পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মহসিন রাজু : মুসলমানদের ঈমান ও আকিদার প্রতি সমর্থন জানিয়ে পবিত্র রমজান আসার আগেই জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের সামনে এবং সুপ্রীম কোর্টের চত্বরে স্থাপন করা তলোয়ারধারী ও শাড়ী পরিহিতা গ্রিক পূরাণে বর্ণিত বিচারের দেবী থেমিসের ভাষ্কর্য অথবা মুর্তি সরিয়ে দেয়া হয়েছে । এরপর বলতেই হবে রাজনৈতিক দল হিসেবে ক্ষমতাসীন মহাজোটের বৃহত্তম শরিক দল আওয়ামীলীগ প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনীতি ক্ষেত্রে বিজ্ঞতার পাশাপাশি রাজনৈতিক চমক বা দূরদর্শিতারই পরিচয় দিলেন বলে মনে করেন পর্যবেক্ষকরা ।
তবে ঘটনার সংগে সংগেই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, কাজটি কি সরকারের ইচ্ছায় হয়েছে নাকি সুপ্রিম কোর্টের প্রধাণ বিচারপতি এসকে সিনহার সিদ্ধান্তে হয়েছে ? চলমান বিতর্কের মধ্যেই সাদামাটাভাবে সর্বস্তরের জনগণ ঠিকই বুঝে নিয়েছে কাজটা আসলে সরকার কিংবা আরেকটু খোলামেলা ভাবে বললে বলতে হবে সরকার প্রধান শেখ হাসিনার ইচ্ছা এবং প্রধান বিচারপতির সিদ্ধান্তেই হয়েছে।
কিছু রামপন্থী বা কিছু বামপন্থী তাদের সংকীর্ণতা , রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা, সরকার বা আওয়ামীলীগকে নিজেদের পকেটস্থ করার বাসনা বা হেফাজতে ইসলামের প্রতি ইর্ষাকাতরতা থেকে হয়তো এটা অপসারণের বিরোধিতায় মাঠ গরমের চেষ্টা করছে । তবে পর্যবেক্ষকদের অভিমত হল, বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ট ভোটার এটা ভালো ভাবেই গ্রহন করেছে । বর্তমান সরকারের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি এবং জামায়াত জোটের শীর্ষ নেতৃত্ব এখন অবশ্য ভালো ভাবেই অনুভব করছেন যে আগামী নির্বাচনের মাঠে আওয়ামীলীগকে ইসলাম বিরোধি হিসেবে চিত্রিত করা সহজ হবেনা । কারণ সামপ্রতিক সময়ে সরকার কওমী মাদ্রাসা শিক্ষাকে স্বীকৃতি দেয়াসহ ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার কাজটি এতো দ্রæততার সাথে করেছে যে দেশের বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় সংগঠন / রাজনৈতিক দলগুলো খানিকটা অবাকই হয়েছে । কাজগুলো হয়ে যাবার পরে দেশের ধর্মীয়সংগঠনগুলোর পরিচালক বা সংগঠকরা ভাবছে , এই একই কাজগুলো কেন অতীতে বিএনপি বা ৪ দলীয় জোটের সরকার করেনি ?
অনেক পর্যবেক্ষই মনে করে , পৌরানিক গ্রিক দেবী থেমিসের মুর্তি / ভাষ্কর্যটি পবিত্র রমজানের আগেই জাতীয় ঈদগাহের সামনে এবং সুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে অপসারণের সিদ্ধান্তটির রাজনৈতিক তাৎপর্যে লাভবান হবে আওয়ামীলীগ । যেমন ভাবে আওয়ামীলীগ লাভবান হয়েছিল ১৯৭০ ও ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে নাটকীয় ভাবে অংশ নিয়ে ।
রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় অগ্রসর আওয়ামীলীগের কৌশলে একসময় জামায়াত এর সংগে ছিল ভবিষ্যতে ও হয়তোবা পুরো অথবা খন্ডিত জামায়াত আওয়ামীলীগের সংগে থাকলেও অবাক হবার কিছু থাকবে না ।
চীনপন্থী দিলীপ বড়–য়া , মস্কোপন্থী মতিয়া চৌধূরী , নুরুল ইসলাম নাহিদ , প্রয়াত সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত কিংবা ৭৫ পূর্ব সময়ে আওয়ামীলীগের জন্য বিপজ্জনক দল জাসদের নেতা প্রথমে ( ১৯৯৬- ২০০১ সালে) আ স ম আব্দুর রব , বর্তমানে হাসানুল হক ইনুকে দলে নেওয়া / মন্ত্রীত্ব প্রদান নিয়েও অনেক প্রশ্ন আছে বা থাকবেই । তবে সব কিছুর নিট ফলাফলেই কিন্তু আওয়ামীলীগ আজ রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসিন , এই বাস্তবতা স্বীকার্য । তাই মুর্তি অপসারণের কৌশলটি যদি হয় কেবলই রাজনৈতিক অথবা নৈতিক / রাজনৈতিক দুটোই। তারপরও ভোটের ক্যালকুলেশনে এটা আওয়ালীগকেই লাভবান করবে নিঃসন্দেহে ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।