মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : ব্রেক্সিট আলোচনার খসড়া নির্দেশিকায় আরেক দফা নিজেদের অবস্থান কঠোর করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। তবে শুধু ব্রাসেলসই নয়, ব্রেক্সিট আলোচনাকে সামনে রেখে আসন্ন নির্বাচনে ইইউ-বিরোধী প্রার্থী মনোনীত করছে থেরিসা মে’র কনজারভেটিভ পার্টি। ৮ জুন ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনের পর শুরু হওয়া আলোচনায় কোনো পক্ষই যে নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করবে না, চলমান পরিস্থিতিতে তারই আভাস পাওয়া যাচ্ছে। গত সোমবার খসড়া নির্দেশিকায় আলোচনার বেশকিছু বিষয়ে নিজের অবস্থান আরো কঠোর করেছে ইইউ। জোটভুক্ত বাকি ২৭টি দেশের কূটনীতিক দ্বারা পুনর্বিবেচনার পরই সর্বশেষ খসড়া নির্দেশিকাটি প্রণীত হয়। সর্বশেষ নির্দেশিকা অনুযায়ী, ব্রেক্সিট চুক্তির বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিস (ইসিজে)। এছাড়া ব্রেক্সিট বিল, ব্রিটেনে অবস্থানরত ইইউ নাগরিক ও ইইউতে বসবাসরত ব্রিটিশ নাগরিকদের অধিকার সবার আগে নিশ্চিত করবে ইইউ। এসব বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো সমাধান না হলে ব্রিটেনের সঙ্গে ভবিষ্যত বাণিজ্যিক সম্পর্কসংক্রান্ত কোনো ধরনের আলোচনা শুরু করবে না ব্রাসেলস। সর্বশেষ খসড়া নির্দেশিকাটি বর্তমানে ইইউর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অনুমোদন প্রাপ্তির অপেক্ষায় রয়েছে। নাগরিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে ইইউ সবচেয়ে বেশি সচেষ্ট। সর্বশেষ নির্দেশিকায় জানা যায়, ব্রিটেনে বসবাসরত ইইউ নাগরিকদের জন্য অবাধ চলাচল, স্বাস্থ্যসেবা লাভের সমান সুযোগ ও যুক্তরাজ্যে কর্মরত কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের ব্রিটিশ শিক্ষাব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্তি করার ব্যাপারে কাজ করবে ইইউ। উল্লিখিত ইস্যুগুলোতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পাশাপাশি ব্রেক্সিট কার্যকরের পর থেকে পরবর্তী কোনো বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করার আগ পর্যন্ত অন্তর্র্বতীকালীন সময়ের পরিধি সুনির্দিষ্ট করতে চায় জোট। নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, অন্তর্র্বতীকালীন সময় সুনির্দিষ্ট, সুস্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত ও কার্যকরভাবে প্রয়োগযোগ্য হবে। ব্রেক্সিটপরবর্তী সময়ে উভয় পক্ষের কোম্পানিগুলো যেন ব্রিটেনের নতুন অবস্থানের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে, তাই অন্তর্র্বতীকালীন সময়ের বিষয়ে নির্দেশিকায় নিজ অবস্থান কঠোর করেছে ব্রাসেলস। এদিকে ইইউর মতোই ব্রেক্সিট আলোচনার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছে থেরিসা মে’র কনজারভেটিভ পার্টি। আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনে ইইউ-বিরোধী প্রার্থীদের মনোনীত করছে কনজারভেটিভ পার্টি। জয়লাভের সম্ভাবনা প্রবল এমন ৬০টি আসনে কনজারভেটিভ পার্টি যেসব প্রার্থীকে মনোনীত করেছে, তাদের ৫২ জন ব্রেক্সিট বিষয়ে নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করেছেন। ৫২ জনের মধ্যে ৩৪ জন ব্রেক্সিটপন্থী, ১৭ জন ব্রেক্সিটবিরোধী ও একজন কোনো ধরনের মন্তব্য প্রদান থেকে বিরত ছিলেন। তবে স¤প্রতি ভেঙে দেয়া পার্লামেন্টে কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যদের মধ্যে ব্রেক্সিটপন্থীর চেয়ে ইইউপন্থীরা সংখ্যায় অধিক ছিলেন। উল্লেখ্য, গত জুনের ব্রেক্সিট গণভোটে কনজারভেটিভ পার্টির ১৮৫ জন আইনপ্রণেতা ব্রেক্সিটের বিপক্ষে এবং ১২৮ জন আইনপ্রণেতা ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট প্রদান করেন। অর্থাত্ ২০১৫ সালে নির্বাচিত সদস্য নিয়ে ব্রেক্সিট আলোচনায় অংশগ্রহণ করলে ব্রাসেলসের সামনে নিজের কঠোর অবস্থান ধরে রাখতে বেশ বেগ পেতে হতো থেরিসা মেকে। সে কারণেই ব্রেক্সিট আলোচনায় নিজ পক্ষের শক্তি বৃদ্ধি করতে নির্বাচনের সময় এগিয়ে আনার পাশাপাশি ইইউ-বিরোধী প্রার্থীদেরকেই মনোনীত করছে কনজারভেটিভ পার্টি। বøুমবার্গ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।