Inqilab Logo

সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে না দেয়ার প্রতিবাদে সারাদেশে বিএনপির বিক্ষোভ

বাধা দেয়ার অভিযোগ বিএনপির

| প্রকাশের সময় : ২৬ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম



স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি না দেয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। গত বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ দেশের সকল জেলা, মহানগর ও রাজধানীর থানায় থানায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা দেন। উল্লেখ্য, গত ২০ মে শনিবার সকালে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে পুলিশী তল্লাশীর প্রতিবাদে গত বুধবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে ডিএমপির কাছে আবেদন করে দলটি। তবে ডিএমপি অনুমতি না দেয়ায় প্রতিবাদে ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি। রাজধানী ও দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব মিছিলের বেশ কয়েকটি স্থানে পুলিশী বাধা ও গ্রেফতারের অভিযোগ করেছে বিএনপি। গতকাল সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন।
রিজভী আহমেদ বলেন, সরকার নিজেদের পতন ঠেকাতে পুলিশ ও দলীয় গুন্ডাদের দিয়ে বিএনপিসহ বিরোধীদলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতেও হামলা চালাচ্ছে। পৈশাচিক কায়দায় বাধা দিয়ে কর্মসূচি পন্ড করছে। সরকারের বিদায় ঘন্টা বেজে গেছে বলেই তারা বিএনপির কোন সভা-সমাবেশের কথা শুনলেই আঁতকে ওঠে। তিনি বলেন, নিজেদের পতন টের পেয়ে আওয়ামী সরকার সৃষ্ট দু:শাসন হিং¯্ররূপী অতি দানবের রূপধারণ করেছে। বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার বিরোধী দলের ওপর অব্যাহত ক্র্যাকডাউন চালিয়েই যাচ্ছে। জনমত, দেশ-বিদেশের নাগরিক সমাজের কোন প্রতিক্রিয়াকে গ্রাহ্য না করে সরকারের বিরোধী দলের প্রতি আচরণ যুক্তি ও বিবেকবর্জিত এবং নৈরাজ্যপ্রসু। বাকশালের লাশ পুণরুজ্জীবিত করার অব্যাহত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই বিরোধীদলশুন্য কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বর্তমান গণবিরোধী সরকার। সরকার প্রধান শেখ হাসিনা দেশকে সর্বনাশের ধাক্কায় খাদের কিনারে নিয়ে এসেছেন। সর্বশক্তি নিয়োগ করেই বিরোধীদলহীন একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় সর্বশক্তি নিয়োগ করেছেন তিনি। সেজন্যই বিএনপিসহ বিরোধীদলের প্রতিবাদী শ্লোগানকে প্রতিহত করার জন্য পুলিশকে লেলিয়ে দেয়া হয়।
রিজভী আরও বলেন, শেখ হাসিনা নানা ধরণের অভিনব রণকৌশল আবিস্কার করেছেন একদলীয় নিষ্ঠুর শাসনকে প্রসারিত করার জন্য। সেইক্ষেত্রে বিবেকহীন, অমানবিক হাড়শীতল অপকৌশল গ্রহণ করতে কোনরকম বিচলিতবোধ করেন না তিনি। অন্যদিকে দলীয় ক্যাডারদের দিয়ে গাড়ীতে আগুন লাগিয়ে মানুষ পুড়িয়ে এর দায় বিরোধীদলের ওপর চাপানো নোংরা খেলা জনগণ প্রত্যক্ষ করছে।
তিনি বলেন, অপকর্ম কখনো চাপা থাকে না। মিথ্যা দিয়ে তাকে আড়াল করা যায় না। শাহবাগে ২০১৪ সালে একজন আওয়ামী লীগ নেতা তার নিজ পরিবহনে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে এগারজনকে হত্যার ঘটনার সত্যতা এখন অন্য আওয়ামী নেতাদের মুখ থেকেই বেরিয়ে আসছে। অথচ বিএনপি নেতাদের ওপর আওয়ামী নেতাদের সৃষ্ট জ্বালাও পোড়াও ও সন্ত্রাসের দায় চাপিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয় এবং গ্রেফতার করে কারাগারে ভরে রাখা হয়। এই চক্রান্তমূলক মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে বিএনপির জাতীয় নেতাদের জড়িয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। ২০১৪ ও ১৫ সালের আন্দোলনকে গণবিচ্ছিন্ন করার জন্য নানা জঘন্য প্রাণবিনাশী কুটকৌশল চালিয়ে নিজেদের ক্যাডারদের দিয়ে বাসে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করেছে। বিহঙ্গ বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানোর ঘটনায় থলের বেড়াল বের হয়ে পড়েছে।
ঢাকা মহানগর বিএনপি কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে। রাজধানী ঢাকার শ্যামপুর থানা: ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর আহমেদ রবিনের নেতৃত্বে গতকাল সকালে স্থানীয় খন্দকার রোডের মাজার গলিতে শ্যামপুর থানা বিএনপি মিছিলের প্রস্তুতি নেয়ার সময় পুলিশ অতর্কিতভাবে হামলা করে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। এতে তানভীর আহমেদ রবিনসহ ৪ জন গ্রেফতার হন। একই থানায় দুপুরে মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আ ন ম সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে আরেকটি মিছিল দয়াগঞ্জ পোস্তগোলা নতুন রাস্তায় হয়। মিছিলে পুলিশী হামলা করে মিন্টু ও শওকত নামে ২ জন বিএনপি কর্মীকে আটক করে।
ডেমরা থানা ঃ মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহসভাপতি জয়নাল আবেদিন রতন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে গতকাল বিকালে বিক্ষোভ মিছিল ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার এলাকার বিভিন্ন রোড প্রদক্ষিণ করে। সমাবেশে রতন চেয়ারম্যান বলেন, দমনপীড়ন চালিয়ে আন্দোলন দমানো যাবে না। জনগণ রাজপথে নেমে এলে সঠিক জবাব দেবে। মিছিলে অন্যান্যদের মধ্যে বিএনপি নেতা হাজী কবির হোসেন, হাজী আব্দুল আউয়াল, রফিকুল ইসলাম রফিক, থানা স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি শওকত আকবর, ছাত্রদলের মনির হোসেন খান, থানা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক তাজ মাহামুদ, থানা স্বেচ্ছাসেবক দল সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, শ্রমিক দল ডেমরা থানার সহসভাপতি মো. মাহফুজ প্রমুখ অংশ নেয়।
মিরপুর থানা ঃ দুপুরে মিরপুর কমার্স কলেজের সামনে থেকে ঈদগাহ মাঠ পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করে মিরপর থানা। মিছিলে নেতৃত্ব দেন থানা বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন দুলু, হাজী আব্দুল মতিন, মো. আল-আমিন, শামীম আহসান, রাসেল শিকদার, মহিলা দল নেত্রী স্বপ্না আহমেদসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
ভাটারা থানা ঃ দুপুরে ভাটারা নতুন বাজার ১০০ ফিট রাস্তায় মহানগর উত্তর বিএনপির কোষাধ্যক্ষ মো. আতাউর রহমান চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল হয়। মিছিলে থানা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়।
লালবাগ থানা ঃ দুপুরে থানা বিএনপি নেতা সাঈদ হোসেন সোহেলের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল সিকসা বাজার থেকে লালবাগ কেল্লার মোড় পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলে বিএনপি নেতা গোলাম সারোয়ার শামিম, ঈসমাইল হোসেন, আলমগীর কবির সেলিম, ইকবাল হোসেন স্বপন প্রমুখ অংশ নেন।
শাহবাগ থানা ঃ সকালে বঙ্গবাজার হাসপাতালের সামনে থেকে ঢাকা মেডিকেল পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেছে শাহবাগ থানা বিএনপি। থানা বিএনপির যুগ্ম আহŸায়ক রফিকুল ইসলাম স্বপনের নেতৃত্বে মিছিলে বিএনপি নেতা সামছুল আলম চিনু, সামছুদ্দিন ভ‚ঁইয়া, ইমান আলী, হযরত আলী, আবুল হাসমত, মীর রনিসহ নেতৃবৃন্দ অংশ নেয়।
কলাবাগান থানা ঃ দুপুরে পান্থপথ স্কয়ার হাসপাতালের সামনের রোডে বিক্ষোভ মিছিল করেছে কলাবাগান থানা বিএনপিবিএনপি নেতা সাইদুর রহমান সাঈদের নেতৃত্বে মিছিলে অন্যান্যদের মধ্যে ওয়াহিদুর রহমান মিল্কী, মেজবাহ উদ্দিন মনির, মো. শরীফ, মো. শিপন, মো. মান্নান, আব্দুল কুদ্দুস প্রমুখ মিছিলে অংশ নেন।
চকবাজার থানা ঃ মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কাউন্সিলর আনোয়ার পারভেজ বাদলের নেতৃত্বে দুপুরে বকশী বাজার শিক্ষাবোর্ড অফিসের সামনে থেকে মিছিলের প্রস্তুতিকালে পুলিশী হামলায় মিছিলটি পন্ড হয়ে যায়।
খিঁলক্ষেত থানা ঃ সকালে স্থানীয় বটতলা থেকে শুরু করে আমতলা লেক সিটি পর্যন্ত এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে খিলক্ষেত থানা বিএনপি। মিছিলে থানা বিএনপি নেতা সিএম আনোয়ার হোসেনের, জহির উদ্দিন বাবু, রাজিব আহমেদ, বাপ্পী মল্লিক, শহিদুল ইসলাম খোকন, মো. বাবুসহ প্রমুখ অংশ নেন।
বিমানবন্দর থানা ঃ গতকাল দুপুরে থানা বিএনপি নেতা জুলহাস পারভেজ ও মো. জালাল উদ্দিনের নেতৃত্বে হাজী ক্যাম্পের সামনে থেকে আসিয়ান সিটি এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
শাহবাগ থানা: মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহŸায়ক এমএ হান্নান, মহানগর বিএনপি নেতা সাইদুর রহমান সাইদ, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা জাকির হোসেন মিন্টু, শাহবাগ থানা বিএনপি নেতা জাহিদ হোসেন নওয়াব, ২০ নং ওয়ার্ড নেতা আবু সুফিয়ান, সাইফুল ইসলাম প্রমুখের নেতৃত্বে  একটি বিক্ষোভ মিছিল মুক্তাঙ্গন থেকে বের হয়ে গোলাপশাহ মাজারের দিকে গেলে পুলিশী বাধায় সংক্ষিপ্ত হয়ে শেষ হয়।
কুমিল্লা থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির প্রতিনিধি সভার অদূরে ককটেল বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটেছে। এতে জিহাদ হোসেন (৯) নামের এক স্কুলছাত্র আহত হয়েছে। জেলার চান্দিনা উপজেলা সদরে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আরও ৩টি তাজা ককটেল উদ্ধার করেছে। এ ঘটনার পর পুলিশের বাঁধার কারনে কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির প্রতিনিধি সভা পন্ড হয়ে গেছে। এদিকে ককটেল বিস্ফোরন ও উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে।
বগুড়া অফিস জানায়, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে পুলিশী তল্লাশীর প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বৃহষ্পতিবার বেলা ১১টায় বগুড়া শহরের নবাবাড়ী রোডে জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন, কেন্দ্রীয় নেতা মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শোকরানা, বিএনপি নেতা আলী আজগর হেনা, মীর শাহে আলম প্রমুখ ।
ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, ফরিদপুর জেলা বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শুলশান কার্যালয়ে পুলিশের তল্লাশির প্রতিবাদে ডাকা সমাবেশ পুলিশি বাধায় পন্ড হয়ে যায়। এসময় পুলিশ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের পাঁচ নেতাকর্মীকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন, ছাত্রদল নেতা মোজাম্মেল হোসেন খান মিঠু, লিটন বিশ্বাস, রহুল আমিন, আরিফুল ইসলাম ও আলমগীর হোসেন রাজু। অপর দিকে জেলা যুবদল, ছাত্রদল শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। এইসব বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে নেতৃত্ব দেন জেলা যুবদলের সভাপতি আফজাল হোসেন খান পলাশ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি বেনজীর আহমেদ তাবরীজ।
চট্টগ্রামে বিএনপির বিক্ষোভ
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে তল্লাশি ও ঢাকায় সমাবেশ করতে না দেয়ার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে গতকাল বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিএনপি। নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় চত্বরে নগর বিএনপির সমাবেশে নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে এখন দেউলিয়া। জনগণের কোন আস্থা তাদের উপর নেই। এ কারণে তারা বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে আতঙ্ক মনে করছে। বিএনপিকে গণতান্ত্রিক অধিকার মিছিল-সমাবেশও করতে দিচ্ছে না। তিনি এ সরকারের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার ডাক দেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান। বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এম এ আজিজ, মোহাম্মদ আলী, এস এম সাইফুল আলম, শেখ নুরুল্লাহ বাহার, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইসকান্দর মির্জা, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সামশুল হক, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, আব্দুল মান্নান, আনোয়ার হোসেন লিপু, মাহবুবুল আলম, কাউন্সিলর আবুল হাশেম, মনোয়ারা বেগম মনি প্রমুখ।
উত্তর জেলা বিএনপির এক সমাবেশ নগরীর কাজির দেউড়ি মোড়ে জেলা বিএনপির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। জেলা বিএনপি নেতা অধ্যাপক মহসিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি নেতা শওকত আলী নূর, মো: মাঈনুদ্দিন, ফিরোজ মেম্বার, আজমত আলী বাহাদুর, মো: শহিদুজ্জামান, মীর কাশেম, দিদার তালুকদার, নিজাম আহমদ তপন প্রমুখ। দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগেও সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ
খুলনা ব্যুরো : বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে পুলিশী তল্লাশির নামে তান্ডব চালানোর প্রতিবাদে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে না দেয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার দলীয় কার্যালয়ের সামনে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
নগর বিএনপির সভাপতির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম মঞ্জুর সভাপতিত্বে সমাবেশের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন মাওলান ফারুক হুসাইন। সমাবেশে বক্তৃতা করেন সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, মীর কায়সেদ আলী, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, শেখ খায়রুজ্জামান খোকা, সিরাজুল ইসলাম, শাহজালাল বাবলু, জাহিদুর রহমান, ফখরুল আলম, এ্যাড. ফজলে হালিম লিটন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আমজাদ হোসেন, আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, মেহেদী হাসান দীপু, শফিকুল আলম তুহিন, আজিজুল হাসান দুলু, আজিজা খানম এলিজা, মুজিবর রহমান, ইকবাল হোসেন খোকন, মোঃ শাহজাহান, সাদিকুর রহমান সবুজ, জালু মিয়া, গিয়াসউদ্দিন বনি, শাহিনুল ইসলাম পাখী, এহতেশামুল হক শাওন, শেখ সাদী, ইউসুফ হারুন মজনু, নাজিরউদ্দিন আহমেদ নান্নু, নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, শরিফুল ইসলাম বাবু ও হেলাল আহমেদ সুমন প্রমুখ।
অপরদিকে, জেলা বিএনপির উদ্যোগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় একই স্থানে সভাপতি এ্যাড. শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তৃতা করেন আমীর এজাজ খান, মনিরুজ্জামান মন্টু, এসএ রহমান বাবুল, শেখ আব্দুর রশিদ, মনিরুল হাসান বাপ্পী, জিএম কামরুজ্জামান টুকু, আশরাফুল আলম নান্নু, আলাউদ্দিন মিঠু, মোশাররফ হোসেন মফিজ, এ্যাড. তছলিমা খাতুন ছন্দা, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, আব্দুর রকিব মল্লিক, খন্দকার ফারুক হোসেন, রবিউল হোসেন, উজ্জল কুমার সাহা, শামমি কবীর, সাইফ মোল্লা, পূর্ণিমা হোসেন চৌধুরী, তৈয়েবুর রহমান, কামরান হাসান, বিকাশ মিত্র, খান ইসমাইল হোসেন, আতাউর রহমান রনু, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, গোলাম মোস্তফা তুহিন, শরীফ মোজাম্মেল হোসেন, শেখ হাফিজুর রহমান, বিল্লাল মোল্লা, গাজী আব্দুল হালিম, কাজি মিজানুর রহমান,  সৈয়দ নেয়ামত আলী, ইউসুফ শেখ, শামসুল বারিক পান্না, মাহতাব মেম্বার, রফিকুল ইসলাম বাবু, আমিরুল ইসলাম তারেক, জি এম আসাদুজ্জামান, সরোয়ার হোসেন, সাইফুল পাইক, সুলতান মাহমুদ, জহুরুল হক, সরদার আব্দুল মালেক, আবু সাঈদ, ওহিদুজ্জামান রানা, মনিরুল ইসলাম ভূট্টো, নজরুল ইসলাম মোড়ল, মুন্না সরদার, আবু ওহিদ, সেতারা সুলতানা, শাহনাজ ইসলাম, রেহেনা ইসলাম, দিদারুল ইসলাম, সাইফুল মোড়ল, মাসুম গাজী, আব্দুর রহমান, হবি মেম্বার, সরদার দৌলত হোসেন, শহিদুল ইসলাম, নুর ইসলাম মেম্বার, মোতাহার হোসেন কিরন, মনিরা বেগম, আবু হানিফ, জাহিদুল ইসলাম লাভলু, মুন্নি বেগম, জিএম শফিকুল ইসলাম, বাদশা গাজী, মোড়ল আমিনুর রহমান ও মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএনপি

১৩ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ