পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পায়রা বন্দর ও সন্নিহিত নৌপথ সংরক্ষন-উন্নয়নসহ সার্বিক নৌ যেগাযোগ রক্ষায় খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মিত দুটি পাইলট ভেসেল সম্প্রতি হস্তান্তর করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে নব নির্মিত নৌযানগুলো শিপইয়ার্ডের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহন করেন। অনুষ্ঠানে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর এম জাহাঙ্গির আলম-বিএন ও খুলনা শিপইয়ার্ডের এমডি ক্যাপ্টেন এম সাজেদুল করিম-বিএনসহ উর্দ্ধতন সামরিক-বেসমারিক কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।
প্রায় ৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২০ ফুট দৈর্ঘ ও ২৫ ফুট প্রস্থ এসব পাইলট ভেসেলগুলোর ড্রাফট প্রায় ৬ ফুট। জাপানের মিতসুবিসি কোম্পানির ১,৮৫০ অশ^শক্তির দুটি করে ইঞ্জিন সমৃদ্ধ এসব পাইলট ভেসেল ঘণ্টায় প্রায় ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে এক নাগারে প্রায় ১২শ কিলোমিটার নৌপথ পাড়ি দিতে সক্ষম। নেদারল্যান্ডের এনপিএস ডিজেল ব্রান্ডের ১০৫ কিলোওয়াটের দুটি করে জেনারেটর সমৃদ্ধ এসব নৌযানে অত্যাধুনিক ইকোসাউন্ডার, রাডার ও স্পীড লগসহ বিভিন্ন ধরনের জরিপ সরঞ্জাম রয়েছে। নৌযানগুলোতে ১২জন পাইলটসহ ১৪জন জনবল থাকবে।
নৌযান জরিপ প্রতিষ্ঠান ফ্রান্সের ব্যুরো ভেরিটাস-এর ভিয়েতনামের ভিটিহকো ডিজাইন-হাউজ-এর নকশায় পাইলট ভেসেল দুটির সমুদয় সরঞ্জামের যোগান দিয়েছে দেশের পিয়ারলেস ভেঞ্চার লিমিটেড। নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী হস্তান্তর অনুষ্ঠানে নৌযান দুটি যথা সময়ে সরবরাহ করায় খুলনা শিপইয়ার্ডের প্রশংসা করে দেশের উন্নয়নে প্রতিষ্ঠানটির অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন।
উল্লেখ্য, খুলনা শিপইয়ার্ড ইতোমধ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য মাঝারি থেকে বড় ধরনের যুদ্ধ জাহাজ ছাড়াও সাবমেরিন টাগ ও বিভিন্ন ধরনের সমর নৌযান নির্মাণের কৃতিত্ব অর্জন করেছে। প্রতিষ্ঠনটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও কোষ্ট গার্ডের জন্যও বিভিন্ন ধরনের সমর নৌযান ছাড়াও বেসামরিক পর্যায়ে ইতোমধ্যে কন্টেইনার শীপ, অয়েল ট্যাংকার, প্যাসেঞ্জার শীপ, ট্যুরিস্ট বোট, ফায়ার ফাইটিং বোট ও ফেরীসহ বিভিন্ন ধরণের নৌযান নির্মানও সাফল্যের সাথে সম্পন্ন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি গত অর্থ-বছর প্রায় ১৩৬ কোটি টাকা মুনাফাসহ ৮১ কোটি টাকা নীট মুনাফা অর্জনে সক্ষম হয়।
এক সময়ে রুগ্ন ও বিরাষ্ট্রীয়করন তালিকাভূক্ত এ প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৯ সালে প্রায় পৌনে ২শ কোটি টাকার দায়দেনা নিয়ে নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। ব্যাবস্থাপনা কতৃর্ৃৃৃপক্ষ, কর্মীদের সততা, আন্তরিকতা ও নিরলস প্রচেষ্টায় সব দায়দেনা শোধ করে গত দু দশকে খুলনা শিপইয়ার্ড প্রায় ৭শ কোটি টাকা নীট মুনাফা অর্জনেও সক্ষম হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।