Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাতারকে দিয়ে সন্ত্রাসবাদের মূলোৎপাটন শুরু : ট্রাম্প

| প্রকাশের সময় : ৮ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : কাতারকে বিচ্ছিন্ন করার মধ্য দিয়েই সন্ত্রাসবাদের মূলোৎপাটন শুরু হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত মঙ্গলবার একের পর এক টুইট বার্তায় তিনি বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্য তার সফরের ফল এরই মধ্যে আসতে শুরু করেছে। আঞ্চলিক নেতারা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে মদদ দেওয়ার অভিযোগে কাতারের বিরুদ্ধে নতুন করে কঠোর অবস্থান নিচ্ছেন। আরব অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অভিযোগ তুলে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দেয় সউদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, ইয়েমেন ও মিশর। দেশগুলোর অভিযোগ, ইসলামিক স্টেট (আইএস), আল কায়েদা, মুসলিম ব্রাদারহুডসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনকে মদদ দিচ্ছে কাতার। কাতারের সঙ্গে সাত দেশের সম্পর্ক ছিন্ন করা নিয়ে সৃষ্ট সংকট নিরসনে কুয়েত মধ্যস্থতার করার উদ্যোগ নেওয়ার সময়টিতেই ট্রাম্প এ সংকট নিয়ে টুইটে প্রথম কথা বললেন। ট্রাম্প বলেন, মধ্যপ্রাচ্য সফরের সময় তিনি যে নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন তারা তকে সতর্ক করে বলেছিলেন যে, কাতার উগ্রবাদীদের মদদ দিচ্ছে। জঙ্গি দলগুলোতে অর্থায়ন বন্ধের জন্য ট্রাম্প আরব নেতাদেরকে ব্যবস্থা নিতে বললে তারা তাকে কাতার সম্পর্কে ওই কথা বলেন। আরব নেতারা তখন জঙ্গিবাদে অর্থায়ন বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছিলেন এবং তা কাতারের বিরুদ্ধেই নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বলে জানান ট্রাম্প। আর এখন সম্ভবত কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করাাঁই সন্ত্রাসের ভয়াবহতা থেকে মুক্তির পথের সূচনা ঘটচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। কাতার তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ঘোরতরভাবে প্রত্যাখ্যান করে বলেছে এ সবই ভিত্তিহীন। যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদেশ হওয়ার পরও ট্রাম্প কাতারকে নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তার কি প্রভাব পড়বে সেটি এখনও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না। কিছু কিছু বিশ্লেষকের ধারণা, ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্য সফরে গিয়ে কাতারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আরব দেশগুলোকে তাগাদা দিয়েছেন। ট্রাম্পের টুইট থেকে বিশ্লেষকদের সে ধারণাই এখন আরও দৃঢ় হচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন, ওয়াশিংটন ধীরস্থিরভাবে কাতার ও আরব দেশগুলোর সংকট সমাধানের চেষ্টা করবে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী এবং কূটনৈতিক স্বার্থের দিক থেকে কাতার যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বিমান ঘাঁটিটি আছে কাতারেই। সেখানে মোতায়েন আছে ৮ হাজার মার্কিন সামরিক কর্মকর্তা। তাছাড়া, সিরিয়া এবং ইরাকে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মার্কিন নেতৃত্বাধীন অভিযানগুলোও এখান থেকেই চালানো হয়। রয়টার্স, ওয়েবসাইট।



 

Show all comments
  • রেজাউল ৮ জুন, ২০১৭, ১২:২১ পিএম says : 0
    সন্ত্রাসবাদের মূলোৎপাটন শুরু করতে হলে আপনাদের সাথে সকলের সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • amiq ৮ জুন, ২০১৭, ১২:৫৩ পিএম says : 0
    Saudi is implementing Israeli ans US agenda. this ........ saudi regime destroying Muslim world.
    Total Reply(0) Reply
  • Hanif ৮ জুন, ২০১৭, ১:১৯ পিএম says : 0
    Tomader karone aj pora Muslim desh gola donsher pothe
    Total Reply(0) Reply
  • ইমরান মোহাম্মাদ ৮ জুন, ২০১৭, ১:২০ পিএম says : 0
    কাতার ধংসের পালা, আর কি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ট্রাম্প


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ