Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এবারের সর্বনিম্ন ফিতরা ৭০ টাকা সর্বোচ্চ ১৯৮০ টাকা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ মে, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

১৪৪০ হিজরি সনের সাদাকাতুল ফিতর-এর হার জনপ্রতি সর্বোচ্চ ১৯৮০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান। সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, ইসলামী শরীয়াহ মতে আটা, খেজুর, কিসমিস, পনির ও যব ইত্যাদি পণ্যগুলোর যে কোন একটি দ্বারা ফিতরা প্রদান করা যায়।
আটা দ্বারা ফিতরা আদায় করলে অর্ধ সা’ বা ১ কেজি ৬শ’ ৫০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ৭০ (সত্তর) টাকা প্রদান করতে হবে। যব দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ৫০০ (পাঁচশত) টাকা, কিসমিস দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩শ’ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ১৩২০ (এক হাজার তিনশত বিশ) টাকা, খেজুর দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ১৬৫০ (এক হাজার ছয়শত পঞ্চাশ) টাকা ও পনির দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ১৯৮০ (এক হাজার নয়শত আশি) টাকা ফিতরা প্রদান করতে হবে। দেশের সকল বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা, যব, খেজুর, কিসমিস ও পনিরের সর্বোচ্চ বাজার মূল্যের ভিত্তিতে এই ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে। মুসলমানগণ নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী উপরোক্ত পণ্যগুলোর যে কোন একটি পণ্য বা এর বাজার মূল্য দ্বারা সাদাকাতুল ফিতর আদায় করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, উপরোক্ত পণ্যসমূহের স্থানীয় খুচরা বাজার মূল্যের তারতম্য রয়েছে। স্থানীয় মূল্যে পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বেফাকের মহাসচিব মাওলানা মো. আবদুল কুদ্দুছ, ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আলমগীর রহমান, ঢাকা নেসারিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মুফতী কাফীলুদ্দীন সরকার, ফরিদাবাদ মাদরাসার ফাতওয়া বিভাগের পরিচালক মুফতী আবদুস সালাম, কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া কামিল মাদরাসার প্রধান মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ড. মাওলানা মুহাম্মদ আবদুস সালাম, দ্বীনী দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক আনিছুর রহমান সরকার, পরিচালক মোঃ আনিসুজ্জামান শিকদার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক ড. মাওলানা আবদুল জলীল, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতী মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মুহাদ্দিস মাওলানা ওয়ালীয়ুর রহমান খান ও মুফাসসির ড. মাওলানা আবু ছালেহ পাটোয়ারী প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফিতরা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ