Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

" নিয়ম জেনে আসুন এখনই ফিতরা দিয়ে দেই।"

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ মে, ২০২০, ২:০০ পিএম

দেশের বড় বড় আলেম,মুফতি ও মাশায়েখ সম্মেলনে পরামর্শ করে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুসারে এ বছরের জনপ্রতি ফিতরার হিসাব,

১. পনির ৬৬৭ টাকা করে = ২২০০ টাকা
২. খেজুর ৫০০ টাকা করে = ১৬৫০ টাকা
৩. কিসমিস ৪৫৪ টাকা করে = ১৫০০ টাকা
৪. যব ৮২ টাকা করে = ২৭০ টাকা
৫. গম ও আটা ৪২ টাকা করে = ৭০ টাকা

এটাকে পত্রিকার খবর হিসেবে না দেখে অন্যভাবেও দেখা যায়।

১. আপনি নিম্ন মধ্যবিত্ত, অথচ ঈদের সময় আপনি নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক। সাধারণ অবস্থায় আপনার অর্থ সম্পদ সীমিত। আপনি ফিতরা দেবেন পরিবারের সকল সদস্যের মাথাপিছু ৭০ টাকা করে।

২. আপনি মধ্যবিত্ত। আপনার পরিবারের পেছনে মোটামুটি টাকা পয়সা ব্যয় করার চলনসই সামর্থ্য আপনার আছে। আপনার জন্য সদস্য প্রতি ফিতরা ২৭০ টাকা।

৩. মাসে ৫০/৬০ হাজার টাকা পরিবারের পেছনে ব্যয় করেন আপনি। কয়েক লাখ টাকা জমানো সম্ভব হয়েছে। রমজান ও ঈদের বাজারে হাজার হাজার টাকা খরচের শক্তি আছে। আল্লাহ আপনাকে সেই সামর্থ্য দিয়েছেন। ফিতরা দেবেন - ১৫০০ টাকা মাথাপিছু।গরীবরাও ঈদের দিন পছন্দের খাবার নিতে পারবেন।

৪. আলহামদুলিল্লাহ, আপনার আয় লাখ টাকা। ব্যবসা, আয়, সম্পদ প্রচুর। কয়েক হাজার টাকা দিয়ে দেওয়ার মতো শক্তি আল্লাহ আপনাকে দিয়েছেন। আপনি মাথাপিছু ১৬৫০ টাকা ফিতরা অনায়াসে দিতে পারেন।

৫. আপনি কোটি টাকা ও প্রচুর সহায় সম্পদের মালিক। নিজের পরিবারের পেছনে ব্যয় করেন লাখ লাখ টাকা। পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৫ জন। মাথাপিছু ২২০০ টাকার মতো বা আরো বেশি দিলেও আপনাকে দিতে হবে ১০/১৫ হাজার টাকা মাত্র।

আপনার আয় বা ব্যয়ের তুলনায় এটা খুবই সামান্য।

আল্লাহ আপনাকে প্রিমিয়াম আয় প্যাকেজে রেখেছেন, কেন আপনি আল্লাহর বান্দাদের দেওয়ার সময় সস্তা প্যাকেজ খুঁজবেন?

আপনার রোজার ভুলত্রুটি মাফ ও পরিবারের সকলের জানের সদকা এবং আধ্যাত্মিক মানবিক উন্নয়ন ছাড়াও এর একটা আর্থসামাজিক প্রভাব রয়েছে। ঈদের দিন যেন কেউ অভুক্ত না থাকে, যার সামর্থ্য আছে তার উপর যেহেতু জাকাতুল ফিতর দেওয়া ওয়াজিব তাই এর মাধ্যমে প্রচুর খাবার বা টাকা হাত বদল হবে, সুতরাং প্রায় সবার ঘরেই প্রয়োজন পূরণের মতো কিছু না কিছু খাবার থাকবে। মুসলমানদের প্রধান আনন্দ উৎসবের দিনে আল্লাহর পক্ষ থেকে দেওয়া রিজিক ও রহমত থেকে কেউ একেবারে বঞ্চিত থাকবে না। অতএব, দান সদকা জাকাত ফিতরা ও ঈদ উপলক্ষে সৌজন্য উপহার প্রাণখুলে দিন। এখন থেকে দিতে শুরু করে শত শতগুণ সওয়াবের মৌসুমের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দিতেই থাকুন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ