভাবেই আইসিটি গ্র্যাজুয়েটদের বাদ দিয়ে ছয় মাসের কম্পিউটার সার্টিফিকেটধারী নন–আইসিটি স্নাতকধারীদের কম্পিউটার প্রভাষক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এটা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অ্যানালগ নীতিমালা নয় কি!
মো. আরিফ হোসেন,
কুষ্টিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।