Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সন্ত্রাসীদের অর্থায়নের অভিযোগ কাতারের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের

| প্রকাশের সময় : ১২ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : অবশেষে কাতারের প্রতি নমনীয় অবস্থান থেকে যুক্তরাষ্ট্রও সরে এল। চরমপন্থীদের অর্থায়নে কাতার রীতিমতো নেতার ভূমিকায় রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ ধরনের তহবিলায়ন দ্রæত বন্ধের আহŸান জানানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে। অথচ কয়েক দিন আগেও কাতারকে অবরোধমুক্ত করতে সউদি আরব ও এর মিত্রদের প্রতি আহŸান জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কাতারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের এ নতুন অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছে সউদি আরব ও বাহরাইন।  যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন আগে এক বিবৃতিতে সউদি আরব ও এর মিত্রদেরকে কাতারের ওপর বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার আহŸান জানিয়েছিলেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সা¤প্রতিকতম অভিব্যক্তিতে রেক্সের ঘোষণা অনেকটাই আবেদন হারিয়েছে। গত শুক্রবার হোয়াইট হাউজের রোজ গার্ডেনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, কাতারকে সন্ত্রাসীদের অর্থায়ন ও চরমপন্থী মতাদর্শ ত্যাগের আহŸান জানানোর সময় চলে এসেছে। এর মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সহযোগী দেশটির সঙ্গে ওয়াশিংটনও কূটনৈতিক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ল। প্রসঙ্গত, স¤প্রতি সউদি আরব ও এর উপসাগরীয় মিত্র দেশগুলো সমন্বিতভাবে কাতারকে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে একঘরে করে রেখেছে। গত শুক্রবার ট্রাম্প আরো জানান, গত সপ্তাহে আরব দেশগুলোর প্রধানদের সঙ্গে তার বৈঠক হয়। সেখানে নেতারা বলেন, চরমপন্থী দলগুলোকে মদদ দেয়ার পাশাপাশি সউদির শত্রু ইরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে কাতারের। এর পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্প বলেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সহজ রাস্তায় হাঁটব নাকি কঠিন হলেও প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব? সবকিছুর ওপর আমাদেরকে সন্ত্রাসীদের অর্থায়ন বন্ধ করতে হবে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি কাতার অনেক দিন ধরেই সন্ত্রাসীদের ব্যাপক মাত্রায় অর্থায়ন করে আসছে। কাতারের প্রতি মার্কিন এ অবস্থান প্রকাশের আগে সউদি ও এর মিত্ররা কয়েক ডজন প্রতিষ্ঠান ও ৫৯ জন ব্যক্তিকে জঙ্গিবাদে সমর্থনের অভিযোগে নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত করে। অভিযুক্তদের বেশির ভাগই কাতার অথবা কাতারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এর পরিপ্রেক্ষিতে কাতার সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতে কখনই সন্ত্রাসী দলগুলোকে সমর্থন করিনি। এদিকে সুন্নি ইসলামপন্থী থেকে রক্ষণশীলতার দিকে ঝুঁকে যাওয়ার পর থেকেই কাতারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক জটিল হয়ে পড়েছে। যদিও উপসাগরের এই ছোট্ট দেশটি এখনো যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ সামরিক সহযোগী। দোহার ঠিক পাশেই বিমানঘাঁটিতে ১১ হাজারের বেশি মার্কিন জোট সেনা রয়েছে। সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেন ও আফগানিস্তানে বিমান অভিযান পরিচালনার সময় এ বিমানঘাঁটি কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হয়। কাতারের পক্ষ থেকে এর আগে ট্রাম্পকে আহŸান জানিয়ে বলা হয়েছিল, চলমান সংকট সমাধানে তার ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে খুবই নমনীয়ভাবে হস্তক্ষেপের অনুরোধ করা হয়। গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রে নিয়োজিত কাতারের রাষ্ট্রদূত বলেন, আমাদের বিশ্বাস বর্তমান সংকট তিনিই (ট্রাম্প) সমাধান করতে পারেন। অন্যদিকে শুক্রবার ট্রাম্পের বক্তব্য প্রকাশ হওয়ার মাত্র ১ ঘণ্টা আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন উপসাগরীয় দেশগুলোর প্রতি কাতারের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহŸান জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, কাতারের ওপর বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞায় আইএসের বিরুদ্ধে মার্কিন সামরিক বাহিনীর যুদ্ধ প্রতিহত হচ্ছে। সেসঙ্গে এর মানবিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও অনেক। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাহরাইন, মিসর, সউদি আরব ও ইউএই গত সোমবার কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে।  এএফপি, গার্ডিয়ান, রয়টার্স।



 

Show all comments
  • কাকন ১২ জুন, ২০১৭, ২:৩৫ এএম says : 0
    কাতারকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Nazrul Islam ১২ জুন, ২০১৭, ২:১১ পিএম says : 0
    এর মাথায় দোষ।এ মুসলমানদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করছে। বুশ আফগানিস্তান ও ইরাক ধ্বংস করছে।ওবামা লিবিয়া, ইরান ধ্বংস করছে। এখণ ঢাম্প সৌদিআরব ও কাতার ধ্বংস করার পরিকল্পনা করছে।সুতারাং মুসলমানদের এখণ ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Sha Hossain ১২ জুন, ২০১৭, ২:১৩ পিএম says : 0
    আমেরিকার চরিত্র ভয় দেখিয়ে ভক্তি করানো।বোম মেরে বিস্কুট দান করে উপড়ে ভালো ভিতরে কালো।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ট্রাম্প


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ