মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : উত্তর কোরিয়া যে কোনো মুহূর্তে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে প্রস্তুত- কিম জং-উনের এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সারা বিশ্ব উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ কোরীয় সীমান্তে বিশেষ উদ্বেগ বিরাজ করছে।
দেশটির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় বহুমুখী নতুন রকেট লাঞ্চার সংযোজন উপলক্ষে কিম গত শুক্রবার রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত টেলিভিশনে তার দেশের সেনাবাহিনীকে সম্ভাব্য যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারে প্রস্তুত থাকার ওই নির্দেশ দেন।
অন্যদিকে, গত শুক্রবার নিজ দেশে সামরিক বাহিনীর এক অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পার্ক জিয়ান হি বলেন, আমরা যদি উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক সক্ষমতা বন্ধ করতে না পারি, তাহলে ভবিষ্যতে তা আমাদের জনগণের জন্য দুর্ভোগ বয়ে আনবে এবং উত্তর-পূর্ব এশিয়ার শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট হবে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ কিমের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, উত্তর কোরিয়াকে গুণগত ও পরিমাণগতভাবে পারমাণবিক অস্ত্রের শক্তি বাড়াতে হবে। জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সব সময় পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন রাখতে হবে যাতে, প্রয়োজনে যে কোন মুহূর্তে তা ছোঁড়া যায়। কিমের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থাটি আরও জানায়, যে কোনো মুহূর্তে শত্রুপক্ষের আক্রমণের প্রতিউত্তর দিতে এখন আমাদের সামরিক কৌশল পরিবর্তনের সময় এসেছে।
উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং-উনের তার সামরিক বাহিনীকে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশনার ব্যাপারে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের মুখপাত্র কমান্ডার বিল আর্বান বলেন, আমরা উত্তর কোরিয়াকে এ ধরনের চিন্তাভাবনা থেকে বিরত থাকার এবং আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা ও প্রতিশ্রুতির মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।
এদিকে কিমের ওই বক্তব্যের জের ধরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাশিয়াও। ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, পারমাণবিক অস্ত্র প্রস্তুত রাখার উত্তর কোরিয়ার ঘোষণায় রাশিয়া খুবই শঙ্কিত। টেলিকনফারেন্সে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, কিমের ওই ঘোষণা বিশ্বব্যাপী ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। আমরা আশা করবো, এ অঞ্চলের দেশগুলো অসহিষ্ণু হবে না এবং ভারসাম্যপূর্ণ মনোভাব বজায় রাখবে।
অন্যদিকে, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার প্রধান মিত্র চীন গত শুক্রবার ওয়াশিংটন ও সিউলের মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় সম্ভাব্য মার্কিণ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েনে উদ্বগ প্রকাশ করেছে।
গত জানুয়ারিতে পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক পরীক্ষার জের ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের খসড়ার ওপর নির্ভর করে উত্তর কোরিয়ার ওপর নতুন করে জাতিসংঘের অবরোধ আরোপের পর ক্ষিপ্ত উত্তর কোরীয় নেতা যে ঘোষণা দেন, তারই রেশ ধরে বর্তমান উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নও জাতিসংঘের নির্দেশনা মেনে উত্তর কোরিয়া উপর নিষেধাজ্ঞা আরো বাড়িয়েছে। ইউরো নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।