Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জুয়েলারী শিল্প ধ্বংসের পায়তারা

| প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম


স্টাফ রিপোর্টার : আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলের ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো শিল্পকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন জুয়েলার্স ব্যবসায়ীরা।
তারা বলছেন, একটি চক্র পুরো জুয়েলারি ব্যবসা বন্ধ করে দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। সারা দেশে জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা এখন নানাভাবে হয়রানির করা হচ্ছে। এ অবস্থায় অনেকেই শো-রুম পর্যন্ত খুলতে পারছেন না। এমন অবস্থায় মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে জুয়েলারী সমিতি ও শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ।
সূত্র মতে, ধর্ষণের ওই ঘটনাকে পুঁজি করে হঠাৎ করেই শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ আপন জুয়েলার্সে অভিযান চালিয়ে প্রায় সাড়ে ১৩ মন স্বর্ণ জব্দ করে এবং পরবর্তীতে তা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমাও দিয়ে দেয়। পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলন করে মামলা করার কথা জানায় শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের মহাপরিচালক ড. মঈনুল হক খান। পাশাপাশি অন্য জুয়েলার্সগুলোতে অভিযান পরিচালনার কথা জানায়। এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে জুয়েলার্স ব্যবসায়ীদের মধ্যে। এ ঘটনায় তারা হার্ড লাইনে যায়। গত বুধবার সংবাদ সম্মেলনে আপন জুয়েলার্সের সব স্বর্ণ ফেরত দেয়ার দাবি জানায়। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে স্বর্ণ ফেরত না দিলে রোববার থেকে অনির্দিস্টকালের জন্য সারাদেশে ধর্মঘট এমনকি মহা সমাবেশের ডাক দেয়া হয়। বাজুসের সহ-সভাপতি এনামুল হক খান বলেন, বেআইনিভাবে আপন জুয়েলার্সের সোনা জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর। এ সময় সোনা জব্দের প্রক্রিয়াকে ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস’বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, সারাদেশের ২৮ লাখ সোনা ব্যবসায়ীকে রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রীর নিকট যাবো।
বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগারওয়ালা বলেন, গোল্ড আমদানি করার কোনো সুযোগ সরকার দেয়নি। তবে আমরা বৈধভাবেই স্বর্ণের ব্যবসা করি। পোদ্দারদের কাছ থেকে স্বর্ণ কিনে ব্যবসা করি। আমরা বৈধ ‘স্বর্ণ নীতিমালা চাই।’ একটি ঘটনাকে পূঁজি করে পুরো শিল্পকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা চলছে। এটি হতে পারে না। আমরা এ বিষয়ে প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর স্মরণাপন্ন হব।  তিনি বলেন, সারাদেশে জুয়েলারিগুলোতে প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। এটা অন্যায়। অনেকেই ভয়ে শো-রুম পর্যন্ত খুলতে পারছেনা।  
ব্যবসায়ী আজাদ আহমেদ বলেন, আপন নাম দিয়ে যে ব্যবসাটি আমরা পরিচালনা করে আসছি তা আমাদের পৈত্রিক ব্যবসা। বংশানুক্রমে এই ব্যবসা এখন আমরা তিন ভাই গুলজার আহমেদ, দিলদার আহমেদ এবং আমি আমরা যার যার স্বতন্ত্র শো-রুম পরিচালনা করছি। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম এক থাকলেও প্রত্যেক ভাইয়ের ব্যবসা স্বতন্ত্র। অর্থাৎ যার যার ব্যবসা সে সে দেখভাল করছে।
তিনি অভিযোগ করেন, এক ভাইয়ের পরিবারের কোনো সদস্যের অন্যায় কাজের মাশুল পুরো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে দিতে হবে তা আমাদের কাম্য নয়। এদেশে কেউই আইনের উর্ধ্বে নয়। কেউ  কোনো অন্যায় করে থাকলে এবং দোষ প্রমাণিত হলে তাকে সাজা ভোগ করতে হয়। কিন্তু এখানে আমাদের ঐতিহ্যবাহী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে এমনভাবে জড়ানো হচ্ছে যেনও সব দোষ আপন জুয়েলার্সের।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জুয়েলার

২১ ডিসেম্বর, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ