বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে : কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড মডেল কলেজ। লেখাপড়াতেও মডেল, ফলাফলেও মডেল। কুমিল্লা বোর্ডের ছয়টি জেলায় যেখানে শতবর্ষ, অর্ধশতবর্ষের অনেক নামিদামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেখানে মাত্র ৯ বছরে লেখাপড়া ও পরীক্ষার ফলাফলে অবিশ্বাস্য সাফল্যের জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড মডেল কলেজ। এবারের কুমিল্লা বোর্ডে এসএসসির ফলাফলে চরম বিপর্যয়ের মধ্যে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড মডেল কলেজ শতভাগ পাশের তালিকায় সেরা অবস্থানে রয়েছে। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের পাঠদান শিক্ষার্থীদের দারুণভাবে আকৃষ্ট করে থাকে। আর এখানকার শৃঙ্খলা নিয়মানুবর্তিতা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রকৃত মানুষ হওয়ার পথ দেখাচ্ছে। এ প্রতিষ্ঠান থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের গন্ডি পেরিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রচন্ড আত্মবিশ্বাস নিয়ে উচ্চ শিক্ষার দুয়ারে পা রাখছে। কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড মডেল কলেজ এখন সময়োপযোগী এক আলোকিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
কুমিল্লা শহরের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে কোটবাড়ি সড়কের শাকতলায় নিরিবিলি মনোরম পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড মডেল কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয় ২০০৮ সালের জুলাই মাসে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের নিবিড় তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। মাত্র ৯ বছরে প্রতিষ্ঠানটি কুমিল্লা বোর্ডে এসএসসি ও এইচএসসির প্রতিবারের ফলাফলে সেরা তালিকায় ওঠে আসে। আর এবারে কুমিল্লা বোর্ডের ফল বিপর্যয়ের মধ্যেও প্রতিষ্ঠানটি শতভাগ পাশের তালিকার প্রথম স্থানটি অর্জন করেছে। এবারের এসএসসিতে ৮৩ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে সবাই পাশ করেছে। ৪২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। বাকী সবাই এ গ্রেড পেয়েছে। কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড মডেল কলেজে দেশপ্রেম, নৈতিক মূল্যবোধসহ মানসম্মত শিক্ষার সবরকম কো-ক্যারিকুলামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলা হচ্ছে ।
ছাত্র-ছাত্রীদের মেধার বিকাশ ঘটিয়ে তাদেরকে দক্ষ মানব সম্পদে পরিণত করার এক নির্ঝঞ্জাট যাত্রাপথ তৈরি করার অভিন্ন লক্ষ্য নিয়ে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড মডেল কলেজ এগিয়ে চলছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধান ও কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের অর্থায়নে কলেজটি পরিচালিত হচ্ছে। কলেজ পরিচালনা পর্ষদে সভাপতি পদে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক) চৌধুরী মুফাদ আহমেদ ও সিনিয়র সহসভাপতি পদে রয়েছেন কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো: আব্দুল খালেক। ২০০৮ সালে কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম চালুর সময়ে এটির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের বর্তমান সচিব প্রফেসর আব্দুস ছালাম। পরবর্তীতে অধ্যক্ষ ছিলেন প্রফেসর মোঃ রুহুল আমিন। তিনি এখান থেকে বদলী হয়ে কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। আর এবছরের জানুয়ারিতে নতুন অধ্যক্ষ হয়ে আসেন সৃজনশীল ব্যক্তিত্ব ড.একেএম এমদাদুল হক। দক্ষ, মেধাবী অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের নজরদারি, পাঠদান এবং আন্তরিকতায় প্রতিষ্ঠানটি আজকের সময়ে অনেক পুরনো নামি-দামি স্কুল-কলেজের ভিড়ে আলোকিত বিদ্যাপীঠের আলোচনায় ওঠে এসেছে। প্রতিষ্ঠানের ২৮জন শিক্ষকের সবাই অনার্সসহ মাস্টার্স ডিগিধারী। অনেকে বিএড ও এমএড ডিগ্রিধারী।
কলেজ অধ্যক্ষ ড. এ কে এম এমদাদুল হক বলেন, ‘বছরের শুরুতেই প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে সিলেবাস ও লেসন প্ল্যান সরবরাহ করা হয়। শ্রেনিকক্ষেই মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। স্বল্প মেধা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের ওপর বিশেষ নজরদারি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ক্লাশের ব্যবস্থা নেয়া হয়। বায়োমেট্টিক উপস্থিতিসহ প্রতিষ্ঠানটি ডিজিটালাইজেশন করার কাজ এগিয়ে চলেছে। আমরা কেবল শতভাগ পাশেই নিশ্চিত করতে চাই না, আমরা নিশ্চিত করতে চাই মানসম্মত শিক্ষা।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।