পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হাওরের আগাম বন্যা কখনো দেখেননি আব্দুল হামিদ
স্টাফ রিপোর্টার : ঘড়ির কাটায় দুপুর ঠিক ২টা। সংসদ বিটের সাংবাদিকদের পরিচিত মূখ পেসিডেন্টের প্রেসসচিব জয়নাল আবেদিন এসে জানালেন ‘মহামান্য’ প্রেসিডেন্ট আসছেন আপনাদের লাউঞ্জে। এতে কেউ অবাক না হলেও সতর্ক হলেন সবাই। আগে থেকে না জানলেও অনেকটা যেনো প্রত্যাশিতই মনে হচ্ছিল সবার কাছে। ধারণাটা এমন যে- বর্তমান প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ অ্যাডভোকেট তো আসবেনই সাংবাদিক লাউঞ্জে। কারণ সাংবাদিকরা তাকে আপন লোক বলেই মনে করে। তাই তাঁর এই আগমনী বার্তা যেনো আগে থেকেই সবাই জানতো। প্রেসিডেন্টও তাই বিন্দুমাত্র সংশয় কিংবা ন্যূনতম কোনো প্রটোকল বা আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই চলে আসেন সাংবাদিকদের কাছে। এরপর একান্ত আলাপচারিতায় মাতলেন কয়েক মিনিট। বোঝা গেলো- সাংবাদিক ও সংসদ কোনোটারই মায়া কাটাতে পারেননি আব্দুল হামিদ অ্যাডভোকেট। তাই কিছুক্ষণের জন্যে হলেও সেই চিরচেনা সাংবাদিক লাউজ্ঞে প্রবেশ করতে ভুলেননি তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের বাজেট বক্তৃতা চলাকালে হঠাৎ করেই আসেন সংসদ ভবনের ছয় তলার সাংবাদিক লাউঞ্জে। এসময় প্রেসিডেন্ট সংসদ বিটের সাংবাদিদের নাম ধরে ধরে কে কেমন আছে, জিজ্ঞেস করেন কেমন চলছে? কোনো সমস্যা আছে কিনা? সাংবাদিকদের সাথে ভাল মন্দ খোঁজ নেওয়ার নেওয়ার মাঝেই চেয়ারে বসেন। হাওরের মানুষ তিনি। তাই হাওরের মানুষের দুর্দশার চিত্র উঠে আসে তার কথায়। তিনি বলেন, প্রতিবছরই আগাম বন্যা হয় হাওরে। কিন্তু, এবারের আগাম বন্যাটা অনেক আগে হয়েছে। তাই মানুষের এতো দুঃখ ও ক্ষয়ক্ষতি। জীবনে এতো আগাম বন্যা কখনো দেখেননি জানিয়ে প্রেসিডেন্ট বলেন ৭৪ বছরের এই জীবনে এমন আগাম বন্যা দেখিনি। ১৯২৯ সালে এ রকম আগাম বন্যা হয়েছিল।
আড্ডার এক পর্যায়ে প্রেসিডেন্টর নিজের বয়সের কথা উল্লেখ করেন। কতদিন বাঁচবেন তা নিয়ে কথা বলেন। একপর্যায়ে সিনিয়র সাংবাদিক ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি মোস্তাক হোসেনকে বয়সের কথা জানতে চান। মোস্তাক হোসেন ৫৯ বছর বললে অট্টহাসি দিয়ে তিনি বলেন, একজন ব্যাংকে টাকা তুলতে গেছেন। দেখেন পাশের লোক চেকে ৫ লক্ষ টাকা লিখে শেষে লিখিছেন মাত্র। পরে তিনি ৫০০ টাকা তুলবেন। তিনি লিখলেন ৫০০ টাকা কিছুই না। মোস্তাক সাহেবের অবস্থা দেখি তাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।