পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
উমর ফারুক আলহাদী : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রে দলের লোকও জড়িত ছিল। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার স্থপতিকে হত্যায় তৎকালীন মন্ত্রী খোন্দকার মোশতাক আহমেদেসহ আরো অনেকেই জড়িত ছিলেন। অনেকেই এই ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি বলেন, আসলে ঘরের শত্রু বিভীষণ। ঘরের থেকে শত্রুতা না করলে বাইরের শত্রু সুযোগ পায় না। সে সুযোগটা তারা করে দিয়েছিল আর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসররাই জাতির জনককে হত্যা করেছিল। এই হত্যাকান্ডে যারা জড়িত ছিলেন, তাদের অনেকের নিয়মিত ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে আসা যাওয়াতও ছিল।
গতকাল আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় একথা বলেন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু হত্যার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগে আপ্লুতে হয়ে পড়েন শেখ হাসিনা। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে ছয় বছর প্রবাসী জীবনের দুঃসহ অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে বারবার চোখ মুছেন তিনি।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার দিন শেখ হাসিনা ছিলেন বেলজিয়ামে। সেখানেই তিনি ঘটনাটি জানতে পারেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘যখন জানতে পারলাম, তখন সহ্য করাটা কঠিন ছিল।’
বেলজিয়াম থেকে জার্মানি হয়ে ভারতে আসেন শেখ হাসিনা। এই স্মৃতি বলতে গিয়ে আবার কাঁদতে থাকেন তিনি। বলেন, ভাবলাম দেশের কাছে যাই। কখনও শুনি, মা বেঁচে আছে। কখনও শুনি, রাসেল বেঁচে আছে। একেক সময় একেক খবর পেতাম। ওই আশা নিয়ে চলে আসলাম। কেউ বেঁচে থাকলে ঠিক পাব।
শেখ হাসিনা ভারতে থাকার সময়ই তাকে আওয়ামী লীগ দলীয় সভাপতি নির্বাচিত করে। এরপর তিনি দেশে ফিরে আসেন। দলের দায়িত্ব গ্রহণ সহজ কাজ ছিল না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এত বড় সংগঠন করার অভিজ্ঞতাও আমার ছিলে না। আমার চলার পথ অত সহজ ছিল না।’
স্বাধীনতার চার বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের জন্য দলের ভেতরের মানুষদের ষড়যন্ত্রকেই দায়ী করেছেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকােন্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমানের জড়িত। ওই সেনা কর্মকর্তা ’৭৫ এর ১৫ আগস্টে ইতিহাসের বর্বর হত্যাকান্ডের কয়েক মাসের মধ্যে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিলেন। তিনি বলেন, যারা এভাবে বেঈমানি করে, মোনাফেকি করে, তারা কিন্তু এভাবে থাকতে পারে না। মোশতাক প্রেসিডেন্ট হয়ে জিয়াউর রহমানকে সেনাপ্রধান করে। তাদের মধ্যে অবশ্যই যোগসাজশ ছিল।
জিয়ার পারিবারিক সমস্যা সমাধানে বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগ নেওয়ার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “জিয়াউর রহমান প্রতি সপ্তাহে একদিন তার স্ত্রীকে (খালেদা জিয়া) নিয়ে ওই ৩২ নম্বরের বাড়িতে যেত।” বঙ্গবন্ধুর বাড়ির দুয়ার সবার জন্য অবারিত ছিল, যার সুযোগ ষড়যন্ত্রকারীরা নিয়েছিল বলে জানান শেখ হাসিনা। তাদের যাওয়াটা আন্তরিকতা না, চক্রান্ত করাটাই ছিল তাদের লক্ষ্য; সেটা বোধ হয় আমরা বুঝতে পারি নাই।”
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের জনগণের উপর বিশ্বাস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রচন্ড বিশ্বাস ঠিল। তিনি কখনও হত্যাকান্ডের শিকার হওয়ার কথা ভাবতে পারেননি।
তিনি বলেন, অনেকেই তাকে সাবধান করেছিলেন; এরকম একটা ঘটনা ঘটতে পারে। তিনি বিশ্বাসই করেন নাই। আব্বা বলতেন, ‘না, ওরা তো আমার ছেলের মতো, আমাকে কে মারবে?”
ডালিম (শরিফুল হক ডালিম), ডালিমের শ্বাশুড়ি, ডালিমের বউ, ডালিমের শালী ২৪ ঘণ্টা আমাদের বাসায় পড়ে থাকত। ডালিমের শ্বাশুড়ি তো সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত, ডালিমের বউ তো সারাদিনই আমাদের বাসায়। খুনি মেজর এ এইচ এম বি নূর চৌধুরীর নিজের ভাই শেখ কামালের সঙ্গে প্রধান সেনাপতি কর্নেল আতাউল গণি ওসমানীর এডিসি হিসাবে কাজ করার কথাও বলেন শেখ হাসিনা। এরা তো অত্যন্ত চেনা মুখ।
আরেক খুনি সৈয়দ ফারুক রহমান বঙ্গবন্ধুর তৎকালীন মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রী এ আর মল্লিকের শালীর ছেলে। খুব দূরের না। এরাই ষড়যন্ত্র করল।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, “আমার মাঝে মধ্যে মনে হয়, আব্বা যখন দেখেছেন, তাকে গুলি করছে, তারই দেশের লোক, তার হাতে গড়া সেনাবাহিনীর সদস্য, তার হাতে গড়া মানুষ.. জানি না তার মনে কী প্রশ্ন জেগেছিল?”
২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার সময় দলের নেতৃত্ব থেকে শেখ হাসিনাকে বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্রের জন্যও আওয়ামী লীগ কর্মীদের রোষের শিকার হয়েছিলেন কয়েক নেতা। পরে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি তাদের ক্ষমা করে দিলেও ভুলে যাননি।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার সময় দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে গিয়েছিলেন দুই বোন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। স্বামী এম ওয়াজেদ মিয়ার গবেষণার কারণে ১৯৭৫ সালের ৩০ জুলাই জার্মানিতে গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা; ছোট বোন শেখ রেহানাও সেখানে গিয়েছিলেন বেড়াতে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ছয় বছর প্রবাসে থাকার পর প্রতিক’ল অবস্থার মধ্যে ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে বাবার দল আওয়ামী লীগের হাল ধরেন শেখ হাসিনা। তারপর এখন তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের দিন দুই বোন ছিলেন বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে। খবর শোনার পর পশ্চিম জার্মানিতে ফিরে তৎকালীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর বাসায় ওঠেন তারা। পরে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের ভারতে আশ্রয় দিয়েছিলেন।
এক দিনে পরিবারের সবাইকে হারানোর দিনটি মনে করতে গিয়ে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি চোখের পানি মুছতে মুছতে বলেন, ‘তখনও ততটা জানতে পরিনি কী ঘটে গেছে বাংলাদেশে। যখন জানতে পারলাম, তখন সহ্য করাটা কঠিন ছিল। তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল হোসেনের পশ্চিম জার্মানির বন শহরে সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের কথা চেপে রাখার কথাও বলেন শেখ হাসিনা। এই হত্যাকান্ড সম্পর্কে একটা কথাও বললেন না। উনার কোথায় যাওয়ার কথা ছিল চলে গেলেন। হুমায়ুন রশীদ সাহেব এই হত্যাকান্ডকে কনডেম করলেন প্রেসের সামনে।”
বঙ্গবন্ধু সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল হোসেন শেখ হাসিনার সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীতেও ছিলেন। পরে আলাদা দল গড়েন তিনি। হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী পরে আওয়ামী লীগের হয়ে সংসদের স্পিকার হয়েছিলেন। ভারতে নির্বাসিত জীবনের কথা বলতে গিয়ে কাঁদতে কাঁদতেই শেখ হাসিনা বলেন, “ভাবলাম দেশের কাছে যাই। কখনও শুনি, মা বেঁচে আছে। কখনও শুনি, রাসেল বেঁচে আছে। একেক সময় একেক খবর পেতাম। ওই আশা নিয়ে চলে আসলাম। কেউ বেঁচে থাকলে ঠিক পাব। ২৪ আগস্ট দিল্লি পৌঁছলাম। মিসেস গান্ধী (ইন্দিরা গান্ধী) আমাদের ডাকলেন। ওনার কাছ থেকে শুনলাম, কেউ বেঁচে নেই। হুমায়ুন রশীদ সাহেব আগে বলেছিলেন। কিন্তু, আমি রেহানাকে বলতে পারি নাই। কারণ, ওর মনে একটা আশা ছিল, কেউ না কেউ বেঁচে থাকবে।”
দিল্লিতে মিসেস গান্ধী থাকার ব্যবস্থা করে দিলেন। ওয়াজেদ সাহেবকে (এম ওয়াজেদ মিয়া) এটমিক এনার্জিতে কাজের ব্যবস্থা করে দিলেন।”
কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে শেখ হাসিনা বলেন, “এটা কী কষ্টের .. যন্ত্রণার কাউকে বুঝিয়ে বলতে পারব না।”
অর্থের কারণে ১৯৭৭ সালে বোন শেখ রেহানার বিয়েতে লন্ডনে যেতে না পারার বেদনা তুলে ধরে তিনি বলেন, “দুই ছেলে-মেয়ে নিয়ে যাব, অত টাকা ছিল না। আর, কোথায় থাকব?”
১৯৮০ সালে লন্ডনে যাওয়ার ক্ষেত্রে ইন্দিরা গান্ধীর ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা স্মরণ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
ওর (শেখ রেহানা) যখন বাচ্চা হবে, আমি মিসেস গান্ধীকে গিয়ে বললাম, আমি যেতে চাই রেহানার কাছে। উনি ব্যবস্থা করে দিলেন। টিকেটের ব্যবস্থা করে দিলেন। থাকার ব্যবস্থা করে দিলেন।”
৮০ এর শেষে দিল্লিতে ফিরে আসি। টাকাও ছিল না। আর, কার কাছে হাত পাতা ভালো লাগত না।”
১৯৮০ সালে বিদেশে থাকার সময়ই আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে সভাপতি নির্বাচিত করা হয় রাজনীতির বাইরে থাকা শেখ হাসিনাকে।
তিনি বলেন, এত বড় সংগঠন করার অভিজ্ঞতাও আমার ছিলে না। আমার চলার পথ অত সহজ ছিল না। দল এবং দলের বাইরে নানা প্রতিকূলতার কথা তুলে শেখ হাসিনা বলেন, খুনিরা বহাল তবিয়তে বিভিন্ন দূতাবাসে কর্মরত। স্বাধীনতার বিরোধীরা তখন বহাল তবিয়তে। তারাই ক্ষমতার মালিক। যে পরিবারকে একেবারে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিলো, সে পরিবারের একজন এসে রাজনীতি করবে। সেটা এত সহজ ছিল না, প্রতি পদে পদে প্রতিবন্ধকতা ছিল।
বক্তব্যের এই পর্যায়ে উপস্থিত নেতাদের আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্ব খুঁজতে বলেন শেখ হাসিনা; তবে সবাই সমস্বরে ‘না না’ বলে ওঠেন।
শেখ হাসিনা বলেন, নতুন নেতৃত্ব খোঁজা দরকার। জীবন-মৃত্যু আমি পরোয়া করি না। মৃত্যুকে আমি সামনে থেকে দেখেছি। আমি ভয় পাইনি। আমি বিশ্বাস করি, আমার আব্বা আমাকে ছায়ার মতো আমাকে দেখে রাখেন, আর, উপরে আল্লাহর ছায়া আমি পাই।
মেয়ের হাত ধরে দুটা সুটকেস নিয়ে চলে আসি। আমি মনে করি, আমাকে যেতে হবে, কিছু করতে হবে।
প্রধানমন্ত্র শেখ হাসিনা ৩৬ বছর আগের এই দিনটিতে দেশে ফেরার কারণ ব্যাখ্যা করেন ওই সভায়।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ১৬ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাজীবন জেলজুলুম সহ্য করেছেন। সবাই যেন নিজ ভাষায় পড়ার সুযোগ পায়, সে চেষ্টাও করা হচ্ছে। সেটা তখনই পারব যখন ক্ষধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে পারবো।
গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ কার্যালয়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ১৬ মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তির চেক তুলে দেয়ার সময় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের এই ছেলেমেয়েরা নিজ নিজ গোষ্ঠীর পোশাক পরে এসেছে। এখন আধুনিক যুগ, সবাই আধুনিক পোশাক পরে। কিন্তু বিশেষ দিনে নিজেদের পোশাক পরলে স্বকীয়তা প্রকাশ পায়। সেজন্য সবাইকে ধন্যবাদ।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর শিক্ষায় সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগপ্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীকে সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে এনে সবার জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকার নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর যারা পিছিয়ে আছেন, আমাদের দিক থেকে তাদের শিক্ষা-দীক্ষা এবং আর্থ-সামাজিকভাবে যেন তারা উন্নত হতে পারেন, সেই উদ্যোগটা আমরা হাতে নিয়েছি।
শিক্ষাকে অধিকার হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,দেশের প্রায় ৫৫টি জেলায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে। তাদের জীবনমান কিভাবে উন্নত করা যায় এবং সেই লক্ষ্যেই আমরা কিছু বিশেষ এলাকা নিয়ে উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। এজন্য বাজেটেও আলাদা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি, অনেক নৃগোষ্ঠী আমাদের রয়ে গেছে, যেমন- সাঁওতাল, মুরং, হাজং, গারো, খাসিয়াসহ বহু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী আমাদের রয়ে গেছে। তাদের সংস্কৃতি শিক্ষা এবং মাতৃভাষার সম্মান বজায় রাখতে আমাদের একটা লক্ষ্য যে, এই বৈচিত্রময় যে নৃগোষ্ঠী রয়ে গেছে, তাদের ভাষার এবং বিভিন্ন সংস্কৃতির যে চর্চা, সেটা যেন সঠিকভাবে তারা করতে পারে। এদিকে লক্ষ্য রেখেই অনেকগুলো পদক্ষেপ আমরা এ পর্যন্ত নিয়েছি। অনেক জায়গায় আমরা কালচারাল সেন্টার করে দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সবসময় মনে করি, শিক্ষা হচ্ছে একটি জাতির অধিকার। তারা শিক্ষার দিক থেকে যেন পিছিয়ে না পড়ে, সেজন্যও আমরা কাজ করছি। কারণ আমাদের ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া শিখে সুশিক্ষায় শিক্ষিত জাতি হিসেবে গড়ে ওঠবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী। প্রকল্প পরিচালক এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক কবির বিন আনোয়ার অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ছাড়াও মন্ত্রিপরিষদের কয়েকজন সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, জাতীয় সংসদের সদস্য, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিদেশি কূটনীতিক, রাষ্ট্রদূত, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এ অনুষ্ঠানে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের প্রত্যেককে বৃত্তি হিসেবে ২৫ হাজার টাকা করে চেক প্রদান করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।