পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
রেবা রহমান, যশোর থেকে : প্রচন্ড গরমে শেষের দিকে ঠেলাঠেলি করে জিনিসপত্র কেনা কষ্টকর হবে, তাই এবার আগেভাগেই ঈদের কেনাকাটা করছি, তবে দাম বেশী, কথাগুলো বললেন যশোর কাপুড়িয়া পট্টিতে ঈদের মার্কেট করতে আসা চৌগাছার এক গৃহবধূ। তিনি স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে পছন্দসই কেনাকাটা করতে যশোর এসেছেন। দোকানীরা বলছেন, রমজানের তৃতীয় দিন থেকে বাজারে ক্রেতাসাধারণকে আসতে দেখা যাচ্ছে। রমজানের আগেও কেউ কেউ এসেছেন। যদিও মূল বেচাকেনা শেষের দিকেই হয় প্রতিবারই। ঝিকরগাছার এক ব্যবসায়ী স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন যশোর এইচ এম এম রোডে। তার সাথে কথা হলে তিনি জানান, কেনাকাটা তো করতেই হবে। তাই আগে-ভাগেই করাই ভালো। সাধ আছে সাধ্য নেই, ঈদের ক্ষেত্রে তা যেন প্রযোজ্য নয়। যেভাবেই হোক পরিবার-পরিজনের জন্য নতুন জামা কাপড় ও জিনিসপত্র কেনার ব্যাপারে কার্পন্য করা ঠিক হবে না। তাই ছুটে এসেছি। একই ধরণের কথা বললেন কাপুড়িয়া পট্টির মনসা বস্ত্রালয়ে চৌগাছার এক কলেজ শিক্ষক। তিনি বললেন, যাকাতের কাপড় কেনা ও বিলি করতে সময় লাগবে, তাছাড়া পরিবারের পছন্দসই কাপড় জুতা স্যান্ডেল কিনতে তো সময় লাগবে, তাই সময় হাতে নিয়ে ঈদ মার্কেটে নেমেছি।
শুধু যশোর নয়, বরাবরের মতো এবারও জেলার সকল উপজেলায় ঈদ মার্কেটে উপচেপড়া ভিড় হচ্ছে। তবে লক্ষ্য করা গেছে, বাহারী ও নামী দামী জিনিসপত্র ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটা হচ্ছে তুলনামূলকভাবে কম। যে যার সাধ্যমতো জিনিস কিনছেন বেশ হিসাব-নিকাশ করে। যাকাতের জন্য শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন গরীব, দুঃস্থ ও অভাবী লোকজন। যারা প্রতিবছরই একাধিক লোকের কাছ থেকে পবিত্র ঈদুল ফেতরে যাকাতের কাপড় চোপড় পেয়ে থাকে। রমজানের মাঝামাঝি থেকে পাড়া ও মহল্লায় দানশীল, অর্থবিত্তশালী লোকদের বাড়ী বাড়ী যাকাত নেয়ার জন্য ভিড় লাগবে।
যশোরের মুবি সড়কের সুই-সুতা, কাপুড়িয়া পট্টির মনষা বস্ত্রালয়, অন্যন্য সড়কের রং ফ্যাশন, শাড়ী ঘর, জেস টাওয়ার, তাঁত কুটির, বিদিশা, লিবার্টি স্যু, লেডিস কর্ণারসহ বিভিন্ন অভিজাত বিপণীতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়েছে। লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, অভিজাত বিপণীতে বেচাকেনা তুলনামূলকভাবে কম। বেশী বিক্রি হচ্ছে সাধারণ ঈদ মার্কেটে। যশোরে গরীবের মার্কেট হিসেবে পরিচিত কালেক্টরেট মার্কেটে ভিড় বেশী। এক ব্যবসায়ী বললেন, এবার শিশু ও কিশোরদের পাঞ্জাবী, জুতা, স্যান্ডেল ও টি শার্ট এবং থ্রি-পিস বিক্রি হচ্ছে বেশী। বড়দের জিনিসপত্রও বিক্রি হচ্ছে কম। ইমিটেশনের কানের দুল, চুড়ি ও পারফিউমের দোকানেও ভিড় আছে। ঈদমার্কেটে সাধারণত সকালে আর কিাল থেকে রাতপর্যন্ত ভিড় হচ্ছে। দুপুরে রাস্তাঘাট দোকা পাটে লোকজনের উপস্থিতি একেবারেই কম। এর কারণ প্রচন্ড তাপদাহ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।