Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

শঙ্কা কাটিয়ে ব্রেক্সিট আলোচনা শুরু করতে ইইউ-ব্রিটেন প্রস্তুত

যথাসময়ে আলোচনা শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মারকেলও

| প্রকাশের সময় : ১১ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়া বা ব্রেক্সিট আলোচনায় যুক্তরাজ্যের অবস্থান জোরদার করতে নির্ধারিত সময়ের আগে সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরিসা মে। তবে নির্বাচনের ফলাফলে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোয় আলোচনা শুরুর ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। এবার শঙ্কা কাটিয়ে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আলোচনা শুরুর প্রত্যয়ের কথা জানিয়েছে দু’পক্ষই। পূর্বনির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী, চলতি মাসের শেষে ইইউর সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রেক্সিট আলোচনা শুরু করার কথা ব্রিটেনের। তার আগে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশটির সা¤প্রতিক রাজনৈতিক গতিবিধি এ প্রক্রিয়াকে পিছিয়ে দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। বিশেষত ব্রিটেনে জোট সরকার গঠনে সময় প্রয়োজন হবে বলে এ যুক্তি সামনে এসেছিল। কিন্তু থেরিসা মে দ্রæতই নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টিকে (ডিইউপি) নিয়ে জোট সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। গতকাল বাকিংহাম প্যালেসে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে দেখা করে সরকার গঠনের অনুমতি চেয়েছেন তিনি। এরপর ডাউনিং স্ট্রিটে ফিরে তিনি বলেন, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আমি নির্বাচনের ১০ দিনের মধ্যে ব্রেক্সিট আলোচনা শুরু করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। এদিকে জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেলও যথাসময়ে আলোচনা শুরুর বিষয়ে ইইউর প্রস্তুত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত শুক্রবার মেক্সিকো সফরকালে তিনি বলেন, আলোচনা শুরুর ব্যাপারে ইইউ প্রস্তুত রয়েছে। আমি আশা করছি, ব্রিটেনও পূর্বনির্ধারিত সময়সূচি মেনে চলবে। আলোচনা প্রক্রিয়া কঠোরভাবে অনুসরণ করবে। ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক নির্বাচনে জয়ের পরে থেরিসা মেকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে ব্রিটেনের জোট সরকারকে ব্রেক্সিট আলোচনার কঠিন পথ অনুসরণ করতে হবে। আলোচনা শুরুর বিষয়ে সময়ক্ষেপণের কোনো সুযোগ নেই। প্রসঙ্গত, গত বছর জুনে ইইউ ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ৫২ শতাংশ ব্রিটিশ নাগরিক। জোটের লিসবন চুক্তির ৫০ ধারা মোতাবেক চলতি বছর মার্চে আনুষ্ঠানিকভাবে জোট ত্যাগের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন থেরিসা মে। চুক্তি অনুযায়ী, আলোচনা শুরুর দুই বছরের মাথায় সব ধরনের পাওনা পরিশোধ করে জোট ত্যাগ করতে হয় সদস্য দেশকে। মার্চে জোট ত্যাগের অভিপ্রায় ব্যক্ত করলেও ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে নিজের ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করতে আকস্মিকভাবে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন মে। তবে নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি। ব্রিটেনের নিয়ম অনুযায়ী, এককভাবে সরকার গঠন করতে হলে কোনো দলকে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অব কমন্সের ৬৫০টি আসনের মধ্যে ৩২৬টি আসন লাভ করতে হয়। কনজারভেটিভ পার্টির আসন সংখ্যা আগের চেয়ে ১২টি কমে ৩১৮তে নেমেছে। তাই ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বাধ্য হয়ে জোট সরকার গড়ছেন থেরিসা মে। বিবিসি,স্কাই নিউজ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্রেক্সিট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ