মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : জলবায়ু পরিবর্তন রোধে স্বাক্ষরিত প্যারিস চুক্তি কার্যকর করতে একমত হয়েছে চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরোধিতার কারণে দেশটির এ চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার মুখে এর ভবিষ্যত বাঁচাতে যৌথ পদক্ষেপ নিতে রাজি হয়েছে দুপক্ষ। এ বিষয়ে যৌথ বিবৃতি দেয়া হবে। খসড়া বিবৃতিতে প্যারিস চুক্তি কার্যকরে সর্বোচ্চ রাজনৈতিক অঙ্গীকার করছে চীন-ইইউ। গতকাল এ চুক্তির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানানো কথা ছিল। যদি আশঙ্কা সত্য প্রমাণ করে দেশটি চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায়, তবে আজ শুক্রবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে এক বেঠক শেষে এ যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হবে। গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছর ধরে এ ইস্যুতে কাজ করছে চীন ও ইইউর কর্মকর্তারা। দীর্ঘ কূটনৈতিক আলোচনা শেষে তারা জলবায়ু পরিবর্তন রোধে প্যারিস চুক্তি কার্যকর ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবহার বৃদ্ধিতে উদ্যোগ নিতে একমত হয়েছেন। খসড়া বিবৃতিতে জোর দেয়া হয়েছে বেশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ এবং এর সামাজিক ও রাজনৈতিক অভিঘাত মোকাবেলার ওপর। বলা হয়েছে, পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবহার বৃদ্ধি বিশ্বব্যাপী কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি ধরে রাখবে। জলবায়ু পরিবর্তন রোধে প্যারিস চুক্তিকে ঐতিহাসিক অর্জন মনে করছে চীন ও ইইউ। বলা হয়েছে, এ চুক্তি বিশ্বের দেশগুলোর যৌথ রাজনৈতিক ইচ্ছা ও বিশ্বাসের প্রতিফলন। যা বর্তমান বিশ্বের সবচে জটিল সমস্যার কার্যকর সমাধানের জন্য নেয়া হয়েছে। তাই এ চুক্তি কার্যকরের বিষয়ে উভয় পক্ষ সর্বোচ্চ রাজনৈতিক গুরুত্ব দিচ্ছে। ইইউর ক্লাইমেট কমিশনার মিগুয়েল আরিস কান্তে বলেন, প্যারিস চুক্তি কার্যকর ও বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব জ্বালানির ব্যবহার বিস্তারে চীন ও ইইউ একযোগে কাজ করার বিষয়ে একমত হয়েছে। এ বিষয়ে যতই বাধা আসুক না কেন, দুপক্ষ একসঙ্গে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। প্রসঙ্গত, নির্বাচনী প্রচারের সময় থেকেই প্যারিস চুক্তির বিরোধিতা করছেন ট্রাম্প। তার মতে, এ চুক্তি মার্কিন অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। তবে এখনো দেশটি চুক্তি বাতিলের বিষয়ে ঘোষণা দেয়নি। স¤প্রতি উন্নত অর্থনীতির দেশ সমূহের জোট জি৭ এর বেঠকে এটি ছিল অন্যতম প্রধান ইস্যু। এসময় চুক্তির বিষয়ে পর্যালোচনা শেষে পরে সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প। এ চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র বের হয়ে যাচ্ছে বলে খবর প্রকাশ করেছে মার্কিন গণমাধ্যম। বিবিসি,বøুমবার্গ মসরে যেতে চান ট্রাম্প
ইনকিলাব ডেস্ক : প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেওয়ার কথা ভাবছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে। নির্বাচনী প্রচারের সময় থেকেই জলবায়ু বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলো থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন তুলে নেওয়ার কথা জোর গলায় বলছেন ট্রাম্প। অতীতে বেশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিকে ধাপ্পাবাজি বলেও বর্ণনা করেছেন তিনি। যদিও প্যারিস জলবায়ু চুক্তি বিষয়ে গত বুধবার নিজের টুইটে স্পষ্ট করে কিছু বলননি ট্রাম্প। তার টুইট, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে প্যারিস চুক্তি নিয়ে আমি আমার সিদ্ধান্ত জানাব। গত শনিবার জি৭ (বিশ্বের শীর্ষ ধনী দেশগুলোর সম্মেলন) সম্মেলনেও জলবায়ু চুক্তিতে অনুমোদন দিতে অস্বীকৃতি জানান ট্রাম্প। তারপর এক টুইটে তিনি এ সপ্তাহে জলবায়ু চুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসার কথা জানিয়েছিলেন। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় একজোট হয়ে লড়াইয়ের জন্য ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে প্যারিসে এক সম্মেলনে জলবায়ু চুক্তি সই হয়, যেখানে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ স্বাক্ষর করে। রয়টার্স, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।