Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অস্ট্রেলিয়ার টানা ৫ হার!

প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : দরজায় কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে এক বারো শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে পারেনি ওয়ানডে ক্রিকেটের রেকর্ড ৫ বারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। সেই দুঃখ ঘোচাইে বিশ্বকাপের আগে তারা উড়াল দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। কিন্তু সেখানে গিয়েও টি-২০তে হারের বৃত্ত থেকে বেরুতে পারেনি স্টিভেন স্মিথের দল। ঘরের মাটিতে ভারতের কাছে ধবলধোলাইয়ের পর প্রটিয়া সফরের প্রথম ম্যাচেও হারল ওয়ানডের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। টি-টোয়েন্টিতে যা অজিদের টানা পঞ্চম হার!
এক বছরেরও বেশি সময় পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অর্ধশতকের দেখা পেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের নায়ক মিডিল অর্ডার ব্যাটসম্যান ডেভিড মিলার। পরশু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যে অপরাজিত ৫৩ রানের ম্যাচজয়ী ঝোড়ো ইনিংস খেললেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সেটা তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিসও। তার ব্যাটে ভর দিয়েই অস্ট্রেলিয়াকে তিন উইকেটে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৯৬ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর প্রটিয়াদের জন্য কাজটা মোটেও সহজ ছিল না। উইকেট না হারিয়ে ও একই সাথে বলের অপচয় না করে কঠিন কাজটা নিখুদভাবেই সারেন মিলার।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ১৫৭ রান করে অস্ট্রেলিয়া। অথচ শুরুটা কি দুর্দান্তই না ছিল তাদের! ৬ ওভার শেষে মাত্র এক উইকেট হারিয়ে ৬৯ রান! ডারবানের কিংসমেডের শুষ্ক ও ভঙ্গুর পিচ এসময় সফরকারীদের দুইশ’র আশপাশের কোন সংগ্রহের ইঙ্গিত দিচ্ছিল। কিন্তু এসময় অজিদের টেনে ধরেন ইমরান তাহির। পরের দশ ওভারে মাত্র ৪৫ রান তুলতেই আরো ছ’জন ব্যাটসম্যানকে হারায় অস্ট্রেলিয়া। এরপরও যে তারা দেড়শর কোঠা অতিক্রম করে তা মূলত মিশেল মার্শের কল্যাণে। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে ২৫ বলে ৩৫ রান করেন মার্শ। এর আগে ১৮ বলে ৪টি ছয় ও ২ চারে ইনিংস সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন অ্যারোন ফিঞ্জ। ২১ রানে তিন উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা বোলার লেগ স্পিনার তাহির। এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন ডেভিড ভিসে ও কাগিসো রাবাদা।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম বলেই এবি ডি ভিলিয়ার্সকে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০১০ সালের পর এই প্রথম টি-টোয়েন্টিতে শূন্য রানে আউট হলেন ডি ভিলিয়ার্স। ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণে অবশ্য এটি তার পঞ্চম শূন্য। অধিনায়ক ফাফ ডু-প্লেসিস ছাড়া প্রথম চার ব্যাটসম্যানের আর কেউ দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। ২৬ বলে ডু প্লেসিসের ৪০ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেলার পর রান আউটের শিকার হলে বিপাকে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। ৭২ রানে পাঁচ উইকেট হারানো দলটির একমাত্র আশার প্রতীক হয়ে ছিলেন তখন মিলার। শেষ পর্যন্ত তার দাপুটে ব্যাটিংয়ে ৪ বল হাতে রেখেই জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা। ব্যক্তিগত ৪১তম ম্যাচে এসে প্রথম অর্ধশতকের দেখা পাওয়া এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান অপরাজিত থাকেন ৫৩ রানে। ৩৫ বলের মোকাবেলায় ইনিংসটি তিনটি করে ছক্কা ও চারে সাজানো। অস্ট্রেলিয়ার নাথান কোল্টান-নাইল ২৯ রানের খরচায় নেন ৩ উইকেট। তিন ম্যাচ সিরিচে
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া: ২০ ওভারে ১৫৭/৯ (ফিঞ্চ ৪০, মার্শ ৩৫, তাহির ৩/২১)।
দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৯.২ ওভারে ১৫৮/৭ (মিলার ৫৩*, ডু প্লেসিস ৪০, কোল্টার-নাইল ৩/২৯)।
ফল : দক্ষিণ আফ্রিকা ৩ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা : ডেভিড মিলার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অস্ট্রেলিয়ার টানা ৫ হার!
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ