Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ব্রেক্সিট আলোচনায় ছায়া দেখছেন ইইউ নেতারা

| প্রকাশের সময় : ১০ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে ক্ষমতাসীন টোরিদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোয় ব্রেক্সিট আলোচনা পিছিয়ে যেতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা। আগামী ১৯ জুন থেকে ইইউর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ব্রেক্সিট আলোচনা শুরুর কথা আছে। ইউরোপীয় কমিশনে জার্মান প্রতিনিধি গুন্থা ওটিনা বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৯ জুন ব্রেক্সিট আলোচনা শুরু অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আমাদের এমন একটি সরকার প্রয়োজন যারা কাজ করতে পারবে। আলোচনার অংশীদার দুর্বল হলে সেখানে আলোচনার ফল উভয় পক্ষের জন্যই খারাপ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। আমার মনে হয় এখন পরিস্থিতি আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়লো। ব্রেক্সিট আলোচনা এখন  আরও দীর্ঘায়িত এবং জটিল হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এদুয়ার্দো ফিলিপ। ইইউ গঠনতন্ত্রের আর্টিকেল ফিফটি অনুযায়ী কোনও দেশকে ইইউ ত্যাগের জন্য দুই বছর সময় বেঁধে দেওয়া আছে। অর্থাৎ, লিসবন চুক্তির আর্টিকেল ফিফটি কার্যকরের পর দুই বছরের মধ্যে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শেষ করে ইউউ থেকে যুক্তরাজ্যকে বেরিয়ে যেতে হবে। সে হিসাবে যুক্তরাজ্যের হাতে ২০১৯ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত সময় আছে। জার্মানির ইউরোপ বিষয়ক মন্ত্রী মাইকেল রোথ বলেন, আলোচনার মাধ্যমে দুই বছরের মধ্যে একটি চুক্তিতে উপনীত হতে হলে হাতে খুব বেশি সময় নেই। আমাদের সময় নষ্ট করা উচিত হবে না। ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী  ইউহা সিপিলা বলেন, পরিস্থিতি এখনও অনিশ্চিত এবং এতে কারোই লাভ হবে না। বছরখানেক আগে ঐতিহাসিক গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পক্ষে (ব্রেক্সিট) রায় দেয় যুক্তরাজ্যবাসী। ইইউতে থেকে যাওয়ার পক্ষে প্রচার চালানো তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ওই রায়ের পর পদত্যাগ করলে দায়িত্ব নেন মে। মে নিজেও ব্রেক্সিটের বিপক্ষে ছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর একটি সফল ব্রেক্সিট আলোচনার জন্য সব কিছু করার প্রতিশ্রæতি দেন তিনি। পূর্ব ঘোষিত সময় অনুযায়ী মার্চে ইইউকে চিঠি পাঠিয়ে ব্রেক্সিট ঘণ্টাও বাজান তিনি। কিন্তু ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে শুরুতেই পার্লামেন্টে বিরধিতার মুখে পড়ে নিজেদের অবস্থান আরও দৃঢ় করতে এপ্রিলে হঠাৎ করেই আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন মে। আগাম নির্বাচনের কারণ ব্যাখ্যায় মে বলেছিলেন, ব্রেক্সিট সামাল দেওয়ার মতো একটি নিশ্চিত, স্থিতিশীল ও শক্তিশালী সরকার প্রয়োজন। ব্রেক্সিট আলোচনায় নিজের অবস্থানকে আরও সুসংহত করতেই আগাম নির্বাচন দিয়েছেন তিনি। নির্বাচনে প্রতিপক্ষ লেবার নেতা জেরেমি করবিনকে অর্থনীতি এবং ব্রেক্সিট সব ক্ষেত্রেই একজন দুর্বল এবং অসহায় নেতা হিসাবে তুলে ধরেছিলেন তিনি। ব্রেক্সিট আলোচনা ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় ইইউ নেতারাও নির্বাচনে মে’র সংখ্যাগরিষ্ঠতা আশা করেছিলেন। রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্রেক্সিট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ