পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এ. কে. এম. ফজলুর রহমান মুন্শী : সদকায়ে ফিতরা আদায়ের মধ্যে আধ্যাত্মিক, নৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক কল্যাণ ও মঙ্গল নিহিত আছে। এ প্রসঙ্গে হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন: রসূলুল্লাহ (সাঃ) ঘোষণা করেছেন: সদকায়ে ফিতরা রোজাদারকে নিরর্থক অবাঞ্ছনীয় এবং নির্লজ্জতামূলক কথাবার্তা বা কর্মকান্ডের মলিনতা হতে পবিত্র করে এবং গরীব মিসকীনদের (অন্ততঃ ঈদের দিনের জন্য হলেও) উত্তম খাদ্যের ব্যবস্থা করে বিধায় এটা অবশ্য আদায়যোগ্য। যে ব্যক্তি তা ঈদের নামাজের পূর্বেই আদায় করবে, তা ওয়াজিব সদকা হিসেবে আল্লাহ পাকের নিকট মকবুল হবে। আর যে ব্যক্তি ঈদের নামাজের পর আদায় করবে, তা তার সাধারণ দান হিসেবে পরিগণিত হবে। (সুনানে আবু দাউদ, সুনানে ইবনে মাজাহ)।
এ হাদীসের আলোকে স্পষ্টতঃ জানা যায় যে, সদকায়ে ফিত্্র আদায়ের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক কল্যাণ এই যে, ফিতরা আদায়কারী ব্যক্তি শরীয়ত বিরোধী কোন কাজে পরিলিপ্ত হয় না এবং অর্থের ও অপচয় করে না। যদি নিজের অজান্তে বা অলক্ষ্যে শরীয়ত লঙ্ঘনকারী কোন কাজ হয়ে যায়, বা কোন পাপ কাজ করে ফেলে, কোন অশ্লীল কথা মুখ হতে বের হয়ে যায়, তাহলে সদকায়ে ফিত্্র আদায়ের বদৌলতে আল্লাহপাক তা ক্ষমা করে দেবেন। আর সামাজিক ও অর্থনৈতিক কল্যাণে এই যে, এর দরুণ সমাজের গরীব মিসকীন লোকেরা সাময়িকভাবে হলেও এমন পরিমাণ অর্থ লাভে সমর্থ হয় যার দ্বারা তাদের ও পরিবার বর্গের অন্ততঃ ঈদের দিনে ভালো খাওয়া ও ভালো পরার সুযোগ লাভ করে থাকে।
উপরোক্ত হাদীস হতে সদকায়ে ফিত্্র আদায় করার উত্তম সময়ের কথাও জানা যায়। সদকায়ে ফিত্্র আদায় করার উত্তম সময় হলো ঈদুল ফিতর সালাতের পূর্বে। ঈদের সালাতের পূর্বে বলতে ঈদের দিন ঈদের নামাজের পূর্বে যেমন বুঝায়, তেমনি এর আগের দিনও বুঝায়। সুতরাং সদকায়ে ফিত্্র ঈদের নামাজের পূর্বে অথবা তার পূর্ববর্তী দিনগুলোতে আদায় করা উত্তম। যদি কেউ ঈদের নামাজের পরে অথবা তৎপরবর্তী দিনে আদায় করে তবে সদকায়ে ফিত্্র আদায় হয়ে যাবে ঠিকই, কিন্তুু উত্তমতার জন্য যে সওয়াব নির্ধারিত আছে, তা লাভ করা সম্ভব হবে না। এ জন্য আফজলিয়্যাতের প্রতি দৃষ্টি রাখা সকল সদকায়ে ফিত্্র আদায়কারীর উচিত। আল্লাহপাক আমাদেরকে এর তাওফীক এনায়েত করুন, আমীন!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।