পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা, খুলনা : খুলনা জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলাউদ্দিন মিঠু হত্যাকান্ড সম্পর্কে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি’র দেয়া বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। বিএনপি’র বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু গতকাল দুপুরে খুলনার দলীয় কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, মিঠুর প্রকৃত হত্যাকারী, পরিকল্পনাকারী ও অর্থ যোগানদাতাদের আড়াল করতে পুলিশ বিএনপির লাশ বিএনপির ঘাড়ে তুলে দিতে চেয়েছে। বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, মিঠুর পিতা সরদার আবুল কাশেম, বড় ভাই আবু সাঈদ বাদল এবং সর্বশেষ, মিঠুর হত্যাকারীরা একই গোষ্ঠী। মিঠুকে একাধিকবার হত্যার উদ্দেশ্যে তারাই হামলা চালিয়েছিল। তিনটি ঘটনাই ঘটেছে আওয়ামী লীগ শাসনামলে। এই দলটি ক্ষমতায় থাকলে খুনিরা বেপরোয়া, নৃশংস ও বিভৎস হয়ে ওঠে। মিঠুর হত্যাকারীরাও শাসক দলের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে আছে। এঘটনার অর্থ যোগানদাতা ও মদতদাতা আছে। পুলিশকে ঘটনার আরো গভীরে গিয়ে তদন্তের আহবান জানান তিনি।
সরদার আলাউদ্দিন মিঠু ও তার সহযোগী নওশের গাজী হত্যাকান্ডের বিষয়ে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজির গত মঙ্গলবারের প্রেস ব্রিফিংয়ের জবাবে বিএনপি এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে। নগরীর কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে সাংবাকিদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন জেলা বিএনপি’র সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা ও খুলনা সিটি মেয়র মনিরুজ্জামান মনি।
নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ভয়াবহ ও নৃশংস এই হত্যাকান্ড সম্পর্কে পুলিশের খুলনা বিভাগীয় প্রধানের বক্তব্যে রহস্য উদঘাটন হবে বলে আমার আশা করেছিলাম। কিন্ত সেখানে মিঠুর হত্যাকারীদের আড়াল করে সম্পূর্ণ দায়ভার বিএনপির ওপর চাপানো হয়েছে। মিঠুর পরিবারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে এই বক্তব্য নাকচ করেছে।বিএনপি নেতা হাসনাত রিজভী মার্শালের ১৬৪ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, তাকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী গ্রেফতারের পর তিনদিন কোন সন্ধান মেলেনি। এরপর অজ্ঞাত স্থান থেকে বেদম মারপিটে গুরুতর জখম অবস্থায় নিয়ে এসে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেখানোতে আমার হতবাক। পত্রিকার মাধ্যমে জানলাম, ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে মার্শালের কাছ থেকে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে। সেই জবানবন্দিতে প্রকৃত অর্থে কি বলা আছে তা আমরা জানি না। একই সময়ে কিরন নামে এক ছাত্রদল কর্মী গ্রেফতার হয়েছিল। সে পুলিশের কাছে আছে। তার কথা এখনও স্বীকার করেনি পুলিশ।
ডিআইজি’র প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রদর্শিত পাইপগান সদৃশ্য অস্ত্রটি এই হত্যাকান্ডে ব্যবহার হয়নি দাবি করে নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, খুিনরা যেভাবে গুলি করেছে তা অত্যন্ত অত্যাধুনিক অস্ত্রের। উদ্ধারকৃত এই অস্ত্রের ব্যালেস্টিক পরীক্ষা ছাড়াই পুলিশ বলে দিলো এটি হত্যায় ব্যবহার হয়েছে। এমনকি যে তিনজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে তারাও এই হত্যায় জড়িত নয় বলে আমার মনে করি। মিঠুর পরিবারও পুলিশের এসব দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সরকার দলীয় এক প্রার্থীর সাথে মিঠুর বিরোধ ছিল। যিনি এখন ওই উপজেলার চেয়ারম্যান। সেখানেকার এক ইউপি চেয়ারম্যান যার ভাই চরমপন্থী দলের নেতা। তারা সবাই এখন শাসক দলের সাথে যুক্ত। এদের সাথে সরদার পরিবারের বিরোধ ছিল। কিন্ত পুলিশ এসব বিষয়ে তদন্ত করছে না।
বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ফুলতলার জামিরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মামুন রহমান প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, তিনি লন্ডন প্রবাসী একজন ভদ্র সজ্জন মানুষ। তিনি উচ্চ শিক্ষিত একজন চার্টার্ড একাউনটেন্ট। তিনি মিঠুকে হত্যার জন্য ৩০ লাখ টাকা দিয়েছেন এটি অবিশ্বাস্য ও যুক্তিযুক্ত নয়। পুলিশ খুনিদের রক্ষা করতে আষাঢ়ে গল্প ফেদেছে। ড. মামুন মিডিয়াকে বলেছেন, দেশে তার কোন একাউন্ট থেকে এতো টাকা লেনদেন হয়েছে পুলিশ প্রমাণ করতে পারলে তিনি দেশে এসে আত্মসমর্পণ করবেন। বিএনপি’র পক্ষ থেকে আমরা পুলিশের এই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছি। ব্রিফিং থেকে ডিবি পুলিশের পোশাকে ওয়ারলেস হাতে কারা এসে মিঠুকে হত্যা করেছে তা নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে বের করার জন্য পুলিশের প্রতি আহবান জানান। বিএনপি’র আন্তঃকোলহে কোন হত্যাকান্ড ঘটতে পারে না। খুলনা বিএনপির মধ্যে এমন কোন দ্ব›দ্ব নেই বলে দাবি করেছেন তিনি।
প্রেস ব্রিফিংকালে উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, আমীর এজাজ খান, সিরাজুল ইসলাম, জলিল খান কালাম, স ম আব্দুর রহমান, ফখরুল আলম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, মনিরুল হাসান বাপ্পী, শেখ আব্দুর রশিদ, মাহবুব কায়সার, শেখ হাফিজুর রহমান, আশরাফুল আলম নান্নু, মুজিবর রহমান, এহতেশামুল হক শাওন, শামসুজ্জামান চঞ্চল, শামীম কবীর, ইবাদুল হক রুবায়েদ ও আব্দুল্লা হেল কাফি সখা প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।