Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

মোবাইল টাওয়ারের বিকিরণ পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক

| প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আফতাব চৌধুরী : একথা মানতে কারো কোনো আপত্তি থাকার কথা নয় যে, আজকের দিনে মোবাইলের কোনও বিকল্প নেই। বিশ্বজুড়ে রয়েছে প্রায় ৫ বিলিয়ন গর্বিত মোবাইলের গ্রাহক। এর মধ্যে বাংলাদেশেই গ্রাহকের সংখ্যা বেশ ক’কোটি। ৫.৬ লক্ষেরও বেশি মোবাইল টাওয়ারের মাধ্যমে এঁদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে মোবাইল পরিষেবা। গ্রাম-শহরে আজ হাতে হাতে ঘুরছে মোবাইল। তবে এই মোবাইল ব্যবহারে স্বাস্থ্যের কিছু সমস্যা হওয়ার কথা আমরা ইতিমধ্যেই শুনেছি। এ নিয়ে আলাপ-আলোচনাও কম হচ্ছে না। কিন্তু জানেন কি মোবাইল টাওয়ার অ্যান্টেনা থেকে নির্গত বিকিরণ আরও বেশি বিপজ্জনক? আপনি কোনও মোবাইল টাওয়ারের খুব কাছাকাছি (কমবেশি ৪০০ মিটারের মধ্যে) বাস করেন? তাহলে ধরে নেবেন মোবাইল টাওয়ার অ্যান্টেনা থেকে নির্গত তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণের প্রভাবে আপনার পরিবারের সদস্যদের স্ট্রোক থেকে ক্যানসারসহ নানান দুরারোগ্য ও ভয়ঙ্কর রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে। আর যদি আপনার বাড়ির খুব কাছাকাছিই থাকে একাধিক মোবাইল টাওয়ার, তবে এই আশঙ্কা বিন্তু বহুগুণ বেড়ে যেতে পারে! সা¤প্রতিক কালে দেশ-বিদেশের নানা গবেষণামূলক প্রতিবেদনে এমনই ইঙ্গিত মিলেছে।
এক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, মুম্বইয়ের উষাকিরণ বিল্ডিংয়ের মুখোমুখি অ্যাপার্টমেন্টের আটতলায় মোবাইল টাওয়ারের অ্যান্টেনা রয়েছে। সুতরাং উষাকিরণ বিল্ডিংয়ের সাত, আট ও নয় তলার বাসিন্দারা, মুখোমুখি বিজয় অ্যাপার্টমেন্টের আটতলার মোবাইল টাওয়ার অ্যান্টেনা থেকে নির্গত তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণের সরাসরি প্রভাবের মধ্যে পড়েছে। আশ্চর্যজনকভাবে উষাকিরণ বিল্ডিংয়ের এই অংশে বেশ কিছু ক্যানসার রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে! জানা যাচ্ছে, অ্যাপার্টমেন্টে টাওয়ার বসানোর পরেই তাঁরা নাকি ক্যানসারে আক্রান্ত হন! তবে শুধুমাত্র মোবাইল টাওয়ার অ্যান্টেনার ক্ষতিকর বিকিরণের প্রভাবেই এঁদের ক্যানসার হয়েছে, এমনটা এক্ষুণি বলে দেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু একটা কথা নিঃসংশয়ে বলা যায়, মোবাইল টাওয়ারের অ্যান্টেনা থেকে নির্গত বিকিরণের যে যত মুখোমুখি ও কাছাকাছি থাকবে, তার ওপর বিকিরণজনিত প্রভাব তত গুণ বেশি হবে। দক্ষিণ জার্মানির নাইলা শহরের ১০০০ জন রোগীর ওপর একটি সমীক্ষা হয়, যাঁরা ওই অঞ্চলে গত ১০ বছর ধরে বাস করছেন। দেখা যায়, মোবাইল টাওয়ারের ৪০০ মিটারের মধ্যে যাঁরা বাস করছেন, তাঁদের মধ্যে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা দূরবর্তী অঞ্চলের তুলনায় প্রায় তিনগুণ বেশি। ব্যাপক গবেষণার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অধীন ‘ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসার’ নামক খ্যাতনামা সংস্থাটিও মনে করছে, রেডিও ফ্রিকোয়েন্সিজনিত বিকিরণক্ষেত্র ক্যানসার প্রবণতার কারণ হতে পারে।
এই ‘ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন’ বা তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণ আসলে কী? এটি হল কোনও জায়গার মধ্যে দিয়ে তরঙ্গের আকারে এবং আলোর গতিতে প্রবাহিত বিদ্যুৎ ও চৌম্বকীয় শক্তি। সুতরাং যেখানে এই ‘ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন’ এর উপস্থিতি লক্ষ করা যায় তাকে বলে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড বা তড়িৎচুম্বকীয় ক্ষেত্র। সাধারণত এই তড়িৎচুম্বকীয় ক্ষেত্রে বিকিরিত তরঙ্গ বা ফ্রিকোয়েন্সির পরিমাণ হয় ৩০০ গিগাহার্টজের কম। মোবাইল টাওয়ার অ্যান্টেনা থেকে বিকিরণের ক্ষেত্রে এই ফ্রিকোয়েন্সি যথেষ্ট কম। সাধারণত সর্বনিম্ন সীমা ৮৬৯-৮৯৪ মেগাহার্টজ। অত্যাধুনিক থ্রিজি প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও এর ফ্রিকোয়েন্সি মাত্র ২১১০-২১৭০ মেগাহার্টজ। সুতরাং একটা সময় মনেই করা হত, এত কম রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির সংস্পর্শে মানুষের তেমন ক্ষতির আশঙ্কা নেই। বিকিরত শক্তি বা তাপও তেমন ক্ষতিকর মাত্রার নয়। কিন্তু সা¤প্রতিককালের নানা সমীক্ষায় উঠে আসছে নানা রকম বিপদের কথা, যার কিছু ঘটনা আমরা ইতিমধ্যেই জেনে গেছি। তবে সব থেকে বড় বিপদ, আমরা যারা মোবাইল টাওয়ারের কাছাকাছি অর্থাৎ সব থেকে বিপজ্জনক অঞ্চলের মধ্যে বাস করছি, তারা পুরো ২৪ ঘণ্টা এবং ৩৬৫ দিনই ক্ষতিকর বিকিরণের মধ্যে থাকতে বাধ্য হচ্ছি। সমস্যাটা হল, ক্ষতিকর প্রভাবের কথা চিন্তা করে মোবাইল ফোনের ব্যবহার কেউ হয়তো নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। কিন্তু বাড়িটা কোথায় নিয়ে যাবেন? কোথায় সরাবেন হাসপাতাল, বাজার, সন্তানের স্কুল, কলেজ, খেলার মাঠ? আক্ষরিক অর্থেই মোবাইল টাওয়ারের চক্রব্যূহে পড়ছি আমরা! অথচ কারো কোনো হেলদোল নেই! মোবাইল টাওয়ারের খুব কাছাকাছি থাকা মানুষজনের মধ্যে ক্লান্তি ভাব, মাথার যন্ত্রণা, স্মৃতি লোপ, গা-বমি, শারীরিক অস্বস্তি-অস্তিরতা, ঘুমের সমস্যা, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় যন্ত্রণা, শোনা ও দেখার  বিভিন্ন সমস্যা, গর্ভাবস্থায় নানারকম সমস্যা, বন্ধ্যাত্ব,  হৃদরোগ, স্ট্রোক, পক্ষাঘাত এবং লিউকোমিয়া, ব্রেন টিউমার ইত্যাদি, নানা ধরনের ক্যানসারসহ সার্বিক স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বেড়েই চলেছে। ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন, ইসরাইল প্রভৃতি বিভিন্ন দেশে চালানো নানা সমীক্ষায় এই তথ্যগুলো সামনে এসেছে।
ফ্রান্সে আজ থেকে প্রায় নয়-দশ বছর আগে করা একটি সমীক্ষায়, মোবাইল টাওয়ার অ্যান্টেনার একদম কাছাকাছি বসবাসকারী মানুষজনের মধ্যে ব্যাপকহারে ক্লান্তি, ঘুমের ব্যাঘাত, মাথার যন্ত্রণা, অস্বস্তি ভাব, মনঃসংযোগে অসুবিধা, হতাশা, অস্থিরভাব, স্মৃতিভ্রংশ, শোনা, দেখা ও ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা, হৃদযন্ত্র সম্বন্ধীয় সমস্যা ইত্যাদি লক্ষ করা গিয়েছিল। আর পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যেই এই উপসর্গগুলো বেশি দেখা গিয়েছিল। স্পেনে একটি সমীক্ষায় দেখা যায়, যাঁরা মোবাইল টাওয়ার অ্যান্টেনার ৫০ থেকে ২৫০ মিটারের মধ্যে বসবাস করছেন, তাঁরা বেশি মাত্রায় হতাশা, ক্লান্তি, ঘুমের সমস্যা, মনঃসংযোগের সমস্যা এবং হৃদযন্ত্রের নানা সমস্যায় ভুগছেন। প্রায় একই সময়ে ইসরাইলে চিকিৎসা সম্বন্ধীয় পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে চালানো একটি অনুসন্ধানে জানা যায়, যাঁরা মোবাইল টাওয়ার অ্যান্টেনার ৩৫০ মিটারের মধ্যে বাস করছেন, তাঁরা দেশের গড়ের থেকে চারগুণ বেশি সংখ্যায় ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন এবং টাওয়ারের নিকটবর্তী অঞ্চলের মহিলারা, পাশ্ববর্তী অঞ্চলের তুলনায় দশগুণ বেশি আক্রান্ত হয়েছেন!
এ ছাড়া সুইডেনেও এই তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণ ক্ষেত্রের প্রভাবে মানুষজন অ্যালার্জি, ত্বকের লাল ভাব, বুক ধড়ফড় করা, মাথার যন্ত্রণা, বমিভাব, হৃদযন্ত্রের সম্যা, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা, স্মৃতি লোপ পাওয়া, লিউকোমিয়া, ব্রেন ক্যানসার ইত্যাদিতে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রসঙ্গত, সুইডেন হল সেইসব দেশের অন্যতম, যেটি সর্বপ্রথম ১০০ শতাংশ মোবাইল সংযোগের দাবি করে। এদিকে, ইংল্যান্ডের ব্রিস্টল শহরের একটি ছ’তলা বাড়ির সর্বোচ্চ তলে অনেকে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন এবং চমকপ্রদভাবে এই ছ’তলার ওপরেই কিন্তু রয়েছে একটি মোবাইল টাওয়ার! একইভাবে একসময় অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন শহরের একটি বাণিজ্যিক ভবনের সর্বোচ্চ তলে অনেক বাসিন্দার ব্রেন টিউমার ধরা পড়ে এবং ঘটনা চক্রে এই সর্বোচ্চ তলের ওপরেও ছিল একটি মোবাইল টাওয়ার! স¤প্রতি ব্রাজিলের গবেষকদের গবেষণায়, মোবাইল টাওয়ার অ্যান্টেনা থেকে বিকিরণ ও কয়েক ধরনের ক্যানসারের মধ্যে স্পষ্ট যোগসূত্র লক্ষ করা গেছে!
মোবাইল টাওয়ারের তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণের প্রভাবে শুধু মানুষই নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পাখি, জীবজন্তু, উদ্ভিদ এবং সার্বিকভাবে আমাদের পরিবেশ। গঠন ও আকৃতিগত কারণে পাখিদের ওপর বিকিরণের প্রভাব যথেষ্ট বেশি পরিমাণে পড়ে। গবেষণায় জানা গেছে, টাওয়ারের কাছে থাকা পাখিদের আচরণ বদলে যায়, বাসা তৈরির সময় পাখি দম্পতি অনর্থক ঘন ঘন ঝগড়া করে, প্রজননগত বিভিন্ন সমস্যার উদ্ভব হয়, ডিম থেকে ছানা না-বেরোতেই মায়েরা অসময়ে বাসা ত্যাগ করে এবং অনেক কমবয়সি পাখির অজানা কারণে মৃত্যু হয়! এইসব কারণেই বেশ কিছু পাখিকে মোবাইল টাওয়ারের আশপাশে আর তেমন দেখা যায় না। জার্মানিতে একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, টাওয়ারের খুব কাছে যে গরুগুলো চড়ে তাদের আচরণগত নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সার্বিকভাবে তাদের স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে, অনেকে বিকলাঙ্গ শাবক প্রসব করছে, অনেকের দুধের পরিমাণ কমে যাচ্ছে, এমনকি কারও কারও ক্ষেত্রে দুধের উপাদানগত পরিবর্তনও লক্ষ করা যাচ্ছে। এছাড়া, কুকুর বেড়াল ইত্যাদি প্রাণীর প্রজনন-সংক্রান্ত এবং সার্বিক বৃদ্ধি বা বিকাশ-সংক্রান্ত নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। টাওয়ারের পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে মৌমাছি ও বাদুড়ের সংখ্যা ক্রমশ কমে যাচ্ছে। গবেষণায় জানা যাচ্ছে, অন্যান্য অসুবিধা ছাড়াও তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণে মৌমাছিদের নিজেদের মধ্যে ভাব বিনিময়ে গুরুতর সমস্যা হচ্ছে। তবে শুধু জীবজন্তু বা পতঙ্গই নয়, শাকসবজিসহ বিভিন্ন ধরনের শস্য ও উদ্ভিদের উপরেও মোবাইল টাওয়ারের সান্নিধ্যজনিত বিভিন্ন কু-প্রভাব লক্ষ করা গেছে। দেখা গেছে এর ফলে উদ্ভিদের সার্বিক বৃদ্ধি ও বিকাশ ব্যাহত হয় এবং যার অবশ্যম্ভাবী নেতিবাচক প্রভাব পড়ে কৃষি উৎপাদনের ওপর। এছাড়া, যে গাছগুলো মোবাইল টাওয়ারের একদম লাগোয়া এবং বিকিরণের প্রত্যক্ষ প্রভাবের মধ্যে থাকে, সেগুলো রুগ্ণ ও দুর্বল হয়ে যায়, তাদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এবং ওপরের ডালপালা অনেক সময় শুকিয়ে যায়। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, মোবাইল টাওয়ারের অদৃশ্য, অমোঘ দূষণ প্রতিমুহূর্তে ক্ষতি করে চলেছে বাস্তুতন্ত্রের, আমাদের গোটা পরিবেশের!
কিন্তু এই মুহূর্তে বাঁচার জন্য আমরা কী করতে পারি? প্রথমেই যা প্রয়োজন তা হল মোবাইল টাওয়ার থেকে বিকিরণ সংক্রান্ত বিধিনিষেধগুলো আরও কঠোর করা যাতে করে বিকিরণের ক্ষতিকর শক্তিকে ধীরে ধীরে কমিয়ে আনা যায়। ভবিষ্যতে বিকিরণ শক্তির পরিমাণ কমার ফলে পরিষেবা বজায় রাখতে একদিকে যেমন বেশি সংখ্যায়, স্বল্পমাত্রার বিকিরণবিশিষ্ট টাওয়ার তৈরি করতে হবে। তবে এর ফলে প্রাথমিকভাবে দুটি সমস্যা তৈরি হতে পারে। প্রথমত, মোবাইল পরিষেবা আরও কিছুটা মহার্ঘ হতে পারে এবং সর্বত্র সিগন্যাল পেতেও কিছু সমস্যা হতে পারে। পরে প্রয়োজনীয় সংখ্যায় টাওয়ার তৈরি হয়ে গেলে এ সমস্যা থাকবে না। কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই পর্যায়ে সর্বস্তরের মানুষের সচেতনতা প্রয়োজন এবং সাধারণ মানুষকে মোবাইল টাওয়ার বিকিরণের ক্ষতিকর দিকটি এবং প্রকৃত বৈজ্ঞানিক সত্যটি জানানো দরকার, যাতে করে তাঁরা প্রত্যেকটি বিষয়ে প্রশাসনের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন, অযথা আতঙ্ক বা নিস্পৃহতায় না ভোগে এবং ছোটখাটো অসুবিধাগুলোকে বৃহত্তর স্বার্থে যেন মানিয়ে নিতে পারে। অন্যদিকে, মোবাইল অপারেটররা বিধিনিষেধগুলো ঠিকঠাক পালন করছে কিনা, সেদিকে প্রশাসনের নিরন্তর সজাগ দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন। বিধিভঙ্গকারীদের অত্যন্ত কড়া ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রয়োজন। একই সঙ্গে টাওয়ারগুলোতে ব্যবহৃত ডিজেল জেনারেটর থেকে যে বিপুল পরিমাণ দূষণ হচ্ছে সে বিষয়ে কিন্তু ভাবনা-চিন্তা দরকার। প্রশাসনের আরও উচিত মোবাইল অপারেটরদের ট্যাক্স, লাইসেন্স ফি ইত্যাদিতে যথাসম্ভব ছাড় দেওয়া, যাতে করে মোবাইল অপারেটররা প্রয়োজনীয় উৎসাহ ও লাভের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারেন বিকিরণ-সংক্রান্ত সমস্ত বিধিনিষেধ মেনে এবং জনস্বার্থকে সুরক্ষিত রেখে।
গ্রাম-শহর সর্বত্র ‘স্কাইলাইন’ দ্রæত বদলে যাচ্ছে চারপাশে নির্বিচারে গড়ে ওঠা অজস্র মোবাইল টাওয়ারে! এই টাওয়ারগুলোর মধ্যেকার দূরত্ব আন্তর্জাতিক বিধি অনুযায়ী সব ক্ষেত্রে ঠিক থাকছে তো? ঠিক থাকছে তো এগুলোর বিকিরণের মাত্রা? নেওয়া হচ্ছে কি ধরনের সতর্কতা? কে, কবে এগুলোর সুনির্দিষ্ট উত্তর দেবে? কবে কাটবে ধোঁয়াশা আর ততদিনে সবকিছু খুব দেরি হয়ে যাবে না তো?  
লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মোবাইল

১৮ নভেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ