নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : প্রথম ওভারেই স্কয়ার লেগে টম লাথামের সহজতম ক্যাচ হাতছাড়া করলেন নাসির হোসেন। পরে নাসির হোসেনেরই শিকার হয়ে যখন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক মাঠ ছাড়েন নামের পাশে তখন জ্বলজ্বলে ৮৪ রানের ইনিংস।
টম লাথাম আর নাসির হোসেনই যেন হয়ে থাকলেন আয়ারল্যান্ডের ত্রিদেশীয় সিরিজের শেষ ম্যাচের আসল চিত্র। শুরুতেই বাংলাদেশের বিবর্ণ বোলিংয়ের সাথে দুর্বল ফিল্ডিংয়ে তিনশোর্ধো সংগ্রহের চোখ রাঙাচ্ছিল কিউইরা। কিন্তু সাত মাস পর একাদশে সুযোগ পাওয়া নাসিরের দুর্দান্ত দুটি ব্রেকথ্রু ও শেষদিকে সাকিব-মাশরাফিদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং তা হতে দেয়নি। কিউইরাও নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে আটকে যায় ২৭০ রানে।
এই রানের পুজিতে নিউজিল্যান্ডও যেমন দেখতে পারে জয়ের স্বপ্ন তেমনি এই রান টপকে বিদেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডকে প্রথম হারানোর সক্ষমতাও আছে বাংলাদেশের। সেক্ষেত্রে আইসিসি ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে ছয় নম্বরে উঠে আসবে বাংলাদেশ। আসন্ন বিশ্বকাপেও তাহলে টাইগারদের খেলতে হবে না বাছাইপর্ব।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঠিক পথেই আছে মাশরাফি বাহিনী। প্রথম ওভারেই সৌম্যকে হারানোর ধাক্কা ভালোভাবেই সামলে নিয়েছেন তামিম ইকবাল ও সাব্বির আহমেদ। ইনিংসের প্রথম বলেই জিতান প্যাটেলকে তেড়েফুড়ে এসে উড়িয়ে মাঠছাড়া করেন তামিম। আর তাতেই রেকর্ডের পাতায় উঠে যায় তার নাম। এর আগে বাংলাদেশের কোন ব্যাটসম্যানই ইনিংসের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকাতে পারেননি। ওয়ানডে ইতিহাসেই এই রেকর্ড আছে কেবল তিনজনের। পরে তামিমের ফিফটির সাথে ১৮.৩ ওভারে ১০০ রান পূর্ণ করে বাংলাদেশ। এই রিপোর্ট লেখার সময় টাইগারদের সংগ্রহ ছিল ২২ ওভারে ১ উইকেটে ১২৬ রান। দ্বিতীয় উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ১১৯ রানের জুটি গড়েন সাব্বির-তমিম। তামিমের পর ফিফটি করেছেন সাব্বিরও।
এ ম্যাচে দলে একটি পরিবর্তন এনে মাঠে নামে টাইগাররা। আগের ম্যাচে অভিষেক হওয়া বাঁ-হাতি স্পিনার সানজামুল ইসলামের পরিবর্তে দলে সুযোগ পান অলরাউন্ডার নাসির হোসেন। প্রায় সাত মাস পর একাদশে সুযোগ পান তিনি। ২০১৬ সালে অক্টোবরে দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন নাসির।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত করা নিউজিল্যান্ড দলে পরিবর্তন আনে তিনটি। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা একাদশ থেকে বাদ পড়েন এডাম মিলনে, স্কট কুগিলজন ও ইশ সোধি। তাদের জায়গায় একাদশে সুযোগ পান হামিশ বেনেট, জিমি নিশাম ও জিতান প্যাটেল।
ত্রিদেশীয় সিরিজের ষষ্ঠ ও শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং-এ করার সিদ্বান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। এদিনও নতুন বল হাতে তুলে নেন মাশরাফি। তৃতীয় বলেই পেতে যাচ্ছিলেন সবচেয়ে কাঙ্খিত উইকেটটিও। কিন্তু স্কয়ার লেগে নাসিরের হাত গলে পড়ে যায় লাথামের সহজতম সেই ক্যাচটি। পরের বলেই স্কয়ার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে এর মাশুল গোনার ইঙ্গিত দেন লাথাম। কিন্তু পরের ওভারে মুস্তাফিজ লুক রনকিকে ফিরিয়ে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দেন মুস্তাফিুর রহমান। কিন্তু পরের উইকেটটির জন্য ২৪.৩ ওভার অপেক্ষা করতে হয় বাংলাদেশকে। এর মাঝে লাথাম- ব্রম জুটি তুলে ফেলে ১৩৩ রান। শুন্য রানের পর ৫০ রানেও লাইফ পান লাথাম। এ যাত্রায় নিজের ক্যাচ ছাড়েন মোসাদ্দেক। সেই লাথামের ব্যাট থেকে আসে ইনিংস সর্বোচ্চ ৯২ বলে ৮৪ রান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৩ রান করা নিল ব্রæমের ক্যাচ ছাড়েন সৌম্য সরকার। লাথামকে বোল্ড করার পর ব্রমকেও মাশরাফির ক্যাচ বানিয়ে ফেরান নাসির।
চতুর্থ উইকেটে কোরি এন্ডারসন ও রস টেইলর জুটি তিনশোর্ধো রানের হুমকি দিচ্ছিল কিন্তু দুপাশ থেকে মাশরাফি-সাকিবের নিয়ন্ত্রিত বোলিং তা হতে দেয়নি। ১৮ রানের মধ্যে বাংলাদেশ তুলে নেয় ৪ উইকেট। সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ান কেবল টেইলর। একপাশ আগলে রেখে অপরাজিত ৬০ রানের ইনিংস খেলেন টেইলর। শেষ ওভারে তার ক্যাচ ছাড়েন মাহমুদুল্লাহ। বাংলাদেশের পক্ষে মাশরাফি-নাসির হোসেন-সাকিব আল হাসান ২টি করে উইকেট নেন। রুবেল হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমান নেন ১টি করে উইকেট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।