পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ব্যয় হবে প্রায় ৫০ কোটি টাকা
নাছিম উল আলম : খুলনা শিপইয়ার্ডে বাংলাদেশ কোষ্ট গার্ডের জন্য একটি সেলফ প্রপেলড ফ্লোটিং ক্রেন-এর নির্মাণ কাজের সূচনা হচ্ছে আজ। প্রায় ৫০কোটি টাকার সম্পূর্ণ দেশীয় তহবিলে এ ক্রেন বাজটির কিল-লেয়িং করবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন নিরাপত্তা বিভাগের সচিব ড.কামাল উদ্দিন আহমেদ। খুলনা শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর কে কামরুল হাসান-বিএন’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকছেন কোষ্ট গার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার এ্যাডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী-বিএন। খুলনা শিপয়ার্ডে কোষ্ট গার্ডের জন্য ২৭০কোটি টাকা ব্যায়ে ৩টি ইনশোর পেট্রোল ভেসেল-এর নির্মান কাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশ কোষ্ট গার্ড দেশের সমৃদ্ধ সমুদ্র সম্পদ রক্ষায় আমাদের নৌ সীমা সহ উপক’লীয় ও অভ্যন্তরীন এলাকায় অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করছে। কোষ্ট গার্ড ইতোমধ্যে দেশের উপক’লীয় এলাকা সহ বিভিন্ন নদী বন্দর ও নৌ পথে আস্থা ও নির্ভরতার প্রতিকে পরিনত হয়েছে। সরকারের সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে প্রতিবেশী ভারত ও মায়ানমারের সাথে আমাদের সমুদ্রসীমা নির্ধারিত হওয়ায় কোষ্টগার্ডের দায়িত্ব ও ভূমিকা যথেষ্ঠ বেড়ে গেছে। প্রকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ এ বিশাল সমুদ্র এলাকা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও আশা করছেন সকলে। এ বিশাল সমুদ্র এলাকার নিরাপত্তা, সম্পদ আহরন ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষে কোষ্টগার্ড তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের লক্ষে ২০১৫ থেকে ’৩০সাল পর্যন্ত স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদী তিনটি স্তরে কৌশলগত পরিকল্পনা প্রনয়ন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ইতোপূর্বে ৩টি ইনশোর পেট্রোল ভেসেল-এর নির্মািন কাজ শুরু হয়েছে খুলনা শিপইয়ার্ডে। এরই পরবর্তি কার্যক্রম হিসেবে একটি সেল্ফ প্রপেলড ফ্লোটিং ক্রেন নির্মাণ করতে যাচ্ছে খুলনা শিপইয়ার্ড।
ফ্রান্সের ব্যুরো অব ভেরিটাস-এর তত্ববধানে দেড় শতাধীক ফুট লম্বা ও ৫০ফুট প্রস্থ এ ক্রেন বার্জটির গভীরতা প্রায় ১০ফুট। আমেরিকায় তৈরী ৩৭৫অশ্ব শক্তির দুটি মূল ইঞ্জিন সমৃদ্ধ এনৌযানটি ৫৮০টন পানি অপসারন করে ঘন্টায় প্রায় ৩০কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারবে। বার্জটিতে ৬৯কিলোওয়াটের ২টি জেনারেটর সংজোযন করা হচ্ছে। যার মাধ্যমে প্রায় ৭৫টন উত্তলনক্ষম একটি সয়ংক্রীয় ক্রেন পরিচালন সম্ভব হবে। ২৫ জন জনবল সমৃদ্ধ এ নৌযানটিতে ইকো সাউন্ডার, নেভিগেশনাল রাডার ছাড়াও অত্যাধুনিক ভিএইচএফ ও এইচএফ বেতার যোগোযোগ ব্যবস্থাও সংযোজন করা হবে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ কোষ্ট গার্ড তার টহল নৌযানসমুহের সাহায্যে দেশের অভ্যন্তরীন ও উপক’লীয় এলাকায় নিয়মিত টহল প্রদানের মাধ্যমে চোরাচালান বিরোধী অভিযান এবং ইলিশ সহ মৎস সম্পদ রক্ষা ও আইনÑশৃংখলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছ। নির্মিতব্য ক্রেন বার্জটি কোষ্ট গার্ডের যেকোন নৌযানের দূর্ঘটনা পরিবর্তি উদ্ধার অভিযান সহ দূর্যোগ পরবর্তি উদ্ধার তৎপড়তায়ও অংশ নেবে ।
বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর নিয়ন্ত্রনাধীন খুলনা শিপইয়ার্ড ইতোমধ্যে বাংলাদেশে সেনাবাহিনী ও কোষ্ট গার্ডের জন্য একাধীন নৌযান নির্মানকাজ সাফল্যজনকভাবে সম্পন্ন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর জন্য ৫টি পেটোল ক্রাফট-এর নির্মাণ কাজ সাফল্যজনকভাবে সম্পন্ন করার পরে বর্তমানে বড় মাপের আরো দুটি অত্যাধুনিক যুদ্ধ জাহাজ নির্মাণ করছে। এছাড়াও নৌ বাহিনীর চীন থেকে সংগ্রহ করা সাবমেরিন-এর জন্য দুটি সাবমেরিন টাগও তৈরী করছে খুলনা শিপইয়াড। প্রতিষ্ঠানটি গত অর্থ বছরে এযাবতকালের সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জন করে। শিপইয়ার্ডটি গত কয়েক বছর ধরে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শ্রেষ্ঠ করদাতার সম্মানও অর্জন করে চলেছে।
১৯৯৯সালের ৩ অক্টোবর বর্তমান ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেড় শতাধীক কোটি টাকার দায় দেনা ও লোকসানের বোঝা নিয়ে মৃতপ্রায় খুলনা শিপইয়ার্ডকে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেন। সব লোকসানের বোঝা ও লোকসান কাটিয়ে প্রতিষ্ঠানটি গত ১৬ বছরে আরো দু শতাধীক কোটি টাকা মুনাফা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। নৌ নির্মান প্রতিষ্ঠানটিতে এ পর্যন্ত ৭২০টি বিভিন্ন ধরনের নৌযান নির্মাণ ছাড়াও আরো দুই সহশ্রাধিক নৌযানের মেরামত সম্পন্ন হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।