Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যাংকখাতে নৈরাজ্য, অর্থনীতিতে অশনিসংকেত

| প্রকাশের সময় : ৩ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মুনশী আবদুল মাননান : ক্ষমতাসীনরা দেশের অর্থনীতিকে যেভাবে ফুলিয়েÑফাঁপিয়ে তুলে ধরছেন, প্রকৃতপক্ষে অর্থনীতি তেমন অবস্থায় নেই। বিনিয়োগ প্রায় স্থবির। রফতানি আয় কমে গেছে। রেমিটেন্সে ধস নেমেছে। রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। শিল্পের উৎপাদনশীলতা হ্রাসমান। দুর্নীতি ও অর্থপাচার অপ্রতিরোধ্য। এমতাবস্থায়, জিডিপির হার কিংবা মাথাপিছু আয় বাড়ার হিসাব যখন সরকারের তরফে দাখিল করা হয় তখন বিস্মিত না হয়ে পারা যায় না। বিনিয়োগ, রফতানি আয়, রেমিটেন্স, রাজস্ব আদায়, শিল্পের উৎপাদনশীলতা ইত্যাদির মধ্য দিয়ে অর্থনীতির ভালোমন্দ পরিমাপ করা সম্ভব। এসব দিকে নেতিবাচক প্রবণতা বহাল থাকার পর অর্থনীতি ভালো আছে কিংবা ইতিবাচক ধারায় প্রবাহিত হচ্ছে, এ দাবি গ্রহণযোগ্য হওয়ার উপযুক্ততা রাখে না। জিডিপির হার কিংবা মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির তথ্য অর্থনীতির অগ্রগতির একমাত্র প্রমাণ হতে পারে না। বিনিয়োগ বৃদ্ধি জিডিপির হার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বিশেষ পূর্বশর্ত হিসাবে গন্য। বিনিয়োগ বাড়লে শিল্প, উৎপাদন, রফতানি ও কর্মসংস্থান বাড়তে বাধ্য। আমরা দেখছি, অর্থনীতি স্ফীত ও শক্তিশালী হওয়ার কথা বলা হলেও বাস্তবে তার সাক্ষ্য নেই। এব্যাপারে সিপিডির অভিমত : জিডিপিতে যে বাড়তি বিনিয়োগ ও ভোগ হচ্ছে তা হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। অর্থনীতি রাষ্ট্রীয় চাপে তাড়িত হচ্ছে
ব্যাংকখাত অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাংক ছাড়া অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করা শুধু দূরূহই নয়, অসম্ভবও বটে। অথচ সেই ব্যাংকখাত চরম অপশাসনের কবলে নিক্ষিপ্ত। অনিয়ম, দুর্নীতি, যথেচ্ছাচার, লুটপাট এবং অর্থপাচার এই খাতের অমোচনীয়  বৈশিষ্ট্যে পরিণত হয়েছে। সিপিডি’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অর্থনীতির জন্য খাতটি নিরব ক্যানসারে রূপ নিয়েছে। এখাত থেকে অর্থনীতিতে দূষিত রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে, যা অন্য খাতকে দূষিত করছে। ওয়াকিবহাল মহলের জানা আছে, মানবদেহের কোনো অঙ্গে ক্যান্সার দেখা দিলে এই রোগটি শুধু ওই অঙ্গটিকেই অকার্যকর করে দেয় না গোটা দেহকেই অকার্যকর করে দিয়ে মৃত্যুর কারণে  পরিণত হয়। ব্যাংকখাত অর্থনীতির অপরিহার্য অঙ্গ এবং তা ক্যান্সার আক্রান্ত। এর যথাসময়ে সুচিকিৎসা না হলে এমন সময় আসতে পারে যখন অর্থনীতিই ধসে পড়বে।
ব্যাংকখাতের বর্তমান অবস্থা শোচনীয় বললেও কম বলা হয়। কিছুদিন আগে ব্যাংকগুলোর মূলধন নিয়ে  বাংলাদশে ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় ৬টি ও ১টি বেসরকারী ব্যাংকের আর্থিক দুর্বলতা প্রকট হয়ে ধরা পড়েছে। এসব ব্যাংকের ঋনের মান অনুযায়ী নিরাপত্তা সঞ্চিতি রাখতে গিয়ে আর্থিক ব্যবস্থাপনা হোঁচট খেয়েছে। ব্যাংকগুলো মূলধন হারিয়ে ১৬ হাজার কোটি টাকার ঘাটতিতে পড়েছে। যে ৬টি রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংক এই নাজুক পরিস্থিতিতে পড়েছে সেগুলো হচ্ছে : বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, সোনালী, রূপালী বেসিক ও অগ্রণী ব্যাংক। আর বেসরকারী ব্যাংকটি হচ্ছে, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক। ঘাটতিতে থাকার কারণে ব্যাংকগুলোর ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। এজন্য তারা সরকারের কাছে ১৪ হাজার কোটি টাকা মূলধন চেয়েছে।
ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণ বাড়ছেই। খেলাপী ঋণের মান অনুযায়ী সঞ্চিতি বা প্রভিশন রাখতে হয়। এসব ব্যাংক প্রভিশনের  নিয়মও রক্ষা করতে পারেনি। জনগনের আমানতের টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে মাফিয়াদের হাতে ঋণ হিসাবে তুলে দেয়ায় পরে তা আদায় না হওয়ার খেলাপি হয়ে যাচ্ছে। কোনোভাবেই খেলাপী ঋণের লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। এক তথ্যে দেখা যায়, গত বছর মার্চে খেলাপী ঋণের পরিমাণ ছিল ৫৯ হাজার ৪১১ কোটি টাকা। চলতি বছরের মার্চে তা বেড়ে হয়েছে ৭৩ হাজার ৪০৯ কোটি টাকা। অর্থনীতিবিদদের মতে, খেলাপি ঋণের এই অপ্রতিরোধ্য  বৃদ্ধি দেশের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। লক্ষ্য করা গেছে, একদিকে রাষ্ট্রীয়াত্ত ব্যাংকগুলোতে রাজনৈতিক বিবেচনায় ঋণ দেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে বেসরকারী ব্যাংকগুলোর পরিচালকরা ঋণ ভাগাভাগি করে নিচ্ছে।  উভয় ক্ষেত্রেই ঋণ আদায় যথাসময়ে ও যথাযথভাবে হচ্ছে না। ফলে ঋণ ক্রমাগত খেলাপি হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে ব্যাংকগুলো মূলধন ঘাটতিসহ বিভিন্ন সমস্যার শিকারে পরিণত হচ্ছে। রাজনৈতিক প্রভাব ও অবস্থানগত প্রভাবের সুবাদে দেয় বা প্রাপ্ত ঋণের সদ্ব্যবহার কমই হয়; এর একটা বড় অংশ বিদেশে পাচার হয়ে যায়, এমন তথ্য রয়েছে। আমরা জানি, এর আগে সোনালী, বেসিক ইত্যাদি ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকার ঋণ দেয়া হয়েছে অনিয়ম ও দুর্নীতির যোগসাযশে। এনিয়ে অনেক  আলোচনা, অনেক বিতর্ক হয়েছে। অর্থমন্ত্রী সাফাই গেয়ে এপর্যন্ত চলেছেন যে, সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা বেশী কিছু নয়। সরকার আসলে অনিয়ম-দুর্নীতি ও অর্থ লোপাটের হদিস বের করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বদলে তাদের পোষকতা করার নীতিই অনুসরণ করেছে। অন্যদিকে প্রধানত রাজনৈতিক বিবেচনায় গড়ে ওঠা বেসরকারী ব্যাংকগুলোর মালিক বা পরিচালকরা মানুষের আমানতের টাকা নিজেদের মধ্যে বিলিবন্টন করে বাণিজ্য বৃদ্ধি করেছে কিংবা গৃহীত ঋণের অংশ বিশেষ অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় করেছে অথবা বিদেশে বিনিয়োগ বা স্থানান্তর করেছে। নতুন ব্যাংক আইনের খসড়ায় একই পরিবারের ৪ জন ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবে এবং একটানা ৯ বছর স্বপদে বহাল থাকতে পারবে এমন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এর ফলে ব্যাংকের অর্থ লুটপাট যে আরও বাড়বে, তেমন আশঙ্কাই ব্যক্ত করেছেন অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা।
ব্যাংকখাতে কতটা নৈরাজ্যিক অবস্থা বিরাজ করছে তার একটি বড় প্রমাণ বাংলাদেশ ব্যাংকের রির্জাভ থেকে শত শত কোটি টাকা পাচার হয়ে যাওয়া । অন্যদিকে দেশ থেকে গত ১০ বছরে যে টাকা বিদেশে পাচার হয়ে গেছে সেটাও আর একটা বড় প্রমাণ। জিএফআই’র তথ্য থেকে জানা যায়, ২০০৫ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সময়ে দেশ থেকে পাচার হয়েছে ৭ হাজার ৫৮৫ কোটি ডলার, টাকার অংকে যা ৬ লাখ ৬ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা। এই অর্থ দেশের দুই বছরের বাজেটের সমান। বলা বাহুল্য, পাচারকৃত অর্থ বিনিয়োগে এলে দেশের অর্থনীতির চালচিত্রই পাল্টে যেতে পারতো। এতটাকা পাচারের পরও ব্যাংক খাতে বিনিয়োগযোগ্য অর্থের অভাব নেই। ব্যাংকখাতের তারল্য সংকট নিয়ে প্রায়ই পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়। আসলে ব্যাংক থেকে উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা ঋণ নিয়ে বিনিয়োগে যেতে চায় না। রাজনৈতিক অস্থিরতার আশংকাই এর একমাত্র কারণ নয়। আরও বহুবিধ কারণ রয়েছে। ঋণের উচ্চ সুদহার, জমির অভাব, ঘুষ-দুর্নীতি, সময়ক্ষেপন, লালফিতার দৌরাত্ম্য অপ্রতুল, অবকাঠামো সুবিধা, গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট ইত্যাদি কারণে দেশের উদ্যোক্তারা যেমন বিনিয়োগ অনীহ তেমনি বিদেশী বিনিয়োগকারীদেরও যতোচিত সাড়া পাওয়া যায় না। লক্ষ্য করার বিষয়, বিনিয়োগ বন্ধ্যাত্ব, ব্যবসাবাণিজ্যে মন্থরতাসহ ব্যাংকখাতে অনিয়ম-দুর্নীতি, লুটপাট, পাচার অব্যাহত থাকার পরও ব্যাংকগুলোর প্রতিবছরই মুনাফা হচ্ছে এবং বাড়ছে। এই মুনাফা যে সাধারণ মানুষের কাছ থেকেই নানাভাবে যাচ্ছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
কয়েকদিন আগে পত্রিকান্তরে ‘ব্যাংকে টাকা রাখলে লোকসান! সুদ কমছে সঞ্চয়পত্রেও,’ শীর্ষক একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাংকে কেউ এক লাখ টাকা তিন মাস মেয়াদী হিসাবে রাখলে তিন মাস পর  সে পাবে ৯৯ হাজার ৯৫৬ টাকা। এর অর্থ এক লাখ টাকায়  ৪৪ টাকা লোকসান। ব্যাংক সুদ দেবে না, এমন নয়। সুদ দেবে কিন্তু দুই উৎস থেকে টাকা কেটে নেবে। আবগারি শুল্ক হিসাবে কিছু টাকা। আর বাকীটা কেটে নেবে অগ্রিম আয়কর হিসাবে। আয়করের আবার আছে দুটি স্তর। যাদের টিআইএন নম্বর আছে তাদের দিতে হবে ১০ শতাংশ। আর যাদের নেই তাদের দিতে হবে ১৫ শতাংশ। বেসরকারী ব্যাংকে এই কাটাকাটি যে আরও বেশী হবে তা সহজেই আন্দাজ করা বলা যায়। বেসরকারী ব্যাংকগুলো সার্ভিস চার্জসহ নানা নামে টাকা কেটে নেয়, এমন অভিযোগ রয়েছে গ্রাহকদের।
ব্যাংকে মানুষ টাকা রাখে একদিকে টাকার নিরাপত্তার জন্য, অন্যদিকে কিছু লাভের জন্য। ব্যাংকের টাকার মূল উৎস মানুষের এই আমানত। এমন অনেকেই আছে যারা সঞ্চয়ী আমানত বা মেয়াদী আমানত হিসাবে টাকা রাখে কেবল মাত্র লাভের জন্য। তারা অন্য কোথাও টাকা বিনিয়োগ করতে পারে না বা বিনিয়োগ করার সুযোগ তাদের নেই। তাদের সঞ্চিত অর্থের পরিমাণও খুব বেশী নয়। তারা চায় ব্যাংকে তা রেখে কিছু মুনাফা পেতে যা দিয়ে সংসারের কিছুটা প্রয়োজন পুরণ সম্ভবপর হয়। এখন যদি দেখা যায়, এ ধরনের আমানতে লাভের চেয়ে লোকসান হচ্ছে, তবে তারা ব্যাংকে টাকা রাখতে যাবে কেন? স্বল্প আয়ের মানুষ, অবসর প্রাপ্ত ব্যক্তি, মহিলাসহ বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ, যারা সঞ্চয়ী বা মেয়াদী আমানতের বিপরীতে লাভের আশায় টাকা রাখতো তারা অত:পর কোথায় যাবে? অনেকে জাতীয় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করে। সঞ্চয়পত্রে তুলনামূলকভাবে লাভের অংশ বেশী। এ জন্য বরাবরই জাতীয় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে মানুষের আগ্রহ বেশী। এখন সঞ্চয়পত্রেও সুদহার কমানো হচ্ছে। তাহলে সাধারণ ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা কোথায় গিয়ে লাভজনক বিনিয়োগ করবে? সঙ্গতকারণেই মানুষ ব্যাংকে আমানত রাখতে নিরূৎসাহিত হবে। সঞ্চয়পত্রে ও বিনিয়োগ কমে যাবে। এতে স্বল্প আয়ের মানুষ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণী ক্ষতিগ্রস্ত ও নিরালম্ব হয়ে পড়বে। অন্যদিকে ব্যাংকে টাকার টান পড়বে, সঞ্চয়পত্রের ক্রেতা সংখ্যাও হ্রাস পাবে। ব্যাংকগুলো মানুষের আমানতের অর্থ বিনিয়োগ করে লাভ করে। এই লাভের একাংশ পায় আমানতকারী এবং অন্য অংশ ব্যাংকের লাভ। এখন দেখা যাচ্ছে, ব্যাংকগুলো আমানতকারীদের কিছু দিতে চাইছে না। নানাভাবে তারা আমানতকারীদের ঠকাচ্ছে বা ঠকাতে চাইছে। এতে এক সময় ব্যাংকের ব্যবসা ও লাঠে উঠতে পারে। সঞ্চয়পত্রে সুদহার কিছুটা বেশী হওয়ায় মানুষের মধ্যে সঞ্চয়পত্র কেনার বিশেষ ঝোঁক দেখা যায়। এ প্রবণতার কারণে কেউ কেউ সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানোর পক্ষে ওকালতি করছে। তাদের অভিমত, সঞ্চয়পত্রে সুদহার কমালে সে অর্থ সরাসরি বিনিয়োগ আসবে যাতে অর্থনীতিতে প্রাণপ্রবাহ বাড়বে। তাদের এ যুক্তি খোঁড়া যুক্তি হিসাবে পরিত্যজ্য। বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ থাকলে বিনিয়োগ আপনাআপনিই বাড়বে। সে ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোও তাদের বিনিয়োগযোগ্য অর্থ ঋণ হিসাবে উদ্যোক্তাদের দিতে পারবে। ব্যাংকগুলোর যখন তারল্য সংকট থাকবে না এবং আরো অর্থের প্রয়োজন হবে তখন আমানতের সুদহার বাড়িয়ে হলেও তারা অর্থ  জোগাড় করবে। কিছুদিন আগে আমানতের সুদহার কমানোর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক স্প্রেড ৫ শতাংশের বেশী না যাতে না হয় সে জন্য ব্যাংকগুলোর বরাবরে একটি পরামর্শমূলক সার্কুলার জারি করে। এ পরামর্শ বাস্তবে কোনো কাজে আসেনি। ব্যাংকখাতের সার্বিক পরিস্থিতি ও অর্থনীতির হাল অবস্থা এখন যা প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে তা যে কোনো বিচারে আতংকজনক। বিশেষজ্ঞরা এই প্রেক্ষিতে ব্যাংকখাতের সংস্কারে একটি কমিশন গঠনের তাকিদ দিয়েছেন। ব্যাংকখাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত না হলে অর্থনিিতর উজ্জজীবন ও প্রবৃদ্ধি তরান্বিত হবে না। সরকারকে বিষয়টি আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় কার্যব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। জনগণকে ‘গৌরীসেন’ মনে করে তাদের পকেটে কাটার পরিকল্পনা-প্রক্রিয়া অর্থনীতিতে প্রকৃত পক্ষে কোনো সুফল বয়ে আনবে না। ব্যাংকখাতে বিশৃংখলা ও নৈরাজ্য অর্থনীতিতে মারাত্মক এক অশনিসংকেত।



 

Show all comments
  • Nur- Muhammad ৩ জুন, ২০১৭, ১২:১৮ পিএম says : 0
    ব্যাংক খাতে নৈরজ্য দেশের জন্য ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি করবে। ব্যাংক খেলাপিদের জন্য এমন হয়েছে। জনগণ কষ্টার্জিত টাকা ব্যাংকে রাখে। এই টাকাই ঋনগ্রহিতারা ঋন নিয়ে আর দিচ্ছে না। হচ্ছে ব্যাংক খেলাপি। এই খেলাপিরা দামি বাড়ী, গাড়ী ঠিকই হাকাতেছে। কিন্তু ব্যাংক তথা জনগণের টাকা দিচ্ছে না। এরশাদ সাহেবের আমলে খেলাপিদের প্রবর্তন ঘটে। তখন ব্যাংক থেকে কেহ টাকা নিতে পরলে আর ফেরৎ দেওয়ার নাম গন্ধ ও ছিল না। রাজনৈতিক প্রভাব খাটায়ে সব মাফ করে নিত। "৯১ সালে গণতান্রীক সরকার আসার পর এর লাগাম অনেকটা টেনে ধরা হয়। কিন্তু "১৪ এ ভোটার বিহীন সরকার আসার পর খেলাপিদের দৌঢ়াত্ব চরম ভাবে বেড়ে যায়। কারন এরা সরকারের কোন না কোন অংশে জড়িত। এই খেলাপিরা জনগণকে আছরায়ে মারতেছে। তাই জনগণ তাদিগকে দেশ ও জাতীয় র শত্রু মনে করছে। এই শত্রুদের কবল থেকে দেশ ও জাতীয়কে রক্ষা করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্রীর নিকট অনুরোধ করছি, আর দেরী নয় এখন ই খেলাপিদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিন। দেশের অভিবাবক হিসাবে, জনগণকে বাঁচান। ধন্যবাদ।সবায়কে ধন্যবাদ।
    Total Reply(0) Reply
  • Selina ৯ জুন, ২০১৭, ৮:৩১ পিএম says : 0
    Bank incurred loss but disbursed as for example six incentive bonus to A to Z personnel .needs to revised organogram of BKB .
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্যাংকখাত
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ