Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাকিস্তানের বদলা

প্রকাশের সময় : ৫ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

শ্রীলংকা : ১৫০/৪ (২০.০ ওভারে)
পাকিস্তান : ১৫১/৪ (১৯.২ ওভারে)
ফল : পাকিস্তান ৬ উইকেটে জয়ী
বিশেষ সংবাদদাতা : ওভারপ্রতি ৭.৫০ চেজ টুয়েন্টি-২০তে কঠিন কিছুই নয়। কিন্তু মিরপুরে তা অসম্ভবই মনে হয়েছে এ ক’দিন। ধীরে ধীরে সবুজাভ উইকেট রং হারিয়ে গড়ে তুলছে ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে সখ্য গতকাল তা জানিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। শ্রীলংকার ছুঁড়ে দেয়া ১৫১’র চ্যালেঞ্জ পাড়ি দিয়েছে পাকিস্তান ৪ বল হাতে রেখে। আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচে অবতীর্ণ হওয়ার আগে এশিয়া কাপের গতবারের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলংকা,রানার্স আপ পাকিস্তানের  বিদায় ঘন্টা বাজিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপে ফাইনালের স্বপ্ন ভঙ্গ হওয়ায় পাকিস্তান জুড়ে ক্ষোভ সংক্রমিত হয়েছে, সেই ক্ষোভ কিছুটা প্রশমনের উপায় খুঁজে পেয়েছে পাকিস্তান। গতকাল মিরপুরে শ্রীলংকাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দিয়ে দেশে ফিরতে অন্তত: পারছে আফ্রিদিরা। চতুর্থ উইকেট জুটির ৫৬ রানে এশিয়া কাপের গত আসরে ফাইনালে শ্রীলংকার কাছে হারের বদলাও তো নিতে পেরেছে পাকিস্তান।
এশিয়া কাপের মূল পর্বে শ্রীলংকার বিপক্ষে বাংলাদেশের ১৪৭/৭ স্কোরই ছিল চলমান আসরে সর্বোচ্চ। সেই স্কোরটা টপকে গেছে গতকাল শ্রীলংকা। দুই ওপেনার দিলশান (৭৫), চান্দিমালের (৫৮) জোড়া ফিফটিতে শ্রীলংকা ইনিংস টেনে নিয়েছে ১৫০/৪ পর্যন্ত।  নিয়ম রক্ষার ম্যাচে বোলিং করতে এসে চেনা রুপে দেখা যায়নি পাকিস্তান পেস বোলার মোহাম্মদ আমিরকে। উইকেটহীন ৩১ রান খরচা তার। ইনিংসের শুরুতে আমির আতঙ্ক ছড়াতে ব্যর্থ হয়েছেন, অন্য প্রান্তে ইরফান ছন্দ ফিরে পেলেও তার বলে শর্ট ফাইন লেগে দিলশানের ক্যাচ আফ্রিদির হাত থেকে ফসকে যাওয়ায়  শ্রীলংকার ওপেনিং পার্টনারশিপ হয়েছে স্ফীত! টুয়েন্টি-২০ ক্রিকেটে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওপেনিং জুটিতে সর্বোচ্চ ১১০ রানের পার্টনারশিপ করেছে চান্দিমাল-দিলশান।
বাধ্যতামূলক পাওয়ার প্লে’র প্রথম ৬ ওভারেই (৪৪/০) পাকিস্তান বোলারদের নির্বিষ করে দিয়েছে শ্রীলংকা। হাতভর্তি উইকেট থাকায় শেষ ১০ ওভারে শ্রীলংকা যোগ করেছে সেখানে ৮৪ রান। তবে ১৫তম ওভারে এসে ওয়াহাব রিয়াজের শর্ট বলে মিড উইকেটে চান্দিমালের ক্যাচে ফিরে যাওয়ায় শেষ ৫ ওভারকে শ্লগে পরিনত করতে পারেনি শ্রীলংকা। শেষ ৩০ বলে ৩৭রানে সন্তুষ্ট থেকেছে শ্রীলংকা। ৮ রানের মাথায় লাইফ পেয়ে দিলশান শেষ পর্যন্ত টি-২০ ক্যারিয়ারে ১২তম ফিফটি উদযাপনের দিনে অবিচ্ছিন্ন থেকেছেন ৭৫ রানে (৫৬ বলে ১০ চার ১ ছক্কা)। সেখানে তৃতীয় ফিফটি উদযাপন করেছেন শ্রীলংকার ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক চান্দিমাল (৪৯ বলে ৭ চার ১ ছক্কায় ৫৮)। প্রথম দুই স্পেল উইকেটহীন কাটিয়ে শেষ স্পেলে ১ বলের ব্যবধানে কাপুগেদারা ও সানাকাকে বোল্ড আউটে ফিরিয়েছেন ইরফান।
জবাবে ব্যাটসম্যানদের গড়পড়তা সংগ্রহ, প্রথম পাওয়ার প্লেকে কাজে লাগানোয় জয়ের পথটা সুগম হয়েছে পাকিস্তানের। তারপরও হেলায় হেলায় নিজের উইকেট দিয়ে এসেছেন ওমর আকমল। ১৯তম ওভারের ৫ম বলে কুলাসাকেরাকে ওমর আকমল বিশাল ছক্কায় মাতিয়ে জয় থেকে যখন মাত্র ১ রান দূরে পাকিস্তান, তখন সিঙ্গলে না যেয়ে একই ধরনের শট খেলতে যেয়ে লং অফে দিয়ে এসেছেন ক্যাচ (৪৮)। তবে ৪র্থ জুটিতে সোয়েব মালিকের সঙ্গে ৫৬ রানে নেতৃত্ব দিয়ে পাকিস্তানকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয়ায় ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন এই ওমর আকমলই। সারজিলের ৩১, সরফরাজের ৩৮ ও ম্যাচ জয়ে সহায়ক হয়েছে।
 



 

Show all comments
  • এনামুল ৫ মার্চ, ২০১৬, ৪:২৩ পিএম says : 0
    সাবাস
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাকিস্তানের বদলা

৫ মার্চ, ২০১৬
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ