Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রমযানে নগরীতে যাত্রীদের চরম ভোগান্তি

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির জরিপ

| প্রকাশের সময় : ৬ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম


বিশেষ সংবাদদাতা : রমযানের শুরু থেকে নগরীতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা। ৮৮ শতাংশ বাস চলছে সিটিং সার্ভিসের নামে দরজা বন্ধ করে। এসব বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। অন্যদিকে, ৯২ শতাংশ সিএনজি অটোরিকশা চলে চুক্তিতে। ৯৮ শতাংশ অটোরিকশায় অতিরিক্ত ভাড়া ও বকশিস দাবি করা হয়। আগে বকশিসের পরিমাণ ১০ টাকা ছিল, রমযানে তা ২০/২০ টাকা হয়েছে। ট্যাক্সিক্যাব রাজধানীতে এখন সোনার হরিণ।   বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক জরিপে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রমযানে সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা এবং দুপুর ২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত নগরীতে চলাচলকারী বাস-মিনিবাসের প্রায় ৮৮ শতাংশই সিটিং সার্ভিসের নামে দরজা বন্ধ করে চলাচল করে। এতে করে মাঝপথের যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সিটিং সার্ভিস বাসগুলো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। অন্যদিকে নগরীতে চলাচলকারী সিএনজি অটোরিকশার ৯২ শতাংশ মিটার ছাড়া চুক্তিতে চলাচল করছে। ৯৮ শতাংশ অটোরিকশা মিটারের অতিরিক্ত ভাড়া বা বকশিস দাবী করছে। আগে ১০ টাকা বকশিস চাইলেও রমজানে ২০/৩০ টাকা বকশিস দাবী করা হচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যাত্রাবাড়ী, পোস্তগোলা, শাহবাগ, ফার্মগেইট, মহাখালী, আগারগাঁও, ধানমন্ডি, বনানী, বারিধারাসহ নগরীর অনেক গুরুত্বপূর্ণ এলাকার রাস্তায় ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকেও ট্যাক্সিক্যাবের দেখা মেলে না। যাত্রী সাধারণের অফিস যাত্রা এবং অফিস ছুটি শেষে ইফতার ও তারাবীহকে টার্গেট করে নগরীতে চলাচলকারী বেসরকারী বাসগুলো এখন রাতারাতি সিটিং সার্ভিস বনে গেছে। একমাত্র বিআরটিসি বাস ও হাতেগোনা কয়েকটি কোম্পানির বাস মাঝপথের যাত্রীদের ভরসা।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির গণপরিবহনের ভাড়া নৈরাজ্য পর্যবেক্ষণ উপ-কমিটির ৩টি টিম গত দুই দিন যাবৎ নগরীতে রমজান মাসে যাত্রী ভোগান্তি ও ভাড়া নৈরাজ্য পর্যবেক্ষণ করে। পর্যবেক্ষণ কালে ৩১৩টি বাস ও ৩৮৬ জন বাসযাত্রী, ১৬০টি অটোরিক্সা ৫৬ জন অটোরিক্সার যাত্রী, ৮৮ জন ট্যাক্সিক্যাব যাত্রীর সাথে কথা বলে এই জরিপ পরিচালনা করে। পর্যবেক্ষণকালে ৭৬ শতাংশ যাত্রী প্রচলিত গণপরিবহন ব্যবস্থার উপর তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন। ৮৮ শতাংশ যাত্রী প্রতিদিন যাতায়াতে দূর্ভোগের মুখোমুখি হন বলে জানান। ৯২ শতাংশ যাত্রী অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের শিকার হন। ৩৬ শতাংশ যাত্রী চলন্ত বাসে ওঠানামা করতে বাধ্য হন। সিটিং সার্ভিসের নামে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েও ৩৪ শতাংশ যাত্রী দাঁড়িয়ে যেতে বাধ্য হন। হয়রানির শিকার হলেও অভিযোগ কোথায় করতে হয় জানেনা ৯০ শতাংশ যাত্রী। তবে ৬৮ শতাংশ যাত্রী মনে করেন অভিযোগ করে কোন প্রতিকার পাওয়া যায়না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ