পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রকল্পে ব্যয় হবে ৭৭ কোটি টাকা : তথ্য-প্রযুক্তি গবেষণা ও উদ্ভাবনীর সুযোগ খুলে যাবে
শফিউল আলম : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) স্থাপিত হচ্ছে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের প্রথম ‘আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর’। ‘চুয়েট আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর’ নামক এ প্রকল্পে ব্যয় হবে প্রায় ৭৭ কোটি টাকা। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ প্রকল্প ব্যয় বরাদ্দ অনুমোদন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই যুগান্তকারী উদ্যোগকে কেন্দ্র করে চুয়েটে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। অত্যন্ত সম্বাবনার ধারক তথ্য-প্রযুক্তি খাতে দেশীয় সক্ষমতাকে যুগোপযোগী করা এবং সুদক্ষ জনবল গড়ে তুলতে এ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয় বলে গতকাল (বুধবার) জানিয়েছেন চুয়েটের ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এদিকে এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পটি অনুমোদনের পরপরই ফেসবুক স্ট্যাটাসে আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের নকশার দু’টি ছবি প্রকাশ করে আইসিটি পরিবারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি।
আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর প্রকল্প সম্পর্কে চুয়েট ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, বর্তমান সরকার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গঠনের লক্ষ্যে তথ্য প্রযুক্তির উপর দেশব্যাপী অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় বিজ্ঞান ও প্রকৌশল মনষ্ক জাতি বিনির্মাণের লক্ষ্যে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের প্রথম ‘চুয়েট আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর’ স্থাপন একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। যুগোপযোগী এ প্রকল্পের সম্ভাবনা ও গুরুত্ব অনুধাবণ করে এর বাজেট ৭৭ কোটি থেকে প্রয়োজনে আরো বাড়ানোর জন্যও একনেক সভা থেকে পরামর্শ প্রদান করা হয়। এ প্রকল্পটি অনুমোদন করায় আমরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অকুণ্ঠ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। একই সঙ্গে এই প্রকল্প প্রণয়ণ ও অনুমোদনে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতিও সকৃতজ্ঞ ধন্যবাদ।
ভিসি বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য-প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত গ্রাজুয়েটদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে, একাডেমিক কার্যক্রমকে শিল্পের চাহিদানুসারে তৈরি করার সংযোগ স্থাপন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ এবং শিক্ষার্থীদের জন্য গবেষণা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রমের সুযোগ সৃষ্টি এবং ভৌত অবকাঠামোসহ আনুষঙ্গিক সুবিধা নিশ্চিত করবে ‘চুয়েট আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর’ প্রকল্প। চুয়েটের অগ্রযাত্রায় বর্তমান সরকার আন্তরিক সহযোগিতা করে যাচ্ছে। গত ফেব্রæয়ারিতে ৩২০ কোটি টাকার একটি ডিপিপি (ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট প্ল্যান) একনেক সভায় অনুমোদিত হয়েছে। এসব বড় প্রকল্পগুলো সুন্দরভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকারের প্রয়াস সফল ও সার্থক করে গড়ে তুলতে চুয়েট পরিবারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।
একনেক-এর সভায় গত মঙ্গলবার একনেক চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চুয়েট আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর প্রকল্পটির অনুমোদন প্রদান করেন। বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের তত্ত¡াবধানে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। সম্পূর্ণ সরকারি (জিওবি) অর্থায়নে ৭৬ দশমিক ৯১ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে এ প্রকল্পটি জুলাই, ২০১৬ থেকে জুন, ২০১৯ পর্যন্ত মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে। এ প্রকল্পের আওতায় চুয়েট ক্যাম্পাসে ১০ তলা ভবনের ৭ তলা পর্যন্ত ইনকিউবেশন ভবন তৈরি হবে। ৭ তলা ভবনটির প্রতি ফ্লোরে ৫ হাজার বর্গফুট করে মোট ৩৫ হাজার বর্গফুট স্পেস থাকবে। এছাড়া ৬ তলা ভিত্তিসহ ৪ তলা পর্যন্ত ২ টি ডরমেটরি ভবন থাকবে। যার প্রতি ফ্লোরে ৫ হাজার করে দু’টি ভবনে মোট ৪০ হাজার বর্গফুট এবং ৮ তলা ভিত্তির ৬ তলা পর্যন্ত মাল্টিপারপাস প্রশিক্ষণ ভবন, যার প্রতি ফ্লোরে ৬ হাজার বর্গফুট করে মোট ৩৬ হাজার বর্গফুট জায়গা থাকবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশীয় আইটি খাতে সফল উদ্যোক্তা তৈরি হবে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে উদ্ভাবনী কার্যক্রমকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি আইটি শিল্পে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের সুযোগ আরও অবারিত করার মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের আয় প্রত্যাশিত মাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হবে আশা করছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।