মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : হোয়াইট হাউসের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনের সঙ্গে রাশিয়ার যোগাযোগ নিয়ে এফবিআই-র তদন্ত বন্ধ করতে সংস্থাটির তৎকালীন প্রধান জেমস কোমিকে অনুরোধ করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কোমির লেখা একটি মেমো দেখেছেন, এমন এক সূত্র এ কথা জানিয়েছেন বলে নিউ ইয়র্ক টাইমসে গত মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এক সপ্তাহ আগে এফবিআই প্রধান কোমিকে বরখাস্ত করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তারপর থেকে বিভিন্ন ঘটনায় হোয়াইট হাউসজুড়ে আলোড়ন চলছিল। তারমধ্যে খবর প্রকাশ হল, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে বৈঠককালে ইসলামিক স্টেট (আইএস) সম্পর্কে অত্যন্ত গোপন কিছু রাষ্ট্রীয় তথ্য প্রকাশ করে দিয়েছেন। এরপর ফ্লিন-রাশিয়া সম্পর্ক নিয়ে তদন্ত বন্ধ করতে অনুরোধ করার এই বিস্ফোরক খবরটি প্রকাশ পেল। কোমির এই চিরকুট যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে শঙ্কা ছড়িয়ে দিয়েছে এবং কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার তদন্তে ট্রাম্প হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করেছিলেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। হোয়াইট হাউস দ্রæততার সঙ্গে প্রকাশিত প্রতিবেদনটির অস্বীকার করেছে, এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রেসিডেন্ট ও কোমির মধ্যে যে কথোপকথন হয়েছে তার নির্ভুল ও সত্য ছবি প্রতিবেদনটিতে প্রকাশ পায়নি। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত সের্গেল কিসলিয়াকের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ফ্লিন। তখন ট্রাম্পের প্রচারণা শিবিরের অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা ছিলেন তিনি। পরে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা নিয়োগ করা হয় সাবেক সামরিক কর্মকর্তা ফ্লিনকে। উপদেষ্টা ফ্লিন রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তার আলোচনার বিষয়ের ব্যাপ্তি নিয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেন। এর জেরে ১৪ ফেব্রুয়ারি ফ্লিনকে বরখাস্ত করেন ট্রাম্প। এর পরই ওভাল দপ্তরে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন কোমি। এই সাক্ষাতের পরই কোমি আলোচিত মেমোটি লিখেছিলেন। মেমোটিতে কী লেখা আছে সে সম্পর্কে জানেন এমন এক সূত্র জানিয়েছে, ট্রাম্প কোমিকে বলেছিলেন, আশা করি আপনি এই বিষয়টি ছেড়ে দিতে পারবেন। নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওভাল দপ্তরে ওই বৈঠক চলাকালে ট্রাম্প গণমাধ্যমের কাছে ধারাবাহিকভাবে সরকারি তথ্য ফাঁস হওয়ার নিন্দা জানান এবং সরকারি গোপনীয় তথ্য ফাঁস করার জন্য সাংবাদিকদের বিচারের মুখোমুখি করা যায় কিনা এফবিআই পরিচালককে তা বিবেচনা করে দেখতে বলেন। এখন স্বয়ং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধেই রাশিয়ার কাছে স্পর্শকাতর তথ্য ফাঁস করার অভিযোগ উঠেছে। এরপর প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে সরকারি তদন্তে হস্তক্ষেপের মতো অভিযোগ ওঠায় পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর হয়ে উঠেছে। কোমির মেমোটি সত্য হলে তাকে কেন্দ্র করে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে তদন্তে তাৎক্ষণিকভাবে স্বাধীন বিশেষ কৌঁসুলি নিয়োগের কথা বলেছেন দেশটির অনেক কংগ্রেস সদস্য। রয়টার্স, বিবিসি, সিএনএন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।